পাশের রুমের ভাবির মেয়ে হওয়ার জন্য অনুষ্ঠান প্রথম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন আশা করি সবাই ভাল আছেন আল্লাহর রহমতে আমিও ভাল আছি।
- পাশের রুমের ভাবির মেয়ে হওয়ার জন্য অনুষ্ঠান প্রথম পর্ব
আমি যে বিল্ডিং এ থাকি এটা ফ্যামিলি বাসা শুধু আমি একমাত্র বেচেলার একা একটা রুমে থাকি। এখান থেকে বেশ কয়েকদিন আগে পাশের রুমের ভাই আমাকে তার মেয়ে হওয়ার জন্য দাওয়াত দিয়েছিলো যে সামনের শুক্রবারে এখানে অনুষ্ঠান হবে আমি যেন তাদের অনুষ্ঠানে হাজির থাকি।
বৃহস্পতিবার এই দিন অফিস থেকে বাসায় আসছি তাড়াতাড়ি বাসায় আসার কারণ প্রচন্ড গরম আর মাথা বেথার জন্য। বাসায় এসে দেখি অনেক লোকজন ডেকোরেশন এর জন্য লোকজন হাজির। বাসার সামনে একটা বালুর মাঠ আছে, সেখানে অনুষ্ঠানের যাবতীয় কাজ করবে,, রান্না বান্না,, প্যান্ডেল খাওয়ানোর জায়গা।
তখন বাজে সন্ধ্যা ৬ টা,, অনুষ্ঠানের জন্য যাবতীয় জিনিস তারা এক এক করে বাসায় হাজির রান্নার জন্য বড় বড় হাড়ি ফ্রেশ পানি,ঠান্ডা পানি। মুরগির রোস্টের জন্য তারা বাড়িতে জীবিত মুরগি নিয়ে হাজির বাসার সামনে রাখছে এখানে প্রচুর জায়গার সমস্যা এর ভিতর বড় ধরনের অনুষ্ঠান বলে কথা। পাশের রুমের ভাইদের একটাই রুম আর আমি ব্যাচেলার আমার একটাই রুম তাদের আত্মীয়-স্বজনের ভরপুর কে কোথায় থাকবে আর এই প্রচন্ড গরমের ভিতর সহ্য করার মতন না তাতে মানুষের ভিড় আমার কাছে এক কথায় অসহ্য খুব কষ্ট করে রাতটা পার করলাম ভাবি এসে আমারে বলছে বোন তুমি তো একা থাকো একটা রাতের জন্য একটু যদি তোমার রুমে আমাদের আত্মীয়-স্বজনের জায়গা দিতা তাহলে খুব উপকার হতো। আমি আর না করতে পারলাম না।
রাত তখন বাজে এগারো টা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মশার কামড় খাচ্ছি এদিকে ঘুম আসছেনা তাই পাশের রুমের একটা মেয়েকে নিয়ে বাসার সামনে ছোট একটা চায়ের দোকানে গিয়েছিলাম, সে আর আমি মিলে দুইজনে দুই কাপ দুধ চা খেলাম।
চা খাওয়া শেষ বাসায় আসব এমন সময় পাশে তাকিয়ে দেখি একটা সহৃদয়বান ব্যক্তি তিনি দোকান থেকে কয়েকটা রুটি কিনে দুইটা কুকুরকে খাওয়াচ্ছে আমার কাছে এটা একটা মহৎ গুণ এরকম বিবেক ও মানসিকতা সবার ভিতর থাকে না এমন গরমের দিনে যারা পশুপাখি তাদের দেখা দেখাশুনা করার দায়িত্ব আমাদের আমরা মানব জাতি এজন্য সকল জাতির উপরে সহনশীলতা বোধ দেখানো উত্তম।
এইভাবে যারা রান্নার জন্য এসেছিল তারা আমার রুমের পাশে সারারাত ধরে কাজ করছিল এইভাবে আমি রাত চারটা পর্যন্ত পার করলাম সোফার উপরে বসে বসে আর কতক্ষণ,, নিজের কাছে খুব অস্বস্তি বোধ করছি,, মনে মনে ভাবছি এইভাবে আর কতক্ষণ বসে থাকা যায় তাই তুমিও না করে তখন বাজে সাড়ে তিনটা গোসল করে এসে ফ্রেশ হয়ে আমি কোনমতে একটু শোয়ার জায়গা পেলাম,, দুই ঘন্টা ঘুমানোর পর চারপাশে আওয়াজ শুরু হয়ে গেছে। সবাই রুম থেকে বের হয়ে যে যার মতন কাজে ব্যস্ত। আমি দরজা লাগিয়ে সকাল দশটা পর্যন্ত ঘুম দিলাম।
আজকের মতন এখানে শেষ করছি লেখার ভিতর কোন ভুলভ্রান্তি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আল্লাহ হাফেজ।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
Thank you very much for your valuable vote.
আপনি যেখানে আছেন তার পাশের রুমের ভাবির মেয়ে হওয়ার জন্য তারা একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে, আসলে ঢাকা শহরে গ্রামের মতো অনুষ্ঠান করার মতো জায়গার খুবই অভাব বেশিরভাগ বড় বড় রেস্টুরেন্ট বুক করে থাকেন অনেক মানুষ, যাইহোক পাশের বাসায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মশার কামড় উপভোগ করছিলেন তখন ভাবলেন পাশের দোকান থেকে চা খেয়ে আসার জন্য, যাইহোক সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি যে বাসায় থাকেন সেই বাসার পাশের রুমের এক ভাবীর বাচ্চার অনুষ্ঠান হয়েছে। যে কোন অনুষ্ঠান হলে তো আত্মীয়-স্বজনরা আসবে এটা স্বাভাবিক। তবে বর্তমানে ঢাকা শহরে একটু অন্যরকম আর এই রকম গরমে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা আসলেই বেশ কষ্টদায়ক।
অনুষ্ঠানের খানিক মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।