"পরিবারের সবাই মিলে পিকনিক করার আনন্দ"
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। কেমন আছেন বন্ধুরা ?আশা করি ভাল আছেন সুস্থ আছেন।
আমি আপনাদের মাঝে নতুন আরেকটি বিষয় নিয়ে হাজির হয়েছি বিষয়টি হলো পরিবারের সবাই মিলে পিকনিক করার আনন্দ।
আমি বাড়িতে থাকলে পিকনিকের আয়োজন করা হয় এবার ভিন্নরকম আয়োজন করি আমরা প্রতিবারিত আমাদের চাচাতো ভাই বোন রাই কর থাকি আমরা এখন ফ্যামিলির সবাই মিলে করতে পারলে খুব ভালো হবে।
তাই আবার আমাদের প্ল্যান হয় সবাই মিলে একসাথে পিকনিক করা। আমরা যার যার বাবা-মাকে এ বিষয়ে জানাই এবং প্রথমে রাজি হয় না। সবাই আমরা অনেক দৌড়াদৌড়ি করি রাজি করাই। আমাদের আবেগ অনুভূতি তাদের সাথে শেয়ার করি আনন্দটা কতটুকু হবে তাও শেয়ার করি।
প্রতিটা মা বাবা চাই সন্তান হাসিখুশি থাকুক আনন্দে থাকুক তাই আমাদের আনন্দ হওয়ার জন্য এই পিকনিকে রাজি হয়ে যায়। ১৫ তারিখে আমাদের পিকনিকের তারিখ নির্ধারণ করে।
যত দেরি হবে তাদের মন পরিবর্তন না করার জন্য তাই পরের দিনে আমরা ডেট ফিক্সড করি। সকাল বেলা আমি সকাল সকাল উঠে গিয়েছিলাম কিন্তু চাচাতো ভাইরা সকালবেলা একটু দেরি করে উঠে এদিক দিয়ে জিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে আমরা মনে করছিলাম একটু পরেই বৃষ্টি থেমে যাবে তারপর আমরা পিকনিক শুরু করব কিন্তু বৃষ্টি থামা তো দূরের কথা বৃষ্টি পড়া।
বৃষ্টির মধ্যেই বাজার করার জন্য চলে আসি বাজার করতে প্রায় ঘন্টা খানিকের উপর লেগে যায় বাজার শেষ করে বাড়িতে এসে। চুলা তৈরি করে রেখেছিল আর বড় পাতিল তারা সংগ্রহ করে রাখেন।
বৃষ্টির মধ্যে রান্না করার জন্য প্রস্তুতি নেই এর মধ্যে বাতাস এর কারণে আগুন চলেতে দিতে ছিল না সেজন্য আমরা চারদিক দিয়ে চড় দিয়ে ঘেরাও করে দেয়।
যদি বৃষ্টি না থাকতাম তাহলে পিকনিক টা অনেক সুন্দর হতো। এখনো অনেক সুন্দর হচ্ছে বৃষ্টি থাকা সত্ত্বেও অনেক আনন্দ হচ্ছে। তাও রান্না শুরু করতে করতে দুপুর বারোটা বেজে যায়।
আম্মু আর কাকিরা, একটু বকাঝকা করতেছে পিকনিক করলেই একটু আগে বাজার করে রাখতে হয় এখন দুপুর হয়ে গেছে এখনো কিছুই হয় নাই কখন খাব কখন করব। কথা বলে তারা কাজ করতে থাকে আর তাদের মধ্যে গল্প করতে থাকে। পাঁচজন মহিলা এক একজন একেক কাজ করতে থাকে তাদের কাজে প্রতি দেখে আমার মনে হয় তিনটার মধ্যেই সব কমপ্লিট হয়ে যাবে।
আমরা চাচাতো ভাইরা শুধু বিরানি রান্না করার প্রস্তুতি নেই কিন্তু মা চাচীরা রান্নার মাঝখানে তাদের কাছ থেকে কিছু টাকা দিয়ে পায়েস ডাল রান্না করা হবে। এই টা শুনে অনেকটাই খুশি হয় আমরা, আল্লার রহমতে সাড়ে তিনটার মধ্যেই পিকনিকের খাবার রেডি হয়ে যায়।
যারা যারা পিকনিকের মধ্যে কাজ করছিল তাদের শরীরে সবারই কাদা লেগে যায় তাই সবাই গোসল করে একসাথে পুরাতন পোল্ট্রি ফার্মের ঘরে পরিষ্কার করে খাওয়ার খাওয়া কতটা আনন্দ।
গল্প করা সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করা শেষ করেন সবাই যার যার বাড়িতে চলে আসি। আজকের এখানে লেখা সমাপ্ত করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সাবধানে থাকবেন।
বাইরে পিকনিক করার মজা একরকম আর পরিবারের সাথে পিকনিক করার মজা অন্যরকম। পিকনিকের খাবারগুলো খুবই সুস্বাদু হয়। বিশেষ করে যদি আলুর দম রান্না করা হয় তাহলেতো কোন কথাই নাই। আলুর দম অনেক সময় মাংসের চেয়েও বেশি ভাল লাগে।
পরিবারের সবাই মিলে পিকনিক করার মজাই অন্যরকম।পরিবারের সকলে মিলে রান্না করে খাওয়ার মজাই অন্যরকম। এই মজাটা বন্ধু বান্ধবের সাথে রান্না করে খেলে পাওয়া যায় না। আপনার বিষয়টি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ সুন্দর লেখাটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আমরা বিভিন্ন সময়ে পিকনিক করে থাকি, কখনো বন্ধুদের সাথে পিকনিক করি, আবার কখনো পরিবারের লোকদের সাথে পিকনিক করি, বন্ধুদের সাথে পিকনিক করার আনন্দ একরকম আর পরিবারের সাথে পিকনিক করার জন্য অন্যরকম, আপনার পরিবারের সাথে পিকনিক করা পোস্ট করে খুব ভালো লাগলো, অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমরাও মাঝে মাঝে পারিবারিক পিকনিক করতাম খুবই আনন্দ হতো আসলে খাবার তো প্রতিদিনই খাওয়া হয় কিন্তু অন্যভাবে খাওয়ার মাঝে অন্যরকম একটা ভালোলাগা থাকে।। আপনাদের পারিবারিক পিকনিক দেখে আমারও করতে খুব ইচ্ছা করছে।।