ছোট বোনের জন্য কেনাকাটার অভিজ্ঞতা
"হ্যালো",
বাহিরে যে পরিমাণ গরম পড়েছে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। আর রোদের কথা তো বলা যাবে না আসলে এমন একটা সমস্যার সম্মুখীন আমরা হই গরমের সময় গরম বেশি আবার শীতের সময় শীতের বেশি। কি আর করার এর প্রকৃতির নিয়মত মানতেই হবে। তো আজকে আমি ছোট বোনের জন্য জুতা কিনতে গিয়েছিলাম সেই অভিজ্ঞতাটা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
সকালে একটু ছাদে উঠেছিলাম। আমার বাসার দিদি অনেকগুলো কাপড় ধুয়েছিল সেগুলো ছাদে দিতে। সচরাচর ছাদে ওটা হয় না কারণ এখন গরমের মধ্যে আমি বারান্দাতেই কাপড় দেওয়ার চেষ্টা করি। আর সত্যি কথা বলতে ছাদে কাপড় দিলে আমার কেন জানি মনেও থাকে না। এজন্য আমি চেষ্টা করি বাসার বারান্দায় কাপড় মেলতে। অনেকগুলো কাপড় ছিল তাই বারান্দাতে ধরবেনা এইজন্য ছাদে গিয়েছিলাম। আমি যাব না বাবু এমন জেদ করছিল দিদির সঙ্গে ছাদে যাবে তো এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে আমি গিয়েছিলাম। কিন্তু গিয়ে তো আমার মাথা ব্যাথা ধরে গিয়েছিল এত পরিমাণে রোদ ছিল তখনই বুঝেছিলাম যে আজকে অনেক গরম পড়বে।
এরমধ্যে আমি আমার আমার মা এবং ছোট বোনকে আসতে বলেছিলাম। আসলে ছোট বোন কিছুদিন ধরে বলছিল জুতা কিনবে। তো আমি বড় বোন এটুকু আবদার তো পূরণ করতেই হবে। তো তাদেরকে আসতে বলেছিলাম। প্রথমে আমি গিয়েছিলাম মার্কেটে ছোট বোনের কাপড় কিনতে। এরপর আম্মু আর আমার ছোট বোনকে নিয়ে আমি জুতার শোরুমে চলে যাই। প্রথমে আমরা বাটা শোরুমে গিয়েছিলাম কিন্তু বাটাতে গিয়ে জুতা আমার পছন্দ হচ্ছিল না।এরপর আমরা এপেক্সে ঢুকি।
আর সেখানে মোটামুটি ভালো জুতা ছিল এবং আমরা দেখছিলাম কোনটা পছন্দ হয়। তো আমার বোন যেহেতু নেবে তাই আমি পছন্দের ভারটা ওর উপরে ছেড়ে দিয়েছিলাম। আর ছোট বাচ্চারা তো বোঝেনি ও শুধু চুমকি দেওয়া পাথর দেওয়া জুতা গুলো দেখছিল। তো আমি ওকে আমি বললাম যে এই জুতাগুলো বেশি দিন টিকবে না বা ভালো লাগবে না। একটু প্লেন বেল্ট লাগানো জুতা দেখছিলাম। দেখতে দেখতে আমাদের এক জোড়া জুতা পছন্দ হয়ে যায় এবং আমরা সেটা কিনে নেই।
এরপর আমার দুষ্টু ছেলের কথা আর কি বলব সে তো বারবার এ জোড়া জুতা ও জোড়া জোড়া নিচ্ছিল আর বারবার এসে আমাকে দেখাচ্ছিল যে জুতা নিবে কিন্তু আমি ওকে জুতা নিয়ে দেইনি। কারণ কিছুদিন আগে আমি ওর বেশ কয়েক জোড়া জুতা কিনেছিলাম তাই এগুলো জুতা কেনার দরকার নাই কিন্তু বাবু কিছুতেই বুঝতে চাইছিল না। তখন আমি ওকে অনেকটা বোঝালাম যে আমরা পরে তোমার বাবার সঙ্গে এসে কিনে নিয়ে যাব। তখন ছেলে জুতাগুলো রেখে দিয়েছিল। আমার মা বেশ কয়েকবার বলছিল কিনে দিবে কিন্তু আমি কিনতে দেইনি।বাসায় ওর অনেক জুতা। আসলে বলার জন্য বলছি না আপনাদেরকে একদিন ওর জুতার কালেকশন গুলো আমি দেখাবো। এত জুতা পাগল ছেলে আমার ওর বাবাও তেমনি। একবার যদি জুতা কিনতে যাই যেটাই দেখবে সেটাই কিনবে।
এরপর জুতা কিনে কিছু ইফতারের আইটেম কিনে আমরা বাসায় চলে আসি এবং আমার মা এবং ছোট বোন যেহেতু রোজা ছিল আর বাবা বাসায় ছিল তাই আমার আমার বাসায় সেদিন থাকেনি সন্ধ্যার আগে আগেই চলে গিয়েছিলেন। এজন্য আমি তাদেরকে কিছু খাবার ফলমূল কিনে দিয়েছিলাম।










ওমা, কি কিউট করে শায়ান তাকিয়ে আছে। 😍 বোনের জন্য কেনাকাটা করতে গেলেন, বেশ ভাল দায়িত্ব ই পালন করলেন আপু।আর আপু বাচ্চারা জুতার দিকেই বেশি নজর দেয়।দেখবেন বড়দের জুতাও এরা টেনে নিয়ে পরে হাঁটার চেষ্টা করে। যাই হোক কেনাকাটার পর তারা চলে গেলো।আপনি ফল দিয়ে দিলেন। আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভাল লাগলো। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
এত গরমের মধ্যেও দেখছি শায়ান বাবু কে নিয়ে শপিং করতে চলে গেলেন। আর ছোট বোনের জন্য শপিং করে নিয়ে আসলেন।আপু শায়ান বাবুর মত ছোট বাচ্চারা শুধু ছোটদের নয় বড়দের জুতা দেখলেই ধরতে যায়। আবার দেখছি শপিং করে ফেরার পথে মা বোনদের ইফতার ও কিনে নিলেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মূহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার আজকের কেনাকাটার অভিজ্ঞত পড়ে আমার কাছে ভালই লেগেছে। আপু বাচ্চারা বেশি জুতার দিকে নজর দেয়। আমি দেখেছি ছোট বাচ্চারা বড়দের জুতা দেখলে ওরা ওদের জুতোগুলো পড়ে হাঁটতে থাকে। যাইহোক ছোট বোনকে ঈদের কেনাকাটা করে দিয়েছেন। মা বাবার জন্য কিছু ইফতার ফল কিনেছেন। আপনার কেনাকাটার অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু অনেকগুলো কাপড় রোদে দিতে গিয়ে ছাদে গেলেন তখন বুঝলেন গরম কি রকম পড়তেছে আজ। কিছুদিন যাবত আপু অনেক গরম পড়তেছে। যাক ছোট বোনকে নিজের পছন্দ মত জুতা কিনে দিয়েছেন। তবে আপু অনেকে বাটা জুতা তেমন পছন্দ করে না। আপনি বাটা জুতা দেখার পর পছন্দ হলো না এবং অন্য একটি কোম্পানির জুতা কিনে দিয়েছেন ছোট বোনকে। আসলে ছোট বাচ্চারা কেউ কিছু কিনতে লাগলে দেখলে তারাও নেওয়ার চেষ্টা করে। আপনার বাবুটি মনে হয় অনেক ভালো তাকে বুঝিয়ে রাখতে পেরেছেন। অনেক সুন্দর করে জুতা কিনার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
এখন অনেক গরম পড়তেছে এই কারণে বাহিরে গেলে গরমের কারণে অনেক কষ্ট হয়। আপনি ভিজা কাপড় গুলো ছাদে রোদে দিতে গিয়ে বুঝতে পারলেন আজ অনেক গরম পড়তেছে। সত্যি গরমের কারণে মানুষের জীবন অনেক অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বাটা জুতার শো রুমে গিয়ে জুতা পছন্দ হলো না। এরপর অন্য একটি কোম্পানির জুতা পছন্দ করে ছোট বোনকে নিয়ে দিলেন। আর ছোট বাবুর জুতা অনেক জোড়া থাকার কারণে তাকে বুঝিয়ে সুুঝিয়ে রাখলেন। আসলে আপু ছোট ভাইবোনদেরকে কিছু নিয়ে দিতে পারলে অনেক ভালোই লাগে। অনেক সুন্দর করে কিনা কাটার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার বোনের জন্য কেনাকাটার অনুভূতি পড়ে অনেক ভাল লাগলো। বাবু তো দুষ্টামি করবেই। এটা তার দুষ্টামি করার বয়স। গরমের সময় তরমুজ খাওয়া ভাল। যে গরম পড়েছে ঘর থেকে বের হওয়া দায়। ধন্যবাদ আপু।