বৈশাখি মেলায় ঘোরাঘুরি || পর্ব-১
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজকে আমি শেয়ার করব বৈশাখী মেলায় ঘোরাঘুরির কিছু মুহূর্ত। বাহিরে যে পরিমাণ গরম পড়েছে এতে করে মেলায় যাওয়ার কথা শুনে অনেকে অবাক হবেন। আমারও কোন ইচ্ছে ছিল না কিন্তু ছোট বোন এসেছে বাসায় আর সবদিক চিন্তা করে একটু ভাবলাম বিকেল বেলা ঘোরাঘুরি করায় যায়। তাই আমি ভালো একটা সময় বেছে নিয়েছিলাম সেটা হচ্ছে ইফতারের কিছু আগে। ভেবেছিলাম মেলায় একটু ঘুরাঘুরি করে ইফতারটা বাহিরে সেরে বাসায় ঢুকবো।আর ইফতারের আগে মেলায় গিয়ে দেখি মেলায় তেমন লোকজনই নেই। তাই ভালোই হলো খুব খোলামেলা পরিবেশে ঘোরাঘুরি করলাম তারই কিছু মুহূর্ত তুলে ধরার চেস্টা করছি।
তো প্রথমে আমরা বাসা থেকে রেডি টেডি হয়ে বের হয়ে একটা রিক্সা নিয়ে মেলার দিকে গেলাম। মেলাটা আমার বাসা থেকে খুবই কাছে দুই তিন মিনিটের মতো লেগেছে রিকশা দিয়ে যেতে। তো গিয়ে বেশ ভালো লাগলো ফাঁকা পরিবেশে। তো গিয়ে আমরা প্রথমে কয়েকটা ছবি তুললাম এরপর আমি আশেপাশে কয়েকটি ফটোগ্রাফি করা শুরু করে দিলাম। আর যেখানে এখন যাই না কেন সব জায়গাতেই ফটোগ্রাফি করা বাদ পড়ে না।
আমরা বড় বড় শপিংমল গুলোতে বাচ্চাদের খেলনা গুলা সব সময় প্লাস্টিকের দেখি কিন্তু মেলায় গেলে একটা জিনিস লক্ষ্য করা যায় এখানে কাঠের অনেক সুন্দর সুন্দর খেলনা পাওয়া যায় এবং মাটির অনেক সুন্দর সুন্দর খেলনা পাওয়া যায়। যা আমাকে অনেক মুগ্ধ করে। ভেবেছিলাম বাবুকে কিছু কিনে দিবো তারপর ভাবলাম আমার ছেলে যে দুষ্ট এই জিনিসগুলো ও দুই মিনিটও ঠিক রাখবে না। এই ভেবে পরে আর কিনে দেইনি। তবে ও খুব খুশি হয়েছিল। চারপাশে এত খেলনা ও বারবার আমাকে ওগুলো দেখিয়ে দিচ্ছিল ওর বাবাকে দেখাচ্ছিল।
তো আমরা বেশ অনেকক্ষণ মেলায় ঘোরাঘুরি করে ইফতারের কিছু আগে বের হয়ে যাই মেলা থেকে। আমি মেলায় কিছু কেনাকাটা করেছিলাম আমি পরবর্তীতে সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আসলে আমি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছি যেগুলো আপনাদের সাথে আমি আস্তে আস্তে শেয়ার করব।
তো এই ছিল আমার মেলায় ঘোরাঘুরির মুহূর্ত। আমি প্রথম পর্বে আপনাদের সাথে এইটুকুই শেয়ার করলাম। পরবর্তীতে আরো কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করব। আশা করছি আপনারা আমার সঙ্গেই থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।








আপনার মেলায় ঘুরে ঘুরে দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল, আগে একটা সময় বৈশাখ মাস আসলেই আমরা মেলায় যেতাম, কাঠের ওই খেলনা গুলো এরপর মাটির সেই খেলনা ডুগডুগি কত কিছুই না কিনতাম তখন, একটা অন্যরকম মজা কাজ করতো , এখন আর আমাদের এদিকে তেমন মেলা হয় না।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ছোটবেলার দিনগুলো অনেক ভালো ছিলো। এই মেলাতেও মাটির এবং কাঠের অনেক খেলনা ছিল। ইদানিং তো এমন মেলা আর দেখাই যায় না।
রমজান মাসে ইফতারের আগে মেলায় লোকজনের সংখ্যা খুবই কম থাকে। তাই তো মেলায় গিয়ে অল্প সংখ্যক মানুষ দেখেছিলেন। আপু আপনি মেলায় ঘুরাঘুরি করেছেন এবং সেই অনুভূতি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু।
আমি ইচ্ছে করে ইফতারের আগে সময়টা বেছে নিয়েছিলাম কারণ দুপুর কিংবা বিকেল বেলা লোকজন বেশি থাকবে গরম পড়বে অনেক। যার কারণে আমি এই সময়টা বেছে নিয়েছিলাম আপু। তারপরও ভালই গরম ছিল। তবে ফাঁকা মেলায় বেশ আনন্দে ঘোরাঘুরি করা হয়েছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দরভাবে মন্তব্য করার জন্য।
বৈশাখী মেলা উপলক্ষে বাচ্চাদের সাথে মেলায় ঘোরাঘুরি দারুণ একটি মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আর এ মেলায় ঘোরাঘুরির বিশেষ বিশেষ স্থানের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। রমজান মাস তাই বৈশাখী মেলা সেভাবে হয়নি তার পরে অনেকেই এর মধ্য থেকেই আনন্দ খুঁজে নিয়েছে। যাইহোক খুব ভালো লাগলো পোস্ট পড়ে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া রমজান মাস উপলক্ষে মেলাটা একটু ছোট হয়েছিল। তা না হলে প্রত্যেক বছর এই স্কুল মাঠে অনেক বড় মেলা বসে। তবে এবার বেশ হাতে গোনা কয়েকটা দোকান ছিল মেলায়। তারপরও অনেক বাচ্চাকাচ্চারা আনন্দ করছে এবং আমরাও কিছুটা আনন্দ খুঁজে নিয়েছি সেখানে।
গ্রাম বাংলার সবচেয়ে জনপ্রিয় মেলা সেটা বৈশাখী মেলা ৷ আপনি দেখি ছোট বোন শায়ন কে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন ৷ অনেক ভালো মেলার বেশ কিছু আলোকচিত্র দেখে ৷ পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা ৷
জি ভাইয়া গ্রাম বাংলায় এই মেলা গুলো অনেক বড় করা হয়। তবে শহরে তো একটু ছোটই হয়েছে মেলার আয়োজনটা। তারপরও বেশ ভালোই আনন্দ করছে সবাই।
প্রচন্ড গরমে বাহিরে বের হওয়াটাই যেন দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে আর সেখানে আপনি মেলা থেকে ঘুরে এসেছেন, দেখে খুবই ভালো লাগলো। তবে বড্ড বাচ্চা বেঁচে গেছেন, মেলায় ভিড়ের পরিমাণ কম থাকাতে। আমরা ছোটবেলায় বাবা-মার হাত ধরে এই বৈশাখী মেলায় ঘুরতে যেতাম। আর এখন আমি ছেলে মেয়ের হাত ধরে তাদেরকে মেলায় ঘুরতে নিয়ে যাই। তবে আমাদের এদিকে এখনো বৈশাখী মেলা শুরু হয়নি। তাই বৈশাখী মেলায় আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত দেখে খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এটাই জীবন ভাইয়া এক সময় আমরা বাবা মার সঙ্গে গেছি এখন আমরা বাবা-মা হয়ে গেছি আবার কিছুদিন পর আমাদের সন্তানরা বাবা-মা হয়ে যাবে। এভাবেই যুগের পর যুগ কেটে যাবে। আপনার মন্তব্যটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আগে আমরাও বৈশাখী মেলায় যাওয়ার জন্য খুব বায়না করতাম। মেলায় যেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনার ছোট বোন এবং সায়নকে নিয়ে মেলায় বেশ আনন্দে সময় কাটিয়েছেন। ইফতারের আগে যাওয়াতে মেলায় বিড় একটু কম ছিল। মেলায় যাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ইচ্ছা করে ইফতারের আগে গিয়েছিলাম আপু যাতে মেলায় লোকজন কম থাকে আর একটু খোলামেলা পরিবেশে ঘোরাফেরা করতে পারি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য।
গরম হলেও বাচ্চাদেরকে নিয়ে এভাবে মেলায় ঘোরাঘুরি করলে ভালো লাগে। আপনি ঠিক বলছেন মাটির জিনিস এবং কাঠের জিনিস গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় তো প্লাস্টিকের জিনিস দেখা যায় ভিন্ন ধরনের কিছু দেখলে ভালো লাগে। ছোট বোনকে নিয়ে খোলামেলা পরিবেশে বেশ সুন্দর সময় কাটালেন।
জি আপু খুব ইচ্ছা ছিল মাটির কিছু জিনিস এবং কাঠের কিছু জিনিস ছেলেকে কিনে দিবো কিন্তু আমার যে ছেলে আর ও এত পরিমাণ দুষ্ট ওই জিনিসগুলো ৫ মিনিটও ঠিক রাখবে না। যার কারণে অনেক ভেবেচিন্তে কিনে দেইনি।
প্রচুর গরমের কারণে কোথাও যেতে মন চায় না। এই গরমের মাঝেও আপনি বৈশাখি মেলায় গিয়েছেন। তবে ঠিক বলেছেন আপু মেলাতে খুব সুন্দর সুন্দর কাঠের খেলনা এবং মাটির সুন্দর জিনিস পাওয়া যায়। গরমের কারণে মেলাতে লোক সংখ্যা কম হওয়ার কারণে আপনাদের সুবিধা হয়েছে। খুব সুন্দর করে মেলাতে ঘুরতে পেরেছেন। আশা করি পরের পর্বগুলো আমাদের মাঝে খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন।
জি ভাইয়া ইফতারের আগ মুহূর্তে লোক সংখ্যা খুবই কম ছিল এবং বেশ স্বাচ্ছন্দে ঘোরাফেরা করা গিয়েছে। তারপরও গরম ছিল আর কিছুক্ষণ পর আমরা একটা রেস্টুরেন্ট ঢুকেছিলাম যার কারণে এসির মধ্যে ঢুকে আর তেমন কষ্ট হয় নাই। তারপর ইফতার করে তো বাসায় চলে এসেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এখন অতিরিক্ত গরম এই কারণে কোথাও যেতে মন চায় না। তবে আপনি এই গরমের মাঝেও বৈশাখি মেলায় ঘোরাঘুরি করলেন। তবে আমার কাছেও মেলায় যেতে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে মেলার মধ্যে জিনিসপত্র গুলো দেখলে কিনতে মন চায়। কিছুদিন আগে ফেনীতে একটি মেলা বসলো আমরা সপরিবারে মেলাতে গেলাম। গরমের কারণে লোকসংখ্যা হয়তো কম থাকার কারণে আপনাদের সুবিধা হল। সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পরবর্তী পোস্টগুলো আশা করি আমাদের মাঝে তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন।