রুই মাছের মাথা দিয়ে পালং শাকের ঘন্ট🥘🥘
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি ব্লগে স্বাগতম। এখন শীত পড়েছে বাজারে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি পাওয়া যাচ্ছে শীতের। আর শীতের শাকের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পালং শাক। আজ আমি আপনাদের সাথে পালং শাকের নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করব। সেটি হচ্ছে "রুই মাছের মাথা দিয়ে পালং শাকের ঘন্ট।" রেসিপিটি আমার হেল্পিং হ্যান্ড এর কাছ থেকে শেখা।দিদি মাঝে মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রেসিপির কথা আমাকে শোনান। যেহেতু আমি রেসিপি করি তাই ওনার কাছ থেকে মাঝেমধ্যেই শুনতে চাই। ওনাকে দিদি বলছি কারণ উনি হিন্দু। উনার সাথে আমাদের খুবই ভালো একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। প্রায় দুই বছর থেকে উনি আমার বাসায় কাজ করেন।গতকাল আমি যখন শাক কাটছিলাম তখন দিদি আমাকে এই রেসিপির কথা বলছিলেন। তাই আজকে ওনার কথা মত এই রেসিপিটা বানিয়ে ফেললাম। সত্যি কথা বলতে এত সুস্বাদু হয়েছিল খেতে বলে বোঝাতে পারবো না।
তো যাই হোক বন্ধুরা চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল রেসিপিতে চলে যাই।
উপকরনসমূহঃ |
---|
পালং শাক |
রুই মাছের মাথা |
পেঁয়াজ কুচি |
কাঁচামরিচ ফালি |
আদা-রসুন বাটা |
জিরা-ধনিয়ার গুঁড়া |
হলুদ গুঁড়া |
চালের গুঁড়া |
সাদা এলাচ |
তেজপাতা |
পাঁচফোড়ন |
লবণ |
তেল |
ধাপ-১
প্রথমে শাকগুলো ভালোভাবে বেছে কেটে ধুয়ে নিয়ে একটি প্লাস্টিকের ঢালায় তুলে পানি ঝড়িয়ে নিয়েছি।
ধাপ-২
এরপর মাছের মাথাগুলোতে লবণ এবং হলুদ গুঁড়া মাখিয়ে কড়াই তেল দিয়ে মাছের মাথা গুলো ভেজে নিয়েছি। মাছের মাথা ভাজা হয়ে গেলে আধা ভাঙা করে তুলে নিয়েছি মাছের মাথাগুলো।
ধাপ-৩
এবার মাছ ভাজার তেলে সাদা এলাচ তেজপাতা এবং পাঁচফোড়নের ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি এবং কাঁচা মরিচ ফালি দিয়ে নেড়েচেড়ে হালকা বাদামি করে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৪
এরপর গুঁড়া মসলা এবং বাটা মশলা দিয়ে কিছুক্ষণ মসলা কষিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৫
শাক দিয়ে ভালোভাবে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করে নিয়েছি যাতে শাক ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে যায়।
ধাপ-৬
ওদিকে রান্না হতে হতে আমি আমি চালের গুঁড়ার একটি মিশ্রণ বানানোর জন্য চালের গুঁড়ার মধ্যে সামান্য পানি দিয়ে একটি পাতলা মিশ্রণ বানিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৭
এবার ঢাকনা সরিয়ে চালের গুঁড়ার মিশ্রণটা দিয়ে অনবরত নাড়তে হবে।
ধাপ-৮
নাড়তে নাড়তে অনেকটা গাঢ় হয়ে এলে আগে থেকে ভেঙে ভেজে রাখা মাছগুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে রান্নাটি নামিয়ে নিতে হবে। এরপর দুপুরের অন্যান্য খাবারের সাথে পরিবেশন করেছি।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকে রেসিপি। আশা করছি রেসিপিটা আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। যারা পালং শাক খেতে পছন্দ করেন বা পছন্দ করেন না তারা এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখবেন। আশা করছি আপনার কাছে ভালো লাগবে। তো আজ এখানেই শেষ করছি দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।
সত্যি আপু আমরা যতই রেসিপি করি না কেন আমাদের শেখার শেষ নেই। আপনি বেশ ইউনিক একটি রেসিপি করেছেন। আসলে শাক অনেক রান্না করেছে কিন্তু এভাবে কখনো রুই মাছের মাথা দিয়ে রান্না করা হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম একদিন অবশ্যই তৈরি করব। ধন্যবাদ আপু, ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দিদির কাছে বেশ কিছু রেসিপি আমি শিখে নিয়েছি। ধীরে ধীরে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করব। এভাবে রেসিপি করে দেখবেন আপু খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
মাছের মাথা দিয়ে কোন কিছু রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। তবে এভাবে কখনো পালং শাক দিয়ে মাছের মাথা রান্না করে খাওয়া হয়নি। মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল। আপু আপনার রেসিপিগুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।
জ্বী আপু মাছের মাথা দিয়ে এভাবে পালং শাক রান্না করলে খেতে খুবই মজার হয়। সুন্দর একটি মন্তব্যের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
শীতের সময় পালং শাক খুবই উপকারী একটা সবজি। পালং শাক ঘন্টা আমার কাছে বেশ পছন্দের। রুই মাছের মাথা দিয়ে পালং শাক ঘন্ট দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। আশা করি খেতে অনেক সুস্বাদু হবে।
এই রেসিপিটি দেখতে যেমন লোভনীয় খেতেও তেমনি সুস্বাদু। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
পালং শাক আমার খুবই পছন্দের একটি শাক। তবে পালং শাক দিয়ে রুই মাছের মাথার ঘন্ট এর আগে খাওয়া কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার কাছে নতুন রেসিপি দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাবি সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য। মাছের মাথা দিয়ে এভাবে পালং শাক রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়।
আসলে আমরা কখনো কখনো কারো না কারো কাছে রেসিপি শিখে থাকি।সেরকম আপনি ওই দিদির কাছে মজাদার রেসিপিটি শিখেছেন। খুব সুন্দর লোভনীয় হয়েছে রেসিপিটি।দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর লোভনীয় রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আমি এটা সবসময়ই করে থাকি যখনই কারো সঙ্গে পরিচয় হয় বা খুব ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার কাছ থেকে নতুন নতুন রেসিপি শিখে থাকি। কারণ আমার রান্না করতে খুবই ভালো লাগে। জ্বী আপু দেখতে যেমন সুন্দর খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল।
শীতকালীন উল্লেখযোগ্য খাবারের মধ্যে পালং শাক অন্যতম।
পালং শাক আমার খুবই প্রিয় বিশেষ করে ইলিশ মাছ দিয়ে ঘন্ট করলে সব থেকে বেশি মজা হয়।
যদিও এই শীতে এখন পর্যন্ত খাওয়া হয়নি তবে আপনার এমন মজাদার রেসিপি দেখে সত্যি লোভ সামলানো মুশকিল।
পালং শাকের রেসিপি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমন পুষ্টিগুণে ও ভরপুর।
পালং শাক আমাদেরও খুবই পছন্দের। তাইতো শীতের আগে থেকেই খাওয়া শুরু করেছি।ঠিক বলেছেন ভাইয়া পালংশাকে প্রচুর পরিমানে পুষ্টিগুণ রয়েছে ।
শীতকাল আসলেই বাজারে অনেক শাক সবজি পাওয়া যায় শীতের। সবথেকে আমার ফুলকপিটা ভীষণ ভালো লাগে শীতের সময়। আপনার কাছে ভালো লাগে জেনে খুশি হলাম এবং আমার কাছেও পালং শাক রান্না করে ঝোল করে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আমি খেয়েছি রুই মাছের মাথা দিয়ে পালং শাকের ঘন্ট এত দারুন লাগে খেতে। মন বলে যে ভাত খেয়ে যা মেলা।আমার তো দেখেই অনেক লোভ লেগে যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় উপকরণগুলি আপনি সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার রান্নার ধরনটি ভীষণ ভালো লাগলো এবং এই ধরনের রেসিপিগুলি বেশ মজাদার ও সুস্বাদু হয়। আপনি অনেক দারুন ভাবে সাবলীল ভাষায় আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল
এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া শীতকালের সবজির মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম হচ্ছে ফুলকপি। বিভিন্নভাবে রান্না করা যায়। আমার এই রেসিপিটাও খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
রুই মাছের মাথা দিয়ে পালং শাকের ঘন্ট কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। একদিন বাসায় তৈরি করার চেষ্টা করবো। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এভাবে একবার রান্না করে খেয়ে দেখবেন আপু আমার বিশ্বাস আপনি এটা পছন্দ করবেন। কেননা এভাবে রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়।