নাটক রিভিউ // "ব্যস্ত ডাক্তার" নাটকটির চতুর্থ পর্বের রিভিউ।

কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও আল্লাহর মেহেরবানীতে ও আপনাদের দোয়ায় বেশ ভাল আছি। আসলে আমি কখনো নাটক বা সিনেমা রিভিউ করিনি। তবে এবার একটু চিন্তা-ভাবনা করলাম যে একটি নাটকের রিভিউ দিয়ে শুরু করি। আসলে পড়ালেখার ব্যস্ততার কারণে এখন তেমন একটা নাটক সিনেমা দেখাই হয় না। তবে আমি আজকে যে নাটকটি রিভিউ দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছি এই নাটকটি অনেক পুরনো একটি নাটক এ নাটকের যারা অভিনয় করেছেন সবাই আমার খুব প্রিয়। এর মধ্যে বিশেষ করে সালাউদ্দিন লাভলু, আ ক. ম. হাসান, তিশা, ফজলুর রহমান বাবু এরা আমার সবচেয়ে প্রিয় অভিনেতা অভিনেত্রী। এদের অভিনয়কৃত এই নাটকটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। তাই আমি চিন্তা ভাবনা করলাম আপনাদের মাঝে নাটকটির পর্ব আকারে রিভিউ দিলে আপনারাও এই নাটকটি দেখে অনেক মজা পাবেন এটা আমার বিশ্বাস। সত্যি বলতে নাটকটি অনেক মজার একটি নাটক। আজকে আমি এই নাটকের চতুর্থ পর্বটি রিভিউ আকারে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।

এর আগের পর্বে আপনারা দেখেছিলেন ব্যস্ত ডাক্তার সে রুগীর বাড়িতে আর না গিয়ে বাড়ি চলে এসেছিল। এদিকে রাতে ব্যস্ত ডাক্তারের স্ত্রী তাকে এই কথাটা জিজ্ঞাসা করলে সে উত্তরে বলে যে না সে রোগী দেখতে যায়নি এতে করে ব্যস্ত ডাক্তারের স্ত্রী কিছুটা রেগে গিয়েছিল। ব্যস্ত ডাক্তারের স্ত্রী রেগে যাওয়াতে ব্যস্ত ডাক্তার তাকে আগামীকাল সকালে যাবে বলে আশ্বস্ত করে। এরপর তারা রাতে শুয়ে পড়ল।

পরদিন সকালে ব্যস্ত ডাক্তার সেই লোকটির বাড়িতে গিয়ে হাজির হলেন। কিন্তু সে এতটা ব্যস্ত রোগী দেখতে গিয়ে সে তাড়াহুড়ো করে দাইমাকে ইনজেকশন পুশ করে দিলেন। যাই হোক পরবর্তীতে সে রোগী দেখে ওই দিনের ডাক্তারি কার্যক্রম শেষ করে বাড়ি ফিরে এলেন। তারপর আবার রাতে ব্যস্ত ডাক্তারের স্ত্রী তাকে জিজ্ঞাসা করলেন রোগীর বাড়িতে গিয়েছে কিনা এবং রোগীর কি অবস্থা। ডাক্তার বললেন যে হ্যাঁ গিয়েছিলাম রোগী দেখে এসেছি সে এখন ভালো আছে। তার থেকে টাকা নিয়েছেন কিনা তখন সে বলল হ্যাঁ ৫০০ টাকা নিয়েছি এক হাজার টাকা চেয়েছিলাম ওরা ২০০ দিবে ৩০০ দিবে এরপরে ৫০০ টাকা দিতে রাজি হয়েছে, আমিও সেটা নিয়ে চলে এসেছি। তখন ব্যস্ত ডাক্তারের স্ত্রী বলল যে কাজটা তুমি ভালো করেনি ওরা তো গরিব মানুষ ওদের কাছ থেকে এত টাকা না নিলেই পারতে। ডাক্তার বলল যে এটাই তো আমার ব্যবসা টাকা না দিলে আমি চলবো কিভাবে।

এটা শুনে ব্যস্ত ডাক্তারের স্ত্রী অনেক তারে রেগে গেল। তারপর ব্যস্ত ডাক্তার তার স্ত্রীকে বলল এসো আমরা শুয়ে পড়ি। তখন তার স্ত্রী তাকে বলল না আমি শোবো না । এভাবে রাগ অভিমানে তাদের রাতটা কেটে গেল। এদিকে শওকত সাহেব ও তার স্ত্রী কে রাতে পিঠ চুলকিয়ে দেওয়ার জন্য বলল কিন্তু তার স্ত্রী ঘুম আসতেছে বলে শুয়ে গেল। শওকত সাহেব কিছুটা রেগে গিয়ে তাকে বললে তুমি শুয়ে যাও তার স্ত্রী সেটা বুঝতে পেরে তার অভিমান ভাঙানোর জন্য তার পিঠ চুলকিয়ে দিল এভাবে তাদেরও রাত কেটে গেল।

সকাল হলে এদিকে বেলাল মুরগি গুলোকে ছাড়তে গিয়ে মুরগির খড়ের ভিতর দুটি ডিম পেল এবং সেটা দেখে ব্যস্ত ডাক্তারের স্ত্রীকে ঠিক দিয়ে বলল তাকে একটা ভাজি করে দেওয়ার জন্য। ব্যস্ত ডাক্তারের স্ত্রী বলল যে ডাক্তার সাহেব কি খাবে? তখন বেল্লাল বলল ডাক্তার সাহেব একটা খাবে আমি একটা খাব। আবার নিজে থেকেই বলল তাহলে ভাবি তুমি কি খাবা। ঠিক আছে তাহলে তুমি দুইটাকে একসাথে ভাজি করো আমরা তিনজনে ভাগ করে খাব। কাজের ছেলে হলেও বেল্লাল কিন্তু তাদের কাছে অনেক প্রিয় এবং ব্যস্ত ডাক্তারের স্ত্রী তাকে আশ্বস্ত করে বলল ঠিক আছে আমরা দুটো ভাজি করে একসাথে তিনজনে মিলে খাব, বাকি কাজগুলো সেরেনে।

হঠাৎ করে এর আগে আপনারা দেখেছিলেন যে ছেলেটির হাত ভেঙ্গেছিল ব্যস্ত ডাক্তার তার দুহাতে ব্যান্ডেজ করেছিল ভুল করে তাকে নিয়ে তার বাবা ব্যস্ত ডাক্তারের বাড়িতে এসে হাজির আক্তার স্ত্রী তাকে বলল ঠিক আছে আপনি বসেন আমি ডাক্তারকে ডেকে দিচ্ছি এদিকে ডাক্তার ঘুমাচ্ছিল। স্ত্রী তাকে ডেকে দিল এবং বলল যে তার বেশ কয়েকজন রোগী এসেছে। এরপর ব্যস্ত ডাক্তার এসে তার এক এক করে সবগুলো রোগীকে দেখলেন এবং ওষুধ দিলেন তাদের বিভিন্ন সমস্যাগুলো শুনলেন। একজন রোগী এসেছে ছাগলকে নিয়ে তার ছাগলের পা ফুলে গিয়েছে ব্যস্ত ডাক্তার সেই ছাগলের পা দেখে তাকে বলল চেম্বারে যাওয়ার জন্য অপারেশন করতে হবে তা না হলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। তারপর সে তার চেম্বারে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে গেলেন।

এরপর সে বেলালকে ডাকলো মোটরসাইকেল ধাক্কা দেওয়ার জন্য। বেলাল ধরে এসে তার মোটরসাইকেল ধাক্কা দিয়ে দিলাম ধাক্কা দিতে গিয়ে এক পর্যায়ে পড়ে গেল তারপর সে আবার উঠে মোটর সাইকেল ধাক্কা দিয়ে স্টার্ট হওয়ার পর ডাক্তার তার চেম্বারে চলে গেল। এদিকে তার চেম্বারও বেশ কয়েকজন রোগী এসে হাজির এবং ছাগল নিয়ে সেই লোকটি ও তার চেম্বারে গিয়ে হাজির হয়েছে।

অন্যদিকে মফিজ কম্পাউন্ডার এর প্রেমিকা তাকে দূর থেকে দেখে ডাকতে ডাকতে দৌড়ে এসে তাকে থামালো এবং তার সাথে দূর থেকে কথা বললো। মফিজ কম্পাউন্ডার তাকে বলল রাজবাড়িতে গিয়ে তার জন্য অপেক্ষা করতে বিকালে সে তার সাথে দেখা করবে। এ কথা বলে মফিজ কম্পাউন্ডার শেষ তার কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেল। ব্যস্ত ডাক্তার তার চেম্বারে এসে এক এক করে রোগী দেখা শুরু করল এভাবেই সেদিনটা অতিবাহিত করতে থাকলো।

এই পড়বে আমি তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখতে পাইনি, সাধারণ জীবন যাপন যেভাবে চলে সেভাবেই চলছিল প্রত্যেকটা চরিত্রের মধ্যে। তবে ব্যস্ত ডাক্তারের ব্যস্ততার যে ভুলগুলো যেমন সে রোগীকে ইনজেকশন না দিয়ে দাই মাকে ইনজেকশন দিয়ে বসে রয়েছেন এটা আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছে আসলে। আমাদের গ্রাম অঞ্চলে এখন এরকম অনেক ডাক্তার রয়েছে যাদের কারণে অনেক রোগী ক্ষতি হচ্ছে সেটা তারা বুঝেও না বোঝার মত থাকছে এই বিষয়গুলো কিন্তু এই ব্যস্ত ডাক্তারের ব্যস্ততার মাঝেই তা ফুটে উঠেছে। আরো একটি বিষয় লক্ষ্য করলাম ব্যস্ত ডাক্তারের স্ত্রীর কিন্তু গরীব মানুষের প্রতি অনেক সহানুভূতি এবং ভালোবাসা রয়েছে তার এ বিষয়টা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।