ভ্রমণ // হঠাৎ কোনো রকম পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই মিরপুর চিড়িয়াখানা ভ্রমণ।(পর্ব-৪)
তৃতীয় পর্বের পর থেকে
আমি তো আগেই বলেছিলাম চিড়িয়াখানাটা আসলে অনেক বড় এরিয়া নিয়ে তাই আমাদের হাঁটতে হাঁটতে আমরা সবাই অনেকটা ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি। এদিকে ছোট বাচ্চারা যেগুলো ছিল তারা তো মোটামুটি হাটাই বন্ধ করে দিয়েছে। এখন তাদের বায়না হল তাদেরকে আইসক্রিম খাওয়াতে হবে, পাশ দিয়ে একজন আইসক্রিমওয়ালা যেতে দেখেই তারা বায়না ধরে বসলো আইসক্রিম খাওয়ার। কি আর করা তারপরে আইসক্রিমওয়ালাকে ডেকে আব্বু এবং ছোট কাকা তারা দুজনে সকলের জন্য আইসক্রিম কিনে নিলো এবং আমরা সবাই ওই মুহূর্তে আইসক্রিমটা খেয়ে অনেকটা ক্লান্তি দূর হয়েছে মনে হলো। এরপর আমরা কিছু পানির বোতল কিনে নিলাম এবং সবাই মোটামুটি পরিমাণ মতো করে পানি খেয়ে অনেকটা ক্লান্তি দূর হওয়ার পর আবার সামনের দিকে হাঁটা শুরু করলাম।
কিছুটা সামনে অগ্রসর হতেই আমাদের চোখের সামনে পড়লো বড় একটি সাইনবোর্ড, যেখানে অনেকগুলো সাপের নাম সহ সাপের ছবি দেওয়া রয়েছে। তার মানে আপনারা বুঝতে পেরেছেন এখন আমি আপনাদের সামনে বেশ কিছু সাপের ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার আজকের এই ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লাগবে। তাহলে চলুন বন্ধুরা আমার তোলা বেশ কিছু সাপের ফটোগ্রাফি দেখে আসবেন।
- সামনে আরো কিছু দূর হেঁটে যেতে আমাদের নজরে পড়ল অনেকগুলো সাপ এবং সাপের নাম সহ একটি সাইনবোর্ড সেখানে বেশ কিছু সাপের নাম যেমন অজগর, কোবরা, সংখিনি ও দারস ইত্যাদি। সাপের খাঁচার সামনে যেতেই আমি কিছুটা ভয় পেয়ে যাই কারণ এভাবে এত কাছ থেকে আগে সেভাবে তেমন একটা সাপ দেখা হয়নি তাই ছবিগুলো তুলতে তুলতে অনেকটা ভয়ে ভয়ে তুলি যদিও পুরো সাপের খাঁচাটি গ্লাস দিয়ে বন্ধ করা তারপরও কেমন যেন ভিতরে একটা ভয় কাজ করছিল।
- সবগুলো এক জায়গায় স্থির হয়ে বসে নাই তারা এদিক থেকে ওদিকে ছোটাছুটি করছে কেউ উপরের দিকে উঠে যাচ্ছে আবার নেমে যাচ্ছে এভাবে তারা দর্শকদেরকে বিনোদন দেওয়ারও চেষ্টা করছে। আমরাও দেখে মোটামুটি ভালই লাগছিল আমাদের। এটা সম্ভবত কোবরা সাপ হতে পারে আর সেভাবে আমি এর সাইনবোর্ডটা খেয়াল করিনি দেখতে খুবই ভয়ঙ্কর লাগছিল। উপরের দিকে যখন উঠে যাচ্ছে তখন আমি ছবিটা তুলে নিলাম।
- এবার আমরা দেখব সংখিনী সাপ, খুবই ভয়ংকর একটি সাপ ছবি তো আপনারা দেখতে পারছেন বেশ কয়েকটি সাপ একসাথে রাখা হয়েছে। এদের গায়ের রংটা বেশ অদ্ভুত আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আপনাদের কাছে নিশ্চয়ই অনেক ভালো লাগবে। তবে অনেক ভয় লাগছে তাই খুব একটা কাছে না গিয়ে দূর থেকে ছবিগুলো তুলেছিলাম।
- এবার আমরা দেখব সবচেয়ে বড় আকর্ষণীয় এবং ভয়ংকর ও দেখতে অনেকটা অ্যানাকোন্ডার মত অজগর সাপ। ভয়ে তো আমি কাছেই যাইনি আপনারা দেখলে বুঝতে পারবেন অনেক দূর থেকে আমি এটিকে ছবি তুলেছি তাই খুব একটা বড় দেখা যাচ্ছে না কিন্তু বাস্তবে অনেক বড় এবং অনেক মোটা সাপ।
কোনো প্ল্যান ছাড়া ভ্রমণ করলে বেশ মজাই হয়।বাচ্চাদের সুবাদে আপনারা আইসক্রিম খেয়ে ক্লান্তি দূর করেছেন জেনে ভালো লাগলো।তাছাড়া সাপগুলো কত বড়,দেখেই শিউরে উঠছিলাম।ছবি ও নামসহ দেওয়াতে অনেকের চিনতে সুবিধা হয়েছে।আপনার ভয় লাগেনি?যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আইসক্রিম খেয়ে মোটামুটি সবার ক্লান্তি বের হলো। আর সাপগুলো দেখে আমি নিজেও অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন মিরপুর চিড়িয়াখানা ভ্রমণ। আসলে পরিকল্পনা ছাড়াই যে চিড়িয়াখানা ভ্রমণ করেছেন তা জানতে পারলাম জেনে বেশ ভালো লাগলো। আপনি চিড়িয়াখানার ভেতর করবেন দারুন দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে সব থেকে ভয়ংকর সাপের ফটোগ্রাফি বেশ ভাল ছিল। দেখে বোঝা যাচ্ছে সেখানে আপনারা বেশ সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
চিড়িয়াখানার যে এরিয়া তাতে যে কেউ হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে যাবে। সাইন বোর্ডের লেখা দেখেই বুঝতে পারছিলাম হয়তো আপনি সাপের ছবি শেয়ার করবেন। সচারাচর মেয়েরা তো সাপ দেখে ভয় পায় কিন্তু আপনার মোটামুটি সাহস আছে কারণ কাছে গিয়ে ছবি তুলেছেন হা হা হা।
সাপ দেখে আমারও খুব ভয় লেগেছিল কিন্তু কি করবো ফটোগ্রাফি করার জন্য একটু সামনে গিয়েছিলাম। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার ভ্রমণ পোস্ট দেখে বেশ ভালোই লাগলো।সত্যি আপু চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গেলে হাঁটতে হাঁটতে অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।আর বাচ্চাদের সুবিধাতে আপনারাও আইসক্রিম খেতে পারলেন।সত্যি আপু বিভিন্ন ধরনের সাপ দেখে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমি কিছু দিন আগে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গিয়েছিলাম কিন্তু সময় হয়নি বলে শেয়ার করা হয়নি। এই সাপ গুলো যখন বাস্তবে দেখেছিলাম তখন যেন শরীরের পশম দাঁড়িয়ে গিয়েছিল আর এত দিনে প্রায় ভুলে গিয়েছিলাম কিন্তু এখন আবার আপনার আজকের এই পোস্ট দেখে মনে পড়ে গেল। মিরপুর চিড়িয়াখানা অনেক বড় এরিয়া হওয়াতে ঘুরতে ঘুরতে অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। যাই হোক আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ঠিকই বলেছেন মিরপুর চিড়িয়াখানা অনেক বড়। হাঁটতে হাঁটতে সবার অবস্থা খারাপ। কিন্তু আবার সবাই থাকাতে বেশ ভালোও লেগেছে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
মিরপুর চিড়িয়াখানা ভ্রমণের অনুভূতি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। চিড়িয়াখানা ভ্রমণের অনুভূতি বেশ অসাধারণ হয়েছে। আসলে চিড়িয়াখানায় গেলে বিভিন্ন প্রকার পশু পাখি দেখলে খুবই ভালো লাগে। চিড়িয়াখানায় বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
সুন্দরও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা অবিরাম।
আইসক্রিম খাওয়ার পাশাপাশি দারুণভাবে চিড়িয়াখানায় ঘুরাঘুরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো আপু। মাঝে মাঝে পরিবারের সাথে কোথাও ঘুরতে যেতে অনেক ভালো লাগে। সাপটি দেখে সত্যি অনেক ভয় লাগছে। যাইহোক আপু আপনার ভ্রমণের এবারের পর্বটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
ঠিকই বলেছেন মাঝেমধ্যে পরিবারের সাথে কোথাও ঘুরতে গেলে ভালই লাগে। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
চিড়িয়াখানা এতো বড় ঘুরতে ঘুরতে টায়ার্ড হওয়ারই কথা।আপনি এ পর্বে সাপের সাইড ঘুরতে গেলেন।আসলে সাপ দেখলে শরীর কেমন যেনো করে উঠে। আপনি সাপের খাঁচা থেকে সাপের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন এখং বিবরন তুলে ধরেছেন। এজন্য অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
গরমের মধ্যে ঠান্ডা খেয়ে ক্লান্তি দূর হলো। আর আইসক্রিম পেলে এমনিতেই শরীরের সব ক্লান্তি চলে যায়। 🥹
আমিও চিড়িয়াখানায় কাছ থেকে সাপ দেখেছি খুব ভয় লাগে। চিড়িয়াখানায় প্রাণী গুলো চিনতে সহজ হয় নাম ও বর্ণনা লিখে দেওয়ার কারণে
আমিও ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি আপু বিশেষ করে যে সমস্ত জায়গায় বিশেষ কিছু দেখতে পারা যায় যেখানে সকল প্রকার পশুপাখি খুজে পাওয়া যায়। যাইহোক কিছুদিন ধরে আপনি আমাদের মাঝে চিড়িয়াখানার বিশেষ কিছু দৃশ্য উপস্থাপন করছেন এবং তা খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার।