প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করতে বাজারে যাওয়ার অনুভূতি
"হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজকে অনেক কিছু কেনাকাটার ছিল তাই বাহিরে গিয়েছিলাম। আর বাহিরে গিয়ে কি কি কেনাকাটা করেছি সেগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করব। এ দ্রব্যমূল্যের বাজারে নিজের প্রয়োজন মেটাতে হচ্ছে অনেকটা কষ্ট করে।যেখানে প্রয়োজনে মিটছে না সেখানে বিলাসিতা করার কোনো জায়গাই নেই।এখন হালকা শীত পরছে।কিছুদিন থেকে দেখছি বাবুর গা রুক্ষ হয়ে আছে।তাই বিকেলে রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম বাজারের উদ্দেশ্যে সাথে আরো কিছু কেনাকাটা আছে।
তো প্রথমে আমরা রিকশা নিয়ে সোজা একটি কসমেটিক্সের দোকানে গেলাম। সেখানে গিয়ে আমার জন্য ফেস ওয়াস, বাবুর জন্য অলিভ অয়েল, ওয়েট টিস্যু,বাবুর গোসলের সাবান, শ্যাম্পু ইত্যাদি আরো কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়েছিলাম। বেশ কিছু কসমেটিক্স পছন্দ হয়েছিল।ওই যে বললাম যেখানে নিজের প্রয়োজনেই মিটছে না সেখানে বিলাসিতা করার কোন জায়গায় নেই। তাই এদিক ওদিক আর না দেখে চলে আসলাম। অন্য একদিন সময় করে এসে নিয়ে যাব।
বাবুর বসার জন্য একটি ছোট চেয়ার ছিল কিছুদিন আগে আপনাদের ভাইয়া বাবুর সঙ্গে খেলতে গিয়ে হঠাৎ করে বসেছিল সেই চেয়ারে আর তখনই ঘটলো বিপত্তি।ছোট একটা চেয়ার বড় মানুষের ভার নিতে পারেনি গিয়েছে পা ভেঙে চেয়ারের। চেয়ারটা আর এফ এল এর ছিলো আর আর এফ এল এর যে কোন ভাঙা জিনিস দোকানে ফেরত নেয়। এবার চেয়ারটা ফেরত দিয়ে সাথে আরও কিছু টাকা দিয়ে বাবুর জন্য পছন্দ করে অন্য একটা চেয়ার কিনলাম।
এরপর আমাদেরকে রিক্সায় বসিয়ে আপনাদের ভাইয়া ঔষধ কিনতে চলে গিয়েছিল। আর আমরা যেখানে বসেছিলাম সেখানে দেখলাম একটা লোক গরম গরম বাদাম, ছোলা,ভুট্ট, শিমের বিচি ইত্যাদি ভাজতেছিল। এই ভাজাভুজি গুলো দেখে কিছুতেই নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলাম না। নেমে গিয়ে বেশ কয়েক প্রকার ছোলা শিমের বিচি এবং বাদাম নিয়েছিলাম। এরপর আপনাদের ভাইয়ার ঔষধ কেনা হলে বাসায় চলে এসেছিলাম।
সত্যি কথা বলতে এই কয়েকটা কেনাকাটা করতেই প্রায় 5000 টাকার উপরে চলে গিয়েছিল। আজকাল তো আমার বাহিরে বের হতে ইচ্ছাই করে না। কিছু প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস কিনতে গেলেও অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। তার প্রয়োজন তো কিছুতেই শেষই হতে চায় না। যাইহোক কি আর করার হয়তো এভাবে যুদ্ধ করেই বেঁচে থাকতে হবে। তো বন্ধুরা যেখানেই শেষ করছি দেখা হবে পরবর্তীতে।
সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
/div>
ঠিক বলেছেন ভাবি বিলাসিতা করার কোন সুযোগ নাই বর্তমান পরিস্থিতিতে। আর বাইরে গেলেই অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়।বাবুর চেয়ারটা কিন্তুু খুব সুন্দর হয়েছে। আর ফুড ফটোগ্রাফি গুলো অনেক লোভনীয় হয়েছে।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু চেয়ারটা অনেক সুন্দর এবং বাবুও এটা খুব পছন্দ করেছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলেই আপু প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে, এতে করে প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে বেশিরভাগ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে প্রতিনিয়ত। আর বিলাসিতা তো অনেক দূরের কথা। বাজারে গেলেই টাকা কিভাবে খরচ হয় সেটা বুঝাই যায় না। যাইহোক ভাঙ্গা চেয়ারটি ফেরত দিয়ে, কিছু টাকা যোগ করে নতুন একটি চেয়ার কিনেছেন বাবুর জন্য, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। শিমের বিচি, বুট এবং বাদামের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
জ্বি ভাইয়া অনেকগুলো টাকা নিয়ে বাজারে গেলেও এক চত্বর না দিতেই টাকাগুলো শেষ হয়ে যায়। বুঝতেই পারি না কি কিনব আর কি কিনবো না। বর্তমানে এমন একটা পরিস্থিতি চলছে। যাই হোক সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।