ডিম দিয়ে মিষ্টি কুমড়ার মজাদার রেসিপি 🥘
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ডিম দিয়ে মিষ্টি কুমড়ার মজাদার রেসিপি। আমি জানিনা আপনারা কখনো এভাবে ডিম ভেজে দিয়ে মিষ্টি কুমড়া রান্না করেছেন কিনা।তবে সত্যি বলতে এই ভাবে ডিম ভেজে মিষ্টি কুমড়া রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়।আমার বাসায় মিষ্টি কুমড়া আনলে বেশিরভাগ সময় এভাবেই রান্না করে থাকি কারণ মাছ দিয়ে মিষ্টি কুমড়া রান্না আমার কাছে খেতে খুব একটা ভালো লাগে না। আশা করছি আজকের রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। তো চলুন বন্ধুরা রেসিপিতে চলে যাই।
উপকরনসমূহঃ |
---|
মিষ্টি কুমড়া |
ডিম |
পেঁয়াজ কুচি |
কাঁচামরিচ কুচি |
আদা-রসুন বাটা |
জিরা-ধনিয়ার গুঁড়া |
হলুদ গুঁড়া |
মরিচের গুঁড়া |
লবণ |
তেল |
ধাপ-১
প্রথমে আমি এক কেজি পরিমাণ মিষ্টি কুমড়া নিয়ে টুকরো করে কেটে ধুয়ে নিয়েছি।
ধাপ-২
চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে কড়াইয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে পেঁয়াজ কুচি গুলো হালকা করে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এবার কেটে ধুয়ে রাখা মিষ্টি কুমড়ো গুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে পেঁয়াজের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৪
কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে ভেজে নেওয়ার পর গুঁড়া মসলা এবং বাটা মশলা দিয়ে কুমড়ার সাথে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৫
সামান্য পরিমাণে পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করে নিয়েছি সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত।
ধাপ-৬
যেহেতু আমি ডিম ভেজে রান্না করব তাই একটি বাটিতে পেঁয়াজকুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, সামান্য আদা রসুন বাটা পরিমাণ মতো লবণ এবং হলুদ গুঁড়া নিয়ে চারটি ডিম ভেঙে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি। এরপর চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে ডিমের মিশ্রণ দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ভেজে নিয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিয়েছি ভাজনির সাহায্যে।
ধাপ-৭
অন্যদিকে সবজি সেদ্ধ হয়ে গেলে আবারও কিছুটা পরিমাণ ফুটানো গরম পানি দিয়ে ঝোল ফুটে উঠলে ভেজে রাখা ডিম গুলো দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করে নামিয়ে নিয়েছি।
রেসিপির ফাইনাল লুকঃ
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের রেসিপি। আশা করছি আপনাদের কাছে রেসিপিটি ভালো লেগেছে। সবশেষে একটা কথাই বলবো অবশ্যই একবার হলেও এভাবে এভাবে ডিম ভেজে দিয়ে মিষ্টি কুমড়ো রান্না করে খেয়ে দেখবেন। আশা করছি আপনারা এটা পছন্দ করবেন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন রেসিপি বা অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
ডিম দিয়ে মিষ্টি কুমড়ার এই মজাদার রেসিপিটি দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগতেছে। বেশ দারুণভাবে সম্পূর্ণ করেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল। দেখতে অসাধারণ ছিল।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ডিম দিয়ে এখনো কোনদিন মিষ্টি কুমড়ার রেসিপি খাওয়া হয়নি। আসলে দেখছি খুবই সুন্দর করে ডিম দিয়ে মিষ্টি কুমড়ার মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। আপনি ধারাবাহিক ভাবে খুবই সুন্দর করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে সত্যি অনেক মজাদার হয়েছে।
ডিম দিয়ে মিষ্টি কুমড়া রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয় ভাইয়া। একবার বানিয়ে খেয়ে দেখবেন। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
মিষ্টি কুমড়ার সাথে ডিম দিয়ে যে এভাবে রেসিপি তৈরি করা যায় সেটা আপনার পোস্ট না দেখলে বুঝতে পারতাম না আপু। রেসিপি টা দেখেই মনে হচ্ছে একটু খেয়ে দেখি এতটাই লোভনীয়ভাবে তৈরি করেছেন আপনি। এরকমভাবে ডিম দিয়ে মিষ্টি কুমড়া কখনো খাওয়া হয়নি। তবে চেষ্টা করব এরকম ডিম দিয়ে মিষ্টি কুমড়ার রেসিপি তৈরি করার জন্য। রেসিপিটা ধাপে ধাপে বর্ণনা করে আমাদের শিখিয়ে দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। পরবর্তী নতুন রেসিপি পোস্ট দেখার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
আমাদের সবারই অন্যের কাছ থেকে কিছু শেখার থাকে। যেমন আপনি প্রথমবার এই রেসিপিটি দেখলেন। সত্যি কথা বলতে ভাইয়া এভাবে ডিম দিয়ে মিষ্টি কুমড়া রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। অবশ্যই একবার বাসায় বানিয়ে খাবেন। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
মিষ্টি কুমড়ো মাছ দিয়ে চচ্চড়ি করে খেয়েছি। সাধারণত আমরা এভাবে খেয়ে থাকি। কিন্তু কখনও ডিম দিয়ে মিষ্টি কুমড়ো খাওয়া হয়নি। যেহেতু খাওয়া হয়নি সেহেতু এই রেসিপিটা আমার কাছে নতুন। তবে আপনার রান্না দেখে খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে গেল। কোন একটা দিন এভাবে রান্না করে খাবো। আপনি রান্নার ধাপ গুলো খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আমার কাছে মিষ্টি কুমড়া মাছের থেকে ডিম দিয়ে রান্না করলে খেতে বেশি ভালো লাগে। অবশ্যই একবার রান্না করে খাবেন ভাইয়া। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ডিম দিয়ে কুমড়ো রান্নার স্বাদের একটি রেসিপি। আপনি দেখতেছি প্রথমে কুমড়ো রান্না করে নিয়েছেন এরপরে ভাজী ডিম দিয়ে দিয়েছেন এতে রেসিপিটি দেখতে আরও লোভনীয় হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া গুছিয়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ডিম দিয়ে কখনো এভাবে মিষ্টি কুমড়া রান্না করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজা হয়েছে। আসলে আপু ডিম ভেজে অনেক রান্না করা হয়েছে কিন্তু কখনো মিষ্টি কুমড়া দিয়ে খখঝঝ।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু অবশ্যই বাসায় এভাবে একদিন মিষ্টি কুমড়া রান্না করে খেয়ে দেখবেন। আশা করছি ভালো লাগবে। সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
অনেক সুন্দর লোভনীয় রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার আজকের এই ডিমের রেসিপি দেখে খুবই ভালো লেগেছে আমার। মাঝেমধ্যে এমন সুন্দর সুন্দর রেসিপি তৈরি করে নিজের খেতে যেমন ভালো লাগে পরিবারের মানুষের খাওয়াতে ভালো লাগে। অসাধারণ হয়েছে আপু আপনার রেসিপি।
হ্যাঁ আপু নতুন নতুন রান্না করতে নিজের যেমন ভালো লাগে। পরিবারের সবাইকে খাওয়াতেও ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ডিম ভেজে এভাবে আলু দিয়ে রান্না করে খেয়েছি আপু। মিষ্টি কুমড়া দিয়ে কখনো খাইনি আপু। তবে দিন ভেজে রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। এভাবে একদিন মিষ্টি কুমড়া দিয়ে খেয়ে দেখব আপু। ধন্যবাদ আপনাকে আপু নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
একবার মিষ্টি কুমড়া দিয়ে ডিম ভেজে রান্না করে খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
খুবই মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। এই রেসিপিটি আমারও খুব প্রিয়। আমার আম্মু প্রায়ই মিষ্টি কুমড়া দিয়ে ডিম এভাবে ভেঁজে রান্না করে থাকে। অনেক মজা লাগে এই রেসিপিটি গরম ভাত দিয়ে খেতে। আপনার তৈরি রেসিপিটি ও অনেক লোভনীয় লাগছে দেখতে। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ডিম ভেজে দিয়ে মিষ্টি কুমড়ার রেসিপিটি আমারও অনেক পছন্দের আপু। আমিও প্রায় সময় এভাবেই রান্না করে থাকি।আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে অনেক ভালো লাগলো।
মিষ্টি কুমড়া দিয়ে এভাবে ডিম রান্না করলে খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে আমিও প্রায়ই খাই । আপনি তো দেখছি একেবারে সেম পদ্ধতিতে রান্না করেছেন আমার মত করে । আমি অবশ্য আলু ব্যবহার করি আলু ছাড়াও মনে হয় খেতে খুব ভালো লাগে । ভালো লাগলো আপনার রেসিপিটি ।
জ্বী আপু আমি সব সময় এভাবেই রান্না করি। আমার কাছেও খেতে খুবই ভালো লাগে। আমি অবশ্য কখনো আলু ব্যবহার করিনি আপু সরাসরি মিষ্টি কুমড়াই ব্যবহার করেছি। যাইহোক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।