আমার আঁকা কিছু ছবির সাথে

in Incredible India20 hours ago

নমস্কার বন্ধুরা। সকলে কেমন আছেন? আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। আমিও সুস্থ আছি। আর প্রতিবেশী দেশের যা পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে, তার জন্য সবাই আমরা আতঙ্কিত। দেশের মানুষ জন আতঙ্কিত। আমি ভালোভাবে বুঝতে পারছি। সবকিছু তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক এটাই আমি সবসময় প্রার্থনা করছি। সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যাক।

খুব প্রিয়
20240717_091411.jpg

অনেকদিন ধরে ভাবছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার ছবি আঁকা গুলো। ছবি তো অনেক আঁকি। মোটামুটি স্কেচ থেকে শুরু করে জল রং সমস্তটাই পারি। কিন্তু যখন ছবি আঁকি ,তখন আর মনে থাকে না ছবি তোলার কথা। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়ে ওঠেনা।

যেমন আপনি দেখবেন
20240717_091637.jpg

আজ ভাবলাম আঁকা ছবিগুলোই পরপর আপনাদের সাথে শেয়ার করি। ছবি আঁকা ছোট থেকে আমি কোথাও শিখিনি। ছোটবেলা থেকেই বাবাকে দেখে এসেছি ছবি আঁকতে পছন্দ হতো। এবং সাথেই বাবা ছোট থেকেই নানান ধরনের মূর্তি বানাত। সমস্তটাই আমার চোখের সামনে হয়ে এসেছে ।

গোধূলির অভিমানে
20240717_090611.jpg

বাড়িতে রং তুলি, মাটির, এবং এই সমস্ত শিল্পকলার করার জন্য যা যা দরকার কোন কিছুরই অভাব ছিল না। ছোট থেকেই আমাদের বাড়িতে বাবাকে দেখে এসেছি এই সমস্ত কিছু নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করতে। বাবার সাথে আরো অনেকজন কাজ করতো।

দেবদারু
20240717_090557.jpg

আমাদের বাড়ির সামনেই প্রথমে একটি ছোট্ট কারখানা ঘর ছিল।। সেখান থেকেই দেখতাম নানান ধরনের মূর্তি তৈরি হতে। আজ ঠাকুরের আশীর্বাদে আমাদের এখন বেশ বড় স্টুডিও তৈরি হয়েছে। অত বড় জায়গায় নির্দ্বিধায় স্বাধীনতার সাথে সবাই মিলে কাজ করে যাচ্ছে। বড় বড় মূর্তি তৈরি হচ্ছে। এগুলি সব কিছুই ভগবানের আশীর্বাদ।

নিরুদ্দেশে
20240717_091358.jpg

ছোটবেলা থেকে পড়াশোনা এবং গানের প্রতি আমার ভালোবাসার জন্য আমি আমার বাবার কাজের সাথে কখনো যুক্ত হই নি। বাবা ও আমাকে এই সমস্ত কিছু শেখানোর সময় পায়নি। বাবা নানান কাজে এত ব্যস্ত থাকতো, সময় করে এসে আমাকে ছবি আঁকা শেখানো কিংবা মূর্তি তৈরি করা শেখানো কখনোই বাবার সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

সবথেকে বড় কথা আমি যখন জন্মগ্রহণ করি ,তার কিছু মাস পর থেকেই বাবা পাঞ্জাবে চলে যায়। একটা বড় প্রজেক্ট এর কাজের জন্য ।বাবাকে দীর্ঘদিন ওখানে থাকতে হয়। বাবার সাথে বাবার পুরো টিম যেত। সেই গোটা টিম নিয়ে মোটামুটি ২০১৩ সাল অব্দি বাবা বাইরে ছিল সরকারি মিউজামের মূর্তি তৈরির জন্য। মাঝে মধ্যে আসতো বাড়িতে।তাই আরোই শেখার সময় হয়নি।

কিন্তু নিজের অজান্তেই এই ছবি আঁকা এবং মূর্তি তৈরি করার প্রতি আমার ভালবাসা জন্মে গিয়েছিল। আর আমি একা একাই পারতাম। নানান ধরনের ক্যালিওগ্রাফি করতাম। একা একাই চেষ্টা করতাম করার। আর এভাবেই চলছে। এখনো বাবা বসার সময় পায়না। শেখানোর সময় পায় না। তাও আমি কত কিছু শিখে গিয়েছি।

আসলে কোনও কিছু করতে ভালোবাসা , ইচ্ছা দরকার। এগুলো থাকলে একজন মানুষ দ্রুত অনেক কিছু শিখতে পারে। আমার খুব ভালো লাগে ছবি আঁকতে।মন ভালো কি খারাপ থাকুক। আমার যখন মন চায়। আমি আমার মত করে ছবি আঁকি। আর তারপর বাবাকে দেখিয়ে বলি ,দেখো আমি একাই পারি।

কিছুদিন আগে ঈশান খুব জেদ করে ব্রাশ পেন কিনিয়েছে। ওর ঐ পেন দিয়েই ছবিগুলো এঁকেছি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

Sort:  
 20 hours ago 

আমি জানি তুমি খুব সুন্দর ছবি আঁকতে পারো ।তোমার আঁকা ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে। তোমার সুন্দর ছবি আঁকা গুলি শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 20 hours ago 

বাহ কি দারুন হাতের কাজ দেখলেই তো মন জুড়িয়ে যাচ্ছে। বরাবরের মতো আজও অসম্ভব সুন্দর এঁকেছেন আপনি।

আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল আরো সুন্দর সুন্দর ছবি আপনি আমাদের মাঝে অঙ্কন করে যেন উপস্থাপনা করতে পারেন। ভালো থাকবেন দিদি।

Loading...

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.13
JST 0.026
BTC 57372.40
ETH 2456.19
USDT 1.00
SBD 2.41