মায়ের আগমন
"হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
গতকাল বিকেলে বাহির থেকে ঘুরে আসার পরে, কিছুটা জ্বর কমেছিল আমার এবং বাবুর দুজনেরই। তবে মাঝরাতের দিকে গিয়ে আবার একই অবস্থা মুহূর্তেই শরীরে কেঁপে কেঁপে জ্বর এসেছিল। আজকে নিয়ে যেহেতু তৃতীয় দিন হচ্ছে, তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামীকালই ডাক্তার দেখাতে যাব।
মাঝরাতেই মাকে ফোন দিলাম, আমার এবং বাবুর দুজনের অবস্থার কথাই জানালাম । আমার মা আমার থেকেও বিশেষ করে তার নাতির ব্যাপারটা শুনে বেশ চিন্তিত, গতকাল বাড়িতে সে সারারাত ঘুমাতে পারেনি। কোনরকম যখন ভোরের আলো ফুটেছে, তখনই মা বাসায় এসে হাজির।
মায়ের মন, এ সম্পর্কে আর নতুন করে কিছু বলার নেই। কেন তার ভিতরে এত তাড়াহুড়ো কেনইবা এত অস্থিরতা, তা হয়তো এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। কারণ তার একমাত্র নাতি অসুস্থ, সে আসলে কোন ভাবেই এটা শোনার পর থেকে যেন স্বস্তিতে নাই।
তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, মা আসার পর থেকেই বাবুর ভিতরে যেন আগের থেকে অসুস্থতা ভাব তেমন খুব একটা বেশি পরিলক্ষিত হয়নি। বাবু হেসে খেলেই মায়ের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিল। আমিও যেন কিছুটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। গত রাত থেকে ঘুম হয়নি ঠিক মত, তাই এখন একটু চাই নিজের মতো করে সারাটা দিন ঘুমিয়ে নেব।
তাছাড়া রান্না নিয়েও এখন খুব একটা ঝামেলা হবে না, মা আসলে মূলত আমাকে এসব টেনশন করতে হয় না। সবটাই মা নিজের থেকে সামলে নেয়। অন্তত সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত মাকে যেতে দিচ্ছে না, যদিও তার নিজের সংসার আছে, বাড়িতে আবার গৃহপালিত পশু আছে, তাই তার সেদিকেও অনেকটা ব্যস্ততা আছে।
তবে তারপরেও যেহেতু আমি অসুস্থ, তাই বাবু সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত মাকে যেতে দিচ্ছি না। সব মিলিয়ে মায়ের আগমনে বেশ ভালই লাগছে, গত রাত থেকে যে পরিমাণ কষ্ট গিয়েছে, তা থেকে যেন কিছুটা হলেও পরিত্রাণ পেয়েছি। এখন সবকিছু দ্রুত ভালো হয়ে গেলেই ভালো।
আপু আপনার এবং আপনার বাবু জন্য দোয়া রইল যেন তাড়াতাড়ি মা ছেলে সুস্থ হয়ে উঠেন। এই সময়টা মা কাছে থাকলে মনে হয় যেন এর চেয়ে শান্তি আর কোথাও নেই। নানি সবসময়ই এমন হয় তার নাতির কষ্ট যেন সহ্য করতে পারেনা। আমার মা একজন ঠিক আপনার মায়ের মতো। এখন যেহেতু আপনার মা চলে এসেছে তাহলে আপনার আর চিন্তা করতে হবে না আর দু'জনে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
মা এসে একদিন ছিল, তবে মা যাওয়ার পরে আবার সেই আগের অবস্থা তৈরি হয়েছে।
যখন শরীর অসুস্থ থাকে তখন সবাই চাই নিজের আপনজন নিজের পাশে আসুক এবং নিজের পাশে দাঁড়া কারণ আপনজন পাশে থাকার মধ্যে রয়েছে অন্যরকম প্রশান্তি কষ্টের মাঝেও যেন অন্যরকম সুখ আর সেখানে যদি হয় নিজের আম্মাজান তাহলে তো কোন কথাই নেই। দোয়া করি আপনার জন্য আপনার সন্তানের জন্য আপনার পরিবার-পরিজনের জন্য।
হ্যাঁ ভাই আসলে অসুস্থতায় আপনজন পাশে থাকলে বেশ ভালই লাগে।
আসলে মায়েরা এমনি হয় নিজের মেয়ের সন্তানের অসুস্থতার কথা শুনে সারা ঘুমাতে পারে নি। ভোর হওয়ার সাথে সাথে আপনার মা আপনাদের বাসায় এসে হাজির হলো। এই ধরনের ত্যাগ এবং ভালোবাসা সত্যি খুব অসাধারণ। নিশ্চয়ই আপনি মাকে পাশে পেয়ে খুব বেশি খুশি হলেন। আপনার বাবু দুজনের সুস্থতা কামনা করি। যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে। পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আসলে আমার মায়ের নিজের সংসারের ব্যস্ততার কারণে এসে খুব বেশি সময় থাকতে পাড়েনি৷ এবার ভাবছি আমরাই যাব।
আপু আপনার মা এসেছেন জেনে আমার ও খুব ভালো লাগলো।আমার মনে হয় আপনার একটু বিশ্রামের প্রয়োজন। আপনি ঘুম ঠিকঠাক মতো দিলেই ভালো হয়ে যাবেন।তারপরে ও ডাক্তার দেখান।শুভকামনা রইলো আপু।
একদম ঠিক বলেছেন আপু আসলেই খুব বিশ্রামের দরকার।
আপু আপনি এবং আপনার বাবু অসুস্থ শুনে অনেক খারাপ লাগলো। এখন প্রতিটি বাড়িতে শোনা যাচ্ছে জ্বর সবাই অসুস্থ। আপনার মা আপনি এবং শাওন বাবুর অসুস্থতার কথা শুনে এসেছে দেখে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি কথা বলতে মায়েরা এরকমই হয় সন্তানদের অসুস্থ কথা শুনলে আর থাকতে পারে না।
হ্যাঁ আসলেই অসুস্থ হয়ে বেশ ভালোই বিপাকে পড়ে গিয়েছি।
শায়ান বাবু তো তার নানীকে পেয়ে অনেকটাই সুস্থ হয়ে গিয়েছে মনে হচ্ছে। নানীর সাথে তো বেশ ভাব শায়ান বাবুর। দেখে খুব ভালো লাগলো। যাইহোক আন্টি আসায় আপনার বেশ ভালোই হলো আপু। অসুস্থতার মধ্যে সংসারের কাজ নিয়ে টেনশন করতে হবে না। আশা করি খুব দ্রুত আপনারা সুস্থ হয়ে উঠবেন। আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
আসলে ওর নানিকে কাছে পেলে ও সবকিছুই ভুলে যায় ভাই।