ঢেপা নদীর তীরে একদিন সময় কাটানোর ফটোগ্রাফি। ||১০% বেনিফিসিয়ারি shy-fox এর জন্য||

💖 আমার বাংলা ব্লগ।💖

হ্যালো বন্ধুরা। সবাই কেমন আছেন। আশা করি ঈশ্বরের কৃপায় সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আশীর্বাদে কুশলেই আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার সংক্ষিপ্ত ঘুরে দেখা একটি নদী ও নদী তীরের বর্ণনা শেয়ার করব। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক নদীতীরের বর্ণনা।
নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশে রয়েছে অসংখ্য নদী। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, আড়িয়াল খাঁ বুড়িগঙ্গা সহ নাম জানা অজানা আরো অনেক নদী রয়েছে। আমাদের দিনাজপুরের বুক চিরে বয়ে চলেছে কয়েকটি নদী, সেগুলো হলো ইছামতি, কাঁকড়া, আত্রাই পুনর্ভবা কাঞ্চন ঢেপা ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে কিছু কিছু নদীতে বছরের বেশির সময়ে পানি প্রবাহিত হয় না। নদীগুলোো শুকিয়ে যায়। তাই খরা মৌসুমে কৃষকেরা নদীর শুকনো জমিতে প্রাণ সঞ্চার করে বিভিন্ন প্রকার ফসল ফলায়। খরা মৌসুমে কৃষকরা ধান ভুট্টা সরিষা আলু সহ বিভিন্ন ধরনের আবাদ করে এবং দেশের খাদ্য শস্যের ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করে। এরমধ্যে ঢেপা নদী এরকমই একটি নদী।
ঢেপা নদীর উৎপত্তিস্থল: প্রত্যেক নদীরই একটি উৎপত্তিস্থল আছে। তেমনি ঢেপা নদীরও একটি উৎপত্তি স্থল রয়েছে। দিনাজপুর বীরগঞ্জ এর মালিজল নামক স্থানে আত্রাই নদী হতে সৃষ্টি হয়ে ঢেপা নদী নামে প্রবাহিত হতে থাকে।
পতিত স্থল: প্রত্যেক নদীর যেমন উৎপত্তিস্থল আছে তেমনি পতিত স্থলও রয়েছে। উপরোক্ত স্থান হতে ঢেপা নদী দীর্ঘ ৪২ কিলোমিটার পথ প্রবাহিত হয়ে দিনাজপুর সদরের রাজপাড়া ঘাটে এসে পুনর্ভবা নদীতে এসে নিজেকে বিলিয়ে দেয়।
নদীটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ: নদীটি দৈর্ঘ্য ৪২ কিলোমিটার প্রায় এবং প্রস্থ ১২0 মিটার।

নদীপারের বর্ণনা: নদীর দুই পাড়ের বাঁধ ঘেঁষে গড়ে উঠেছে জনবসতি। নদীর পাড় ঘেঁষে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার গাছপালা এবং মাঝে মাঝে বাঁশঝাড় পরিলক্ষিত হয় যাহা নদীর সৌন্দর্যকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। যেহেতু এখন খরা মৌসুম তাই এ মৌসুমে কৃষকেরা ধান ভুট্টা ও অন্যান্য ফসল চাষ করেছে। নদীর বুকে দিগন্ত জোড়া এসব ফসলের মাঠ দেখে সত্যিই প্রাণটা জুড়িয়ে যায়।

পক্ষান্তরে বর্ষাকালে এই নদীতে প্রবল স্রোতে পানি প্রবাহিত হয়। বর্ষাকালে এই নদীতে মাছ ধরার ধূম পরে যায়। বর্ষাকালের এসব দৃশ্য দেখে অনেকটাই ভালো লাগে। আবার নদীর কূল ঘেঁষে অনেক জায়গায় বাজারও গড়ে উঠেছে। দিনাজপুর বিরলের আজিমপুর নামক স্থানে একটি সেতু দেখতে পাওয়া যায় এবং এই সেতুকে কেন্দ্র করে নদীর পাড়ে জমে উঠেছে ভদ্র বাজার নামক এক জাঁকজমকপূর্ণ বাজার। এই বাজারে শাক- সবজী, ধান ও পাট সহ বীভীন্ন প্রকার ফসল ক্রয় বিক্রয় হয়ে থাকে।

বাজারের খন্ডচিত্র

এলাকাবাসীর ধারাভাষ্য অনুযায়ী এসময় নদীতে পানি থাকে না। তবে এ বছর ঘন ঘন বৃষ্টিপাতের কারনে নদীতে কীছুটা পানি দেখতে পাইলাম।

ভদ্র‌ বাজারে বর্ষাকালে নদীর মাছ পাওয়া যায় যাহা জগৎ বিখ্যাত হিসেবে পরিচিত।
পরিশেষে বলা যায় ঢেপা নদী ছোট নদী হলেও ‌খরা মৌসুম ও বর্ষা মৌসুমে দুই রকম রূপ ধারণ‌ করে দিনাজপুরের সৌন্দর্যকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে যাহা নিজ চোখে দেখে বুঝা যায় যে, আসলেই ঢেপা নদী দিনাজপুরকে অনেক সৌন্দর্যে সৌন্দর্য মন্ডিত করেছে। তাই ভ্রমণ পিপাসু লোকজন এখানে ভ্রমণ করতে এসে ঢেপা নদীর প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে যায় যেটা আমার ক্ষেত্রেও হয়ে গেছে।

প্রয়োজনীয় তথ্য

বিভাগ	বিবরন
ফটোগ্রাফার	@hiron34
আলোকচিত্রের ধরন	নদী
ডিভাইস	স্যামসাং এম 21
ক্যামেরা মডেল	48 মেগাপিক্সেল
তারিখ	10-5-2022
স্থান	আজিমপুর, বিরল, দিনাজপুর
লোকেশন	///partnerships.shut.latte

এতক্ষন ধরে ধৈর্য্য সহকারে আমার এই পোষ্ট টি পড়ার জন্য আপনাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। জানিনা কেমন হয়েছে আমার আজকের আলোকচিত্রগুলো। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ব্লগের সবার দীর্ঘায়ূ কামনা করে আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। পরবর্তীতে হাজির হব অন্য কোন বিষয় নিয়ে। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।