আমরা তিন বন্ধু আমি শরিফুল এবং সজীব। সন্ধ্যা রাতে যাচ্ছি আমরা বাজারে। শুধু খাবার নয় আনুষাঙ্গিক বিভিন্ন কাজ আছে; সবকিছুই একত্রিত করে চলে যাচ্ছি বাজারের উদ্দেশ্যে।
আমাদের ডিপার্টমেন্টে যে বইগুলো রয়েছে, এগুলো সচরাচর সব জায়গায় পাওয়া যায় না। কারণ একটি মাত্র সরকারি পলিটেকনিকে এই সিরামিন ডিপার্টমেন্ট এবং বেসরকারি আমাদের এই একটি। সুতরাং এই দুটি পলিটেকনিক এর জন্য কেউ এই বইগুলো বিক্রি করতে চায়না বা মার্কেটে ভালো সেল হয় না। যে কারণে আমাদের এই বই নিয়ে যেতে হচ্ছে বাজারে ফটোকপি করার জন্য।
শরিফুল ইসলাম তার চলাফেরা করার জন্য জুতার প্রয়োজন গেছে ছিড়ে। সুতরাং তার জুতা কেনার জন্য চলে যেতে হচ্ছে আমাদের সেই বাজারে। আমি আর শরিফুল একই ডিপার্টমেন্টে একই সেমিস্টারে অধ্যায়নরত আছি। তাই চলে গেলাম দুজনেই সাথে সজিব সহ।
সজিবের ও বেশ কয়েকটি কাজ ছিল। তার জামা কাপড় আয়রন করতে হবে এমনকি শীতের যে সুজ রয়েছে বা লোফার যেটাই বলি না কেন। সেলাই করার জন্য যেতে হচ্ছে সেই মাদলা বাজারে।
সব কিছু রেডি করে সবাই রওনা দিলাম একটি রিকশায় করে সন্ধ্যারাতে মাদলা বাজারের উদ্দেশ্যে। এই সময় বেশ ঠান্ডা পড়েছে। রিকশায় যখন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন অনেক শীতল হীম বাতাস শরীরের ভিতরে ঠান্ডা অনুভব জাগ্রত করে দিচ্ছে।
প্রথমে গেলাম সজীবের সেই সুজ সেলাই করার জন্য। যেহেতু অনেক সময়ের কাজ তাই তাকে রেখে আসতে হলো সেখানেই। পরের দিন এসে নিয়ে যেতে বলল। তার পাশেই পোশাক আইরন করার দোকান। সেখানে আয়রন করতে দিলাম। দোকানদারকে বলা হলো একটু পরে এসেই নিয়ে যাচ্ছি।
চলে গেলাম সেই বই প্রিন্ট করতে। এ হুজুরের দোকানে প্রিন্ট করতে দিলাম। সেখানেও একই কথা বললাম প্রিন্ট করে রাখেন আমরা বাজারের ভিতর থেকে একটু পরেই আসতেছি। কারণ আমরা যখনই বাজারে আসি তখন আমাদেরকে খাওয়া-দাওয়া করতেই হয় বেশ মজার খাবার।
কম্পিউটার দোকানে রেখে গেলাম সেই বই প্রিন্ট করার জন্য। বাজারের ভিতরে গিয়ে প্রথমেই মিষ্টি সহ মিষ্টির ঝোল এবং পরোটা দুটি একত্রিত করে বেশ মজার খাবার। অনেক মজা কারন আমরা মিষ্টি পছন্দ করি বেশি।
মিষ্টি খাওয়ার পরে চলে আসলাম ঝাল মাখা খেতে। বিভিন্ন রকমের আইটেম একত্রিত করে ঝাল মাখা তৈরি করে এখানে। মাদলা বাজারের একমাত্র খাবার সেটি হচ্ছে ঝাল মাখা। সব সময়ই এই দোকানগুলোতে অনেক ভিড়। লোকে লোকারণ সবাই এই ঝাল মাখা পছন্দ করেন।
এই ঝাল মাথাগুলো খাওয়া-দাওয়া শেষ করে চলে আসলাম সেই কম্পিউটার প্রিন্টিং দোকানে। এসে দেখি এখনো কমপ্লিট হয়নি কারণ এটি অনেক সময়ের ব্যাপার কারণ একটি বই প্রিন্ট করতে অনেক সময় লাগে। বলল আরো এক ঘণ্টার মতো সময় লাগবে। তখন আমরা সেখান থেকে চলে গেলাম কাপড় আয়রন মেশিনের দোকানে। সেখান থেকে কাপড় আয়রন করে আবার আসলাম শরিফুলের জন্য জুতা কেনার জন্য।
এখন এই দোকানে অনেকগুলো জুতা পাওয়া যায়। এই জুতা গুলোর মধ্য থেকে যেগুলো পছন্দ হয় সেগুলোর দাম বেশি। কিছুই করার নেই এখন কিনতেই হবে। দোকানদারের সাথে অনেক দাম কষাকষি করল সজীব এবং শরিফুল। ১৪০ টাকা দামের জুতো ১৩০ টাকা দিয়ে নিল এরপরেও ১০০ টাকায় দিল না। সজীব শরিফুল এবং আমি জুতা ক্রয় করার পরে চলে গেলাম কম্পিউটারের দোকানে।
গিয়ে দেখি এখনো হয়নি কিছুটা বাকি রয়েছে। পরে হুজুরকে বললাম। এখানে আমাকে বসে থাকতে হবে? যদি ওয়াইফাই থাকে তাহলে একটু দেন আমি একটু অনলাইনে কাজ করি। হুজুর বলল আচ্ছা ঠিক আছে দাও আমি দিচ্ছি তোমাকে।
কানেক্ট করার পরে কিছুক্ষণ পরে দেখি কমিউনিটি থেকে মেনশন দিচ্ছে একটু কথা আছে। বললাম বাহ ভালই তো হলো নেটওয়ার্কেও পেয়ে গেলাম এখনি দেখি গ্রুপে কথা হচ্ছে তখন গ্রুপে জয়েন করে কথা বললাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা ছিল।
যাইহোক এভাবে আমরা আমাদের বইগুলো প্রিন্ট করি কম্পিউটার দোকান থেকে। শুধুমাত্র এই বইগুলো ঢাকা আগারগাঁও যেখানে সরকারি পলিটেকনিক রয়েছে সেখানেই একটি মাত্র পলিটেকনিকে পাওয়া যায় অন্যথায় এই বইগুলো কোথাও পাওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে প্রিন্ট করতে হলো আমাদের যেহেতু পড়তেই হবে।
এভাবে আমরা আমাদের বাজারের কার্যক্রম সম্পূর্ণ করে চলে আসার সিদ্ধান্ত নেই। তবে জব্বর খাওয়া-দাওয়া হয়েছে বেশ ভালো লাগে খাওয়া দাওয়া করতে। আজকে এ পর্যন্তই সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এই প্রত্যাশা করি।
Device | Name |
Android | Tecno Spark 7 |
Camera | 16M Dual camera |
Location | Bangladesh |
Short by | @jakaria121 |
We support quality posts anywhere and any tags.
Curated by : @lhorgic
@lhorgic thank you for your attention and support.
বন্ধুদের সাথে ভালো সময় কাটিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। মিষ্টি খাওয়ার পরে একটু ঝাল কিছু খেতে ভালোই লাগে। এত শীতের মধ্যেও যে ঘুরতে বেরিয়েছেন এটা দেখে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বন্ধুদের সাথে শীতের সময় সুন্দর মুহুর্ত কাটিয়েছেন। আসলে শীতের সময় আমারো বাজারে যেতে ভালোই ইচ্ছে হয়। গিয়ে গরম গরম চপ, পরেটা, বিভিন্ন রকমের ভাজাপোড়া খেতে খুবই ভালো লাগে।
আপনারো যে ভালো লাগে সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মন্তব্য দেওয়ার জন্য।