রেসিপিঃ- আমড়া ও চিংড়ি মাছ দিয়ে দেশীয় কচুর মুখী রান্না রেসিপি।
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আপনাদের সাথে একটি রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি। এটি হচ্ছে আমড়া ও চিংড়ি মাছ দিয়ে দেশিয় কচুর মুখি রান্না রেসিপি। কচুর মুখি আমাদের বাসায় খুব একটা রান্না হয় না মাঝেমধ্যে খাওয়া হয়। তবে এভাবে দেশি কচুর মুখী গুলো জলপাই বা আমড়া দিয়ে সেই সাথে চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করলে খেতে কিন্তু খুবই অসাধারণ হয়ে থাকে। কচুতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ তাই আমাদের সকলেরই উচিত বেশি বেশি করে কচু জাতীয় আইটেম গুলো দিয়ে বিভিন্ন মজাদার রেসিপি তৈরি করে খাওয়া। আশা করি আপনাদের কাছে আমার আজকের এই রেসিপিটি ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
রেসিপিটির সর্বশেষ ফটোগ্রাফি
- দেশীয় কচুর মুখি
- চিংড়ি মাছ
- আমড়া
- পেঁয়াজ
- রসুন
- মরিচের ও হলুদের গুঁড়া
- কাঁচা মরিচ
- ধনিয়া পাতা
- লবণ ও
- সয়াবিন তেল।
- প্রথমে কচুর মুখি গুলোকে ভালো করে চামড়া ছাড়িয়ে নিলাম। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধৌত করে নিলাম। তারপর চিংড়ি মাছ গুলোকেও ভালো করে কেটে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধৌত করে নিলাম। এভাবে পেঁয়াজ কাঁচামরিচ ধনিয়া পাতা এগুলো পানি দিয়ে ধৌত করে কেটে নিলাম।
- এবার আমি চুলায় একটা কড়াই বসিয়ে পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল দিয়ে এর মধ্যে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কুচি গুলো দিয়ে দিলাম।
- এবার আমি এর মধ্যে চিংড়ি মাছগুলো দিয়ে কিছুটা নেড়েচেড়ে ভেজে নিলাম।
- এবার আমি দিয়ে দিলাম এর মধ্যে রসুন বাটা যেহেতু কচুর মুখী তাই রসুনটা একটু বেশি করে দিতে হবে তা না হলে গলায় ধরতে পারে।
- এবার আমি দিয়ে দিলাম এর মধ্যে শুকনো হলুদ ও মরিচের গুঁড়া।
- তারপর দিয়ে দিলাম জিরা গুড়া ও পরিমাণ মতো লবণ।
- এবার আমি সবগুলো উপকরণ একসাথে নেড়ে নিলাম তারপর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিলাম।
- তারপর কচুর মুখি গুলো এর মধ্যে আস্তে আস্তে দিয়ে দিলাম।
- তারপর আমি আগে থেকে কেটে রাখা আমড়া গুলো এর মধ্যে দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে দিলাম।
- কচুর মুখি গুলো বেশ কিছুক্ষণ চুলায় রেখে সিদ্ধ করে নিলাম। এরপর সিদ্ধ হয়ে গেলে আমি এর মধ্যে আগে কেটে রাখা ধনিয়া পাতা গুলো দিয়ে দিলাম।
- তো বন্ধুরা দেখতে দেখতে আমার রেসিপিটি তৈরি হয়ে গেল, এখন আমি খেতে কেমন হয়েছে বা লবণ হয়েছে কিনা চেক করে চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম। আর পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত করলাম।
















আমড়া আর চিংড়ি দিয়ে রান্না আমি খেয়েছি কিন্তু আমড়া, চিংড়ি আর কচুর মুখি দিয়ে রান্না আমি কখনো খাইনি। আপনার এই রান্নাটি দেখে মনে হচ্ছে রান্নাটি অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনার রান্নার প্রতিটি ধাপ অনেক পরিষ্কার এবং পরিচ্ছন্ন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আমড়া ও চিংড়ি মাছ দিয়ে দেশীয় কচুর মুখী রান্নার রেসিপি দেখে আমার তো খুবই লোভ লেগে গিয়েছে। এরকম মজার মজার খাবার গুলো খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। এটি খুবই ইউনিক একটা রেসিপি ছিল। রেসিপির কালার কম্বিনেশন জাস্ট অসাধারণ ছিল যা দেখে বুঝতে পারছি খুবই সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি হয়েছে রেসিপিটি। সম্পূর্ণ রেসিপি ভালোই ছিল বলতে হয়।
হ্যাঁ রেসিপিটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমড়া ও চিংড়ি মাছ দিয়ে দেশীয় কচুর মুখী রান্না রেসিপি বাহ্ দারুন হয়েছে। আপু আমি বেশ কয়েকদিন থেকে আমড়া খুজতেছি পাচ্ছিনা। আর আপনি আমড়া দিয়ে চমৎকার রেসিপি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপু। নতুন একটি রেসিপি শিখে নিলাম।
সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার কাছেও কচুর মুখী খেতে বেশ ভালো লাগে তবে এভাবে কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি বেশ লোভনীয় দেখতে হয়েছে। এমন সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
সম্ভব হলে এভাবে একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। আশা করি আপনার কাছে ভালো লাগবে খেতে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার রেসিপিটা দেখি দারুন হয়েছে ।দেশীয় কচুর মুখী গুলো আমার অনেক ভালো লাগে। গ্রাম অঞ্চলে এগুলো অনেক বেশি পাওয়া যায় কিন্তু আপনি কোথায় পেয়েছেন আমি বুঝতে পারছি না। রান্নার কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে কতটা মজা হয়েছে। আর সাথে আমড়া ব্যবহার করার কারণে কিছুটা টকটক খেতে অনেক মজা লাগবে।
আমাদের বাড়িওয়ালী নানুরা এ কচু গাছগুলো ছাদে লাগিয়েছে এবং কচুর মুখী গুলো আমাদেরকে দিয়েছেন। হ্যাঁ রেসিপিটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আমড়া ও চিংড়ি মাছ দিয়ে দেশীয় কচুর মুখী রান্না রেসিপিটি দেখে জিভে জল চলে এলো। রেসিপিটির কালার বেশ চমৎকার এসেছে। বেশ চমৎকারভাবে প্রতিটি ধাপের মাধ্যমে রেসিপিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা অবিরাম।
আমড়া দিয়ে কখনো তরকারি রান্না করে খাওয়া হয়নি আপু। আজকে নতুন একটি রান্না শিখলাম। কচুর মুখী দিয়ে এবং চিংড়ি মাছ অনেক খেয়েছি। তবে আমড়া দিয়ে এভাবে রান্না করা হয়নি কখনো। আজকে এই নতুন রেসিপি দেখে মন চাচ্ছে তৈরি করতে। অবশ্যই একদিন বাসায় তৈরি করার চেষ্টা করব। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এই লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু সম্ভব হলে এভাবে একদিন তৈরি করে দেখবেন। আশা করি আপনার কাছে ভালো লাগবে সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমড়া ও চিংড়ি মাছ দিয়ে দেশীয় কচুর মুখী রান্না রেসিপি। রেসিপিটি খুবই ভালো লাগলো অনেকদিন হলো এই ধরনের রেসিপি খাওয়া হয় না। রেসিপি কালারটা অনেক সুন্দর হয়েছে খেতে অনেক টেস্টি হয়েছিল বুঝি।
আপনাদের ভালো লাগাই আমার কাছে সার্থকতা। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
অনেক ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। রেসিপিটি দেখে জিভে জল চলে এসেছে। আপনি অনেক সুন্দর করে ধাপগুলো গুছিয়ে লিখেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদেরকে মাঝে শেয়ার করার জন্য।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।