খনার বচন:- যে ব্যক্তি দিনে ঘুমায় রাতে জাগে, সে ভোগে সর্ব রোগে।
প্রিয় শুভাকাঙ্ক্ষী,
ঘুম মানুষের অনেক প্রয়োজন। ঘুম ব্যতীত মানুষ অস্বস্তি বোধ করে। যদি তার ঘুম ভালো না হয় সারাটা দিন ভালো কাটে না এটাই স্বাভাবিক। ঘুম মানুষকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
![]() |
---|
দীর্ঘ ছয় থেকে সাত ঘন্টা জার্নির পর শরীরটি হয়ে গেছে অনেক ক্লান্ত। গাড়িতে উঠে যখন আসতে ছিলাম আমাদের সেই কলেজ ডরমেটরিতে, তখন গাড়ির মধ্যেই যেন ঘুমের ভাব চলে আসছে ঘুম ঘুম আবাসে চোখ দুটো গুঁজে যাচ্ছে।
ঘুম ঘুম ভাব নিয়েই কলেজের সামনে চলে আসলাম। কলেজ বাস থেকে নেমে সোজা রুমে চলে আসলাম। রুমে চলে এসে একদম বিছানায় শুয়ে পড়লাম। বিছানায় শোয়ার সাথে সাথে দুই মিনিটের মধ্যেই ঘুমিয়ে গেছি।
শরীরটা এত ক্লান্ত লাগতেছিল এবং ঘুম আসতেছিল যা বলার মত নয়। অবশেষে দীর্ঘ দুই ঘন্টা ঘুম পাড়ার পর রুমের মধ্যে আরো বন্ধুরা ছিল যাদের কথাবার্তায় ঘুম ভেঙ্গে গেল ভালোভাবে ঘুম হলো না।
পরিশেষে ঘুম থেকে উঠে এবার গোসল দিতে হবে। কেননা সারাদিন অনেক জার্নি হয়েছে তাই গোসল দিলে একটু ফ্রেশ লাগবে।
উচিত ছিল ঘুমানোর আগেই গোসল দিয়ে তারপরে ঘুমানোর কিন্তু মন মানতে ছিল না, তাই বিছানায় পিঠ লাগানোর সাথে সাথেই ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম।
ঘুম থেকে ওঠার পর গোসল করি এবং অনেকটাই ফ্রেশ লাগে। আসলে রাতের ঘুম সবচাইতে ভালো। যে ব্যক্তি রাত্রিতে ঘুমায় তার ঘুম সবচাইতে ভালো হয়। রাতের অন্ধকারের ঘুম, দিনের আলোতে ঘুমানোর চাইতে অধিক উত্তম।
![]() |
---|
সে ভোগে সর্ব রোগে।
তাই আমাদের সকলের উচিত রাত দশটার মধ্যেই ঘুমিয়ে যাওয়া। কিন্তু যতই চেষ্টা করি যেন সময় মেইনটেইন করা খুবই কঠিন হয়ে যায়।
আমরা যদি লক্ষ্য করি আমাদের সেই বাবা কিংবা দাদাদের সময় তারা কিন্তু রাত নয়টা থেকে দশটার মধ্যেই বিছানায় চলে যেত ঘুমানোর জন্য। তাদের ঘুম সর্বোত্তম হত।
ঘুম থেকে ওঠা তাদের জন্য একদম সহজ হয়ে যেত। অর্থাৎ সকালের যে প্রাকৃত মনোরম পরিবেশ এবং মনোমুগ্ধকর একটি আবহাওয়া ভেসে আসে, তা শরীরের জন্য অনেক উপকারী এবং মনকে অনেক শান্ত করে দেয় এবং ভালোলাগা কাজ করে। সারাদিন খুবই সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়।
বর্তমান সময় রাতের ঘুম যেন রাত বারোটা না বাজলে ঘুমের কথা চিন্তায় আসে না। যখন রাত বারোটা বেজে যায় তখন চিন্তা এসে যায় এখন একটু ঘুমাই। ঘুমাতে এসেও ঘুম ধরে না, মোবাইল স্ক্রল করতে করতে সময় চলে যায়।
শেষ অব্দি ঘুমানো হলো। আবার ঘুম থেকে উঠতে উঠতে দেখা যায় নয়টা দশটা বারোটা এমন হয়ে যায়। আসলে এই ঘুম গুলো আমাদের শরীরের বর্তমান কোন প্রভাব না ফেললেও আগামীতে প্রভাব ফেলবে।
বর্তমানে এটাই মনে হয় ট্রেন্ডিং এর চরম পর্যায়ে দাঁড়িয়ে আছে, যুব সমাজকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে।
সুতরাং আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে নয়টা থেকে দশটার মধ্যেই ঘুমিয়ে যাওয়া এবং সকাল ছয়টার মধ্যে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া।
যদি লক্ষ্য করেন তাহলে বুঝতে পারবেন, খনার বচন এর কথার সাথে কিন্তু বর্তমান সময়ের যুবকদের ট্রেনডেন্সি একেবারে হুবহু মিলে যাচ্ছে।
এই খনার বচন যেন আমাদের জীবনে সঠিক প্রভাব ফেলতে পারে তার প্রচেষ্টা করা অর্থাৎ সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে ঘুমানো এবং ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া।
তাহলে আজকের এই খনার বচন থেকে আমরা কি শিক্ষা গ্রহণ করলাম বা কি বুঝতে পারলাম তা কিন্তু সম্পূর্ণ পরিষ্কার।
আপনি অনেক উপকরণীয় একটি পোস্ট লিখেছেন ভাইয়া কমেন্টে করছি এখন সকাল পাঁচটা বেজে চার মিনিট সারারাত ঘুমাই নাই মোবাইল চালাইছি যেদিন যেদিন প্রাইভেট স্কুল কিছু থাকে না সেদিন ছাড়া রাতে মোবাইল চালাই ঘুম আসে না,
এটা আজকে আপনার পোস্টটি দেখে অনেক কিছু জানা গেল নিজেকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ।
ভালো থাকবেন আমাদের মাঝে এত সুন্দর উপকরণীয় পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ধন্যবাদ
https://twitter.com/Md_Jakaria121/status/1660904511463133184?t=khQNQmfLglF9QDkeOnEUpA&s=19
সত্যিই ভাই, এখন রাত বারোটার পরে ঘুমানোটা একটা ট্রেন্ড হয়ে গেছে,বিশেষ করে বর্তমান যুব সমাজের কাছে।
রাতে জেগে থেকে দিনে ঘুমিয়ে আমরা আমাদের নিজেদের যে কতবড় ক্ষতি করছি সেটা এখন না বুঝলেও ভবিষ্যতে কোনো এক সময় আমরা বুঝবো।
কিন্তু,তখন বুঝে শুধুমাত্র আপসোস ছাড়া আর কোনো কিছু করার থাকবে না।
একদমই তাই ঠিক ওই সময় আফসোস ছাড়া আর কোন কিছু করার থাকবে না। এখন থেকে আমাদেরকে সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে ঘুমানো উচিত।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই।আগে থেকেই আমাদের সকলের উচিৎ সতর্ক হওয়া।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
Thank you for your attention.