"আমার বাংলা ব্লগ"প্রতিযোগিতা-৩৯/থানকুনি পাতা ও আলু ডিমের সমন্বয়ে সুস্বাদু ঝাল ভর্তা রেসিপি।
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছে। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজকেও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। তবে আজকে আপনাদের সাথে খুবই ইউনিক একটি প্রতিযোগিতার পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি, আমার বিশ্বাস এই পোস্টটি আপনাদের অনেক বেশি ভালো লাগবে। আমি সব সময় চেষ্টা করি সবগুলো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আসলে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার অনুভূতিটাই অন্যরকম। প্রতিটি প্রতিযোগিতার মতো এবারের প্রতিযোগিতাটিও খুবই ইন্টারেস্টিং ও ইউনিক। আর তাই আমি এই প্রতিযোগিতার আয়োজনকারী @nusuranur আপুকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এরকম একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য। সেই সাথে এই প্রতিযোগিতার সাথে সংশ্লিষ্ট "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির ফাউন্ডার বড় দাদা ও এক্সিকিউটিভ ছোট দাদা সহ সকল এডমিন মডারেটর সবাইকে জানাই আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে শুভেচ্ছা ও সাদর সম্ভাষণ।
রেসিপিটির সর্বশেষ কয়েকটি ফটোগ্রাফি
আজকে আমি সম্পুর্ন নিজের চেষ্টায় ভিন্নভাবে এই ভর্তা রেসিপিটি তৈরি করেছি। আমি যেই ভর্তা রেসিপিটি করেছি সেটি হচ্ছে থানকুনি পাতা দিয়ে আলু ও ডিমের সমন্বয়ে খুবই সুস্বাদু ও ইউনিক একটি ঝাল ভর্তা রেসিপি। থানকুনি পাতা অনেক উপকারী একটি উদ্ভিদ। এই থানকুনি পাতা কাঁচা ভর্তা করে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। ধরতে গেলে এটি একটি ওষুধি গুনসম্পন্ন উদ্ভিদ এর মাধ্যমে আরো অনেক উপকার পাওয়া যায়। এই থানকুনি পাতা এত উপকারী একটি উদ্ভিদ যে এর গুনাগুন বলে শেষ করা যাবে না। আমাদের বাসায় এই থানকুনি পাতার ভর্তা প্রায়ই করা হয়ে থাকে কারণ হলো যেহেতু আমরা জানি এটা একটি ঔষধি গুনসম্পন্ন উদ্ভিদ তাই এই থানকুনি পাতা যখনই বাজারে পাওয়া যায় আমার বাবা কিনে নিয়ে আসে। তাছাড়া আমাদের বাড়ীয়ালি আন্টিদের ছাদে এই থানকুনি পাতা রয়েছে মাঝেমধ্যে সেখান থেকে এনেও আমরা ভর্তা করে খেয়ে থাকি। যদিও সব সময় এই থানকুনি পাতা আর আলু দিয়ে ভর্তা করে খেয়ে থাকি এবার একটু ভিন্নভাবে করে দেখলাম যে খেতে কেমন হয়। সত্যি বলতে এতটা সুস্বাদু হয়েছে যে সবাই একবার নিয়ে বারবার নিতে চাচ্ছে, তাছাড়া গরম ভাতের সাথে খেতে দুর্দান্ত হয়ে থাকে। যেহেতু এই ভর্তাটি ঝাল ছাড়া ভালো লাগেনা তাই ঝাল একটু বেশি দিয়েই করেছি এতটা মজা হয়েছে যে ঝালের দিকে আর কারো কোনো নজর নেই সবাই খালি মজা মজা করে খেয়ে নিয়েছে, কিন্তু পরে ঝালের জন্য একটু কষ্ট পেয়েছে বটে কিন্তু খেয়ে অনেক তৃপ্তি পেয়েছে। যাইহোক আপনারা তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। আর হ্যাঁ অবশ্যই একটু ঝাল বেশি করে দিয়ে খাবেন তাহলে খেতে অনেকটা ভালো লাগবে।
- থানকুনি পাতা: এক আঠি
- ডিম: দুইটি
- আলু : ছোট মাঝারি মিলিয়ে পাঁচটি
- পেঁয়াজ: বড় সাইজের তিনটি
- রসুন: একটি
- শুকনা মরিচ: ৭/৮ টি
- কাঁচামরিচ: ৪/৫টি
- লবণ: পরিমাণমতো ও
- সরিষার তেল: পরিমাণ মতো।
- প্রথমে আমি একটি প্লেটে থানকুনি পাতা ব্যতীত সবগুলো উপকরণ একসাথে নিয়েছি।
- এবার আমি আলু গুলোকে পানি দিয়ে ধৌত করে একটি পাতিলে পরিমাণ মতো পানি নিয়ে আলু গুলোকে সিদ্ধ করে নিয়েছি। তারপর চামড়া ছিলে নিয়েছি।
- এবার আমি ডিম দুইটি ও পানি দিয়ে ধৌত করে নিয়ে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে সিদ্ধ করে নিলাম। এরপর ডিমগুলোর চামড়া ছিলে নিলাম।
- এবার আমি চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে এর মধ্যে পরিমাণমতো সরিষার তেল দিয়ে শুকনো মরিচ, কাঁচা মরিচ ও রসুনগুলো হালকা করে তেলে ভেজে নিলাম।
- এবার আমি একটি পেয়ালার মধ্যে আগে থেকে কুচি করে কেটে রাখা পেঁয়াজগুলো নিয়ে নিলাম।
- তারপর কাঁচামরিচ গুলো এর মধ্যে কেটে দিলাম।
- এরপর আমি রসুনগুলো কুচি কুচি করে কেটে এরমধ্যে দিয়ে দিলাম।
- তারপর শুকনা মরিচ গুলোকে ভেঙ্গে গুড়ো করে এর মধ্যে দিয়ে দিলাম।
- এবার আমি পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে ভালো করে সবগুলো মেখে নিলাম।
- এখন আমি থানকুনি পাতাগুলো ভালো করে পরিষ্কার করে পানি দিয়ে ধৌত করে নিলাম তারপর এগুলোকে কুচি কুচি করে কেটে নিলাম। তারপর কুচি কুচি করে কেটে নেওয়া থানকুনি পাতা গুলো এর আগে যে পুর তৈরি করেছি তার সাথে ভালো করে মেখে নিলাম।
- এবার আমি এর মধ্যে পরিমাণ মতো সরিষার তেল দিয়ে ভালো করে মেখে নিলাম।
- তারপর আগে থেকে সিদ্ধ করে রাখা আলু গুলো এর মধ্যে দিয়ে মেখে নিলাম।
- এবার আমি দিয়ে দিলাম সিদ্ধ করার ডিম, ডিমগুলো দিয়ে ভালো করে মেখে নিলাম।
- সবগুলো উপকরণ আমার এক এক করে দেওয়া শেষ এবার আমি হাত দিয়ে ভালো করে মেখে নিলাম। একটু ভালো করে মেখে নিতে হবে যেহেতু থানকুনি পাতাটা কাঁচা তাই একটু ভালো করে মেখে নিলে এটি কিছুটা নরম হয়ে যাবে এবং খেতে অনেকটা ভালো লাগবে।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার এবারের প্রতিযোগিতার ঝাল ভর্তা রেসিপি। প্রতিটা ধাপে ধাপে আমি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের এই ভর্তা রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আপনাদের কাছে এই ভর্তা রেসিপিটি কেমন লেগেছে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাতে ভুলবেন না। আজ এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ও আমার জন্য দোয়া করবেন।
ধন্যবাদান্তে
@isratmim
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার এবারের প্রতিযোগিতার ঝাল ভর্তা রেসিপি। প্রতিটা ধাপে ধাপে আমি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের এই ভর্তা রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আপনাদের কাছে এই ভর্তা রেসিপিটি কেমন লেগেছে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাতে ভুলবেন না। আজ এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ও আমার জন্য দোয়া করবেন।
ধন্যবাদান্তে
@isratmim
সেই কখন যে দেখলাম আপনার পোস্টি। মন্তব্য করি করি করে সবার পেছনে পড়ে গেলাম দেখছি। জাস্ট অসাধারণ একটি রেসিপি নিয়ে আপনি প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেছেন। আপনার করা রেসিপিটি কিন্তু আমার কাছে বেশ লোভনীয় মনে হয়েছে। শুভ কামনা রইল আপনার প্রতি।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আপনি খুবই ইউনিক একটি ভর্তা রেসিপি শেয়ার করেছেন। এই ভর্তা কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার ভর্তা দেখে তো খিদা লেগে গিয়েছে। থানকুনি পাতার শাক খেয়েছি কিন্তু এভাবে আলু ডিম দিয়ে থানকুনি পাতার ভর্তা খাওয়া হয়নি। আপনার উপস্থাপনা দারুন হয়েছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আমি একদিন অবশ্যই বাসায় এ ভর্তা রেসিপি তৈরি করে দেখব। ধন্যবাদ মজাদার ও ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ রেসিপিটি একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবেন আশা করি খেতে আপনার কাছে খুব ভালো লাগবে খেতে। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি তো অসাধারণ একটা রেসিপির মাধ্যমে কনটেস্ট এ অংশগ্রহণ করে ফেলেছেন ।ভর্তা রেসিপিটি দেখে জাস্ট জিভে জল চলে এসেছে। ইচ্ছে করছে নিয়ে এখনই গরম গরম ভাত দিয়ে খেয়ে ফেলি। কিন্তু আমার মনে হয় এতক্ষনে আপনার খাওয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় এই ভর্তা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আশা রাখি আপনি সেরা প্রতিযোগীদের একজন হবেন।
দোয়া করবেন যাতে সেরা প্রতিযোগীদের একজন হতে পারে। সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য ধন্যবাদ।
আপু, থানকুনি পাতার ঔষধি গুণাবলী রয়েছে, আর তাই থানকুনি পাতা শাক হিসেবে খাওয়া যায় তা জানতাম। তবে থানকুনি পাতা কাঁচা ভর্তা করে খাওয়া যায় তা জানতাম না। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে প্রথম দেখতে পেলাম। থানকুনি পাতা ও আলু ডিমের সমন্বয়ে সুস্বাদু ঝাল ঝাল ভর্তা রেসিপি খেতে নিশ্চয়ই খুবই মজার হয়েছিল। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, খুবই ইউনিক ও মজার একটি রেসিপি নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য।
এই থানকুনি পাতার ভর্তার রেসিপি আমার খুবই পছন্দের। সম্ভব হলে এভাবে একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। আশা করি আপনার কাছে খেতে ভালো লাগবে। রেসিপিটি খেতে খুবই মজা হয়েছে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
থানকুনি পাতা বেশ উপকারী শরীরের জন্য। আমিও থানকুনি পাতা ভর্তা করে ও রান্না করে খেয়েছি। কিন্তু এভাবে ডিম ও আলু দিয়ে কখনও ভর্তা করে খাওয়া হয়নি। দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভালই হবে। একদিন বাসায় করবো। অনেক ধন্যবাদ ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এভাবে একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। খেতে আপনার কাছে ভালই লাগবে। সুন্দরও গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার অনুভূতিটাই অন্যরকম। অনেকে ইউনিক একটি ভর্তা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। রেসিপিটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটা খেতে খুব সুস্বাদ হয়েছে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দরও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু থানকুনি পাতায় প্রচুর ঔষধ গুণাগুণ রয়েছে। আসলে আপু এই পাতা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। আপনার ভর্তা দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। ইস যদি একটু বলতেন তাহলে খেতে পারতাম হা হা হা।দেখি এভাবে একদিন অবশ্যই তৈরি করে দেখব।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ এভাবে একদিন ভর্তা করে খেয়ে দেখবেন। আশা করি আপনার কাছে খেতে ভালো লাগবে। আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
থানকুনি পাতা ও আলু ডিমের সমন্বয়ে সুস্বাদু ঝাল ভর্তা রেসিপিটি বেশ ইউনিক একটি রেসিপি। আপনি আমার বাংলা ব্লগের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনি বেশ ইউনিক ভর্তার রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ঝাল ঝাল ভর্তা খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। গরম ভাতের সাথে ঘর ভর্তা খাওয়ার মজাই আলাদা। ডিম ভর্তা অনেক খেয়েছি। তবে থানকুনি পাতা, আলু ও ডিমের সমন্বয়ে এভাবে কখনো ভর্তা করে খাওয়া হয়নি। নতুন একটি রেসিপি শিখতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে আপু। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শুভকামনা রইল আপু।
আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্যে শুভকামনা অবিরাম।