কাজিনদের সাথে গ্রীন পার্ক ভ্রমণ || পর্ব - ৪

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

আসসালামু আলাইকুম


সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।

পর্ব - ১

পর্ব - ২

পর্ব - ৩

ঈদে এবার নানুর বাড়িতে গিয়েছিলাম। অর্থাৎ ঈদের পরের দিন গাজিপুর থেকে নোয়াখালী গিয়েছিলাম। যেহেতু ঈদের পরে গিয়েছিলাম তাই ঈদ উপলক্ষে সেভাবে কোন জায়গায় ভ্রমণ করা হয়নি। তাই আমরা কাজিনরা মিলে ভাবলাম একটা জায়গায় ঘুরতে যাব। তারপর সবাই মিলে এই গ্রীন পার্কে যাওয়ার প্ল্যান করলাম। এই পার্কের মুহূর্তগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আজকে তৃতীয় পর্বটা শেয়ার করছি। যেহেতু পার্ক টা অনেক বড় তাই একটা বা দুইটা পোষ্টের মাধ্যমে শেষ করা সম্ভব নয়। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

IMG-20240715-WA0029~2.jpg

গত পর্বে আমি এই পার্কের রাইডে উঠার মুহূর্তগুলো শেয়ার করেছিলাম। আজকে শেয়ার করছি সেই পার্কটার লেকের পাশের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করছি। আমরা রাইডে উঠার পর হাঁটতে হাঁটতে লেকের পাশে গেলাম। মোটামুটি বড়ই ছিল লেকটা। লেকের মধ্যে অনেক রকম বোট ছিল। লেকের চারপাশে বিভিন্ন ধরনের গাছ থাকার কারণে সবুজ প্রকৃতিটা অনেক বেশি ভালো লাগছিল দেখতে। আর গাছগুলোর ফাঁকে ফাঁকে বড় একটা আর্টিফিশিয়াল ঈগল তৈরি করা ছিল। আর্টিফিশিয়াল একটা গাছ তৈরি করে সেখানে ঈগলটাকে বসানো হয়েছে। তাই যে অনেকটাই বড় ছিল যার কারণে পুরোটা ক্যামেরার মধ্যে আনতে একটু কষ্ট হয়েছে যেহেতু আমরা অনেক কাছাকাছি ছিলাম।

IMG-20240715-WA0024~2.jpg

IMG-20240715-WA0025~2.jpg

লেকের সামনেই কৃত্রিমভাবে বেশ বড় কিছু মাশরুম তৈরি করা ছিল। আর এখানে একটা ব্যাঙের বাসা তৈরি করা হয়েছে। মাশরুম গুলো খুবই সুন্দর লাগছিল দেখতে আর এর ভিতরে বেশ কয়েকটা ব্যাঙ ও তৈরি করা ছিল। তাছাড়াও আর্টিফিশিয়াল আরো কয়েকটা গাছ তৈরি করা ছিল এর ভেতরে। পুরো জিনিসটা খুবই ভালো লাগছিল দেখতে।

IMG-20240715-WA0026~2.jpg

লেকের দুই পাশে বসার জন্য এরকম জায়গা ছিল। বসার জন্য তৈরি করা এই জিনিসগুলো দূর থেকে দেখলে মনে হবে যে গাছ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। দূর থেকে মনে হচ্ছে বিভিন্ন রকম গাছের গাছ দিয়ে এগুলো তৈরি করা। পুরোটাই সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করার পর পেইন্টিং এর সাহায্যে করা হয়েছে। আর প্রত্যেকটা জিনিস খুব নিখুঁতভাবেই তৈরি করেছে দেখলাম। বসার এই জায়গাগুলোতে আমরা কিছুক্ষণ রেস্ট করেছি তবে সেটা ঘোরাঘুরি শেষ করে সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে। লেকের পাশে হওয়ার কারণে অনেক বেশি বাতাস ছিল সেখানে। আর চারপাশে অনেক গাছ-গাছালি থাকার কারণে বেশ ভালোই ঠান্ডা ছিল ওই জায়গাটা। আমরা সেখানে বসেই টুকটাক খাবার খেয়েছিলাম। অনেকেই দেখলাম বোট গুলো তে রাইড করছে।

IMG-20240715-WA0027~2.jpg

IMG-20240715-WA0031~2.jpg

এখানে একটা আর্টিফিশিয়াল প্রজাপতি তৈরি করা হয়েছে। এই জিনিসটাও লেকের সামনেই ছিল। এখানে মূলত সবাই বসে ছবি তুলে। তবে আমার কেন জানি এইরকম জায়গা গুলোতে বসে ছবি তুলতে ভালো লাগে না। এই ফটোগ্রাফি টা ক্যাপচার করার জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে কারণ জায়গাটা খালিই হচ্ছিল না।

IMG-20240715-WA0033~2.jpg

চলবে......

Location


এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল 💕💕

THANKS FOR WATCHING

FrDSZio5ZCzUamf35asauSgs1tnNGCc8exBrDii52qi3Js1AsXomsXdpf751AiTze5T6yn24ZDrriPQ5zc2XArsrDZBjJbctwBJNaKiLpg...KrgpPU6HriE7FgTVPj8uvxBtjuoGEamTLc8DSHVF6ipcqXSFjPje3YK3eGMrhXcYfw6tK2SwDzUo6hxThfwivyDbtdUAQ2cZ7mDKjHXfbE6PSfXLcM4y6cxW9U.png

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

ধন্যবাদান্তে
@isratmim


🤍আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়🤍


আমি ইসরাত জাহান মিম। আমার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে কিন্তু বাবার ব্যবসার কারণে ছোটবেলা থেকেই অবস্থান করছি গাজীপুরে। আমি আমার পড়াশুনা এইচ এস সি পর্যন্ত করেছি এবং এখন পরবর্তী পর্যায়ের ভর্তি প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবারের একজন সদস্য এজন্য আমি অনেক উৎসাহিত ও আনন্দিত। আমি বই পড়তে পছন্দ করি, সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে বিভিন্ন নতুন নতুন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে ও প্রকৃতির কাছাকাছি থেকে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করতে। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২০ সালের ১৭ই ডিসেম্বর। স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য।
Sort:  
 2 months ago 
 2 months ago (edited)

আপু,আপনি নোয়াখালী নানুর বাড়িতে এসে গ্রীন পার্কটি পরিদর্শন করেছেন। এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো।
যদিও গ্রীন পার্কটি অনেক নতুন। কয়েক বছর হয়েছে তৈরি করা হয়েছে। এটি অনেক বড় পার্ক। আমি কয়েকবার পরিদর্শন করেছি এই গ্রীন পার্কটি। কারন এ পার্কটি আমাদের বাড়ির খুবই কাছাকাছি। ধন্যবাদ আপনাকে এ পার্কের সুন্দর ফটোগ্রাফি করার জন্যা।

 last month 

আমার নানুর বাড়ির থেকে পার্কটি খুব কাছে। আমিও দুই বার গিয়েছিলাম। সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

 2 months ago 

নানু বাড়ি গিয়ে কাজিনদের সাথে গ্রীন পার্ক ঘুরলেন।পার্কটি বেশ সুন্দর বেশ সুন্দর।ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে দারুন একটি সময় কাটিয়েছেন আপনারা।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 last month 

এটা ঠিকই বলেছেন সবাই মিলে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছি। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

 2 months ago 

ঈদের ছুটিতে সবাই মিলে ঘুরাঘুরি করতে অনেক ভালো লাগলো। ঈদের ছুটিতে নানা বাড়ি গিয়েছিলেন আর কাজিনদের সাথে এই সুন্দর জায়গাটিতে ঘুরতে গিয়েছিলেন জেনে অনেক ভালো লেগেছে। আপনার ভ্রমন পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু।

 last month 

আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 2 months ago 

আপনি আপনার নানুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে কাজিনদের সাথে গ্রীন পার্কে ঘুরতে গেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। পার্কটি দেখতে অনেক সুন্দর আর আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিও করেছেন এবং সেগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 last month 

সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা অবিরাম।

 last month 

আমার করা মন্তব্য আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম আপু।

 2 months ago 

গ্রীন পার্ক ভ্রমণের আগের পর্বগুলোও দেখেছিলাম। আর আজকের পর্ব গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। কাজিনদের সাথে ঘুরতে গিয়েছিলেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। সবাই একসাথে ঘুরতে গেলে অনেক আনন্দ হয়। সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আপু।

 last month 

ঠিকই বলেছেন।সবাই মিলে ঘুরতে গেলে বেশ ভালোই লাগে। চমৎকার মন্তব্য করার পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

 2 months ago 

আপু এখন পার্কে বেশিরভাগ জায়গাতেই কোন প্রাণীর ছবি দিয়ে বসা জায়গা করে রাখছে। আর এখানে ছবি তোলার জন্য হাজারো মানুষের ভিড়। এই ভীড় উপেক্ষা করে আপনি যে অনেক সুন্দর ভাবে প্রজাপতি ছবিটা তুলতে পেরেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। পার্কে গিয়ে আপনারা সবাই মিলে টুকটাক খাওয়া-দাওয়া করছেন। জায়গাটি দেখে কিন্তু ভীষণ ভালো লাগলো আপু ।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

 last month 

সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

 2 months ago 

অনেক সুন্দর একটি পার্ক ভ্রমণ করেছেন। বেশ ভালো লাগলো অজানা একটি পার্ক সম্পর্কে ধারণা পেয়ে এবং পার্কের বেশ কিছু অংশ দেখতে পেরে। অনেক অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট উপস্থাপন করা। আশা করব এ পার্ক সম্পর্কে আরো অনেক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।

 last month 

সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 months ago 

কোথাও ঘুরতে গেলে অনেক বেশি ভালো লাগে। কোথাও ঘুরতে গেলে মনও ভালো হয়ে যায়।আপনি কাজিনদের সাথে গ্রীন পার্ক ভ্রমণের দারুন কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন আপু।ঈদের ছুটিতে দেখছি বেশ ভালোই সময় কেটেছিল আপনার।পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।

 last month 

মূল্যবান মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.032
BTC 59032.15
ETH 2518.27
USDT 1.00
SBD 2.46