শেষ রক্ষা হলো না
"হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
আমি বা আমার পরিবারের কেউই মানসিক ভাবে একদমই ভালো নেই। ভাবিনি কখনো এভাবে খারাপ খবরটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে হবে।ভেবেছিলাম ভালো খবর দিতে পারবো।হয়তো অনেকই বুঝতে পারছেন না আমি কোন বিষয়ে কথা বলছি।তাহলে সবকিছু খুলেই বলি।গতমাসে যখন গ্রামের বাড়িতে এসেছিলাম তখন আমার খামারের দুটো বাছুরের লাম্পি ভাইরাস হয়েছিলো।বাছুর গুলোর অসুস্থতার কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম।
সেই তখন থেকে টানা ১ মাস চিকিৎসা পাশাপাশি সেবা চলছিলো।অনেক গুলো টাকা খরচ করছিলাম বাছুরগুলোকে সুস্থ করার জন্য। গত কয়েকদিন হলো গ্রামে এসেছি দেশের এমন পরিস্থিতির জন্য। এসে দেখলাম বাছুর বেশ সেরে উঠেছে। তবে গত ১৯ জুলাই হঠাৎ করেই বাছুরগুলোর অবস্থায় অবনতি হতে থাকে।
খুবই টেনশনে পরে যাই।একের পর এক ডাক্তার আনছি চিকিৎসা দিচ্ছি কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না।একটা বাছুর ২০ জুলাই সকাল ৮ টায় মারা যায়।বাছুর ওজন ছিলো প্রায় ৪৫ কেজি। মনটাকে অনেক ভাবে শান্ত করার চেষ্টা করলাম।যে যাইহোক আরও তিনটা গরু আমার খামারে আছে।আর একটা বাছুর অসুস্থ সেটা হয়তো সুস্থ হবে।কিন্তু না সেই বাছুর ২২ জুলাই সন্ধ্যায় মারা যায়।
প্রথম যে বাছুর টা মারা গিয়েছিলো সেটার খুব কষ্ট হয়েছে তবে তার থেকে বেশি কষ্ট হয়েছে পরের বাছুর টা মারা যাওয়াতে। কারণ বাবুর দাদু বাবুকে উপহার হিসেবে দিয়েছিলো। খুব কান্না করেছি।বাবু বারবার আমাকে জিজ্ঞেস করছে "মাম্মা বেবি হাম্বা নেই, বেবি কাউ নেই।" বিশ্বাস করেন তখন কলিজা টা ফেটে যাচ্ছিল আমার। কি আর করার এত চেষ্টা করেও ধরে রাখতে পারলাম না।
যাইহোক এই রোগ যাতে আর গরুদের না হয় তার জন্য গোয়াল খুব ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে বিলিচিং পাউডার দিয়ে জীবানুমুক্ত করা হয়েছে।আপনাদের বাড়িতে যাদের গরু আছে তারা অবশ্যই গোয়াল পরিষ্কার রাখবেন আর মশা মাছি থেকে গরুদের রক্ষা করবেন।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
এমনিতে দেশের পরিস্থিতির জন্য মনটা অনেক খারাপ আপু। তার ভিতরে আপনার এত খারাপের একটি খবর শুনে মনটা আরো খারাপ হয়ে গেল। সত্যি খুবই বেদনাদায়ক আপনার এই সংবাদটা। একেবারে দুটি গরু মারা গেল খুবই খারাপ পরিস্থিতি। অনেক চেষ্টা করলেন আপনি হয়তো আপনার ভাগ্যে ছিল না আপু। সৃষ্টিকর্তা চাইলে আপনাকে আরো অনেক দিতে পারেন। সৃষ্টিকর্তা যা করেন সবকিছু মঙ্গলের জন্যই করেন। মুরুব্বীদের কাছ থেকে শুনেছি বিপদ আপদ নাকি জান মালের থেকে চলে যায়। আপনার বাকি গরুগুলো যাতে সুস্থ থাকে সেই দোয়া কামনা করছি।
আসলেই আপু পরপর দুটো বাছুর চলে যাওয়ার পরে, বেশ ভালোই কষ্ট পেয়েছি৷
এমনভাবে অবলা প্রাণীর মৃত্যু বড় বেদনাদায়ক। তারা কথা বলতে পারে না। তারা মনের ভাবকে এবং কষ্টকে প্রকাশ্যে আনতে পারে না আমাদের মত। কিন্তু তাদের অসহনীয় কষ্ট মানুষকেও পীড়া দেয়। আপনার এই দুই প্রিয় বাছুরের মৃত্যু আপনাকে নাড়া দিয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। যথারীতি তাই হয়েছে। তবে এই দুই অসহায় প্রাণীর আত্মার শান্তি কামনা করি। আপনার দুঃখে সমবেদনা প্রকাশ করলাম।
সমসাময়িক সময়ে হুট করে এমন ভাবে আমাদের সঙ্গে যা ঘটে যাচ্ছে, তা আসলেই অপ্রত্যাশিত। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।
পোষা কোন প্রাণী মারা গেলে আসলেই বেশ কষ্ট লাগে। তাছাড়া একসঙ্গে দুটি বাছুর মারা যাওয়াতো আর কষ্টকর। যেহেতু বাবুর দাদু গিফট করেছিল। গরু কোনো ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এক সঙ্গেই প্রায় সবগুলো মারা যায়। আপনার বাকি গরুগুলোকে সাবধানে রাখবেন। খুব খারাপ লাগলো খবরটা শুনে।
আসলে এই ভাইরাসটা খুবই সাম্প্রতিক সময়ে প্রচুর পরিমাণে ছড়িয়ে গিয়েছে আপু, যার কারণে এই অবস্থা।
এর আগে এক পোস্টে দেখিছিলাম আপনার গরুর অসুস্থতার কথা।লাম্পি খুব মারাত্মক ভাইরাস। আমার গরুর বাছুর গতবছর মারা গিয়েছিল লাম্পিতে আর এবার আমার বাবার গরুও মারা গেলো লাম্পি ভাইরাসে।গৃহ পালিত পশুর মৃত্যু সত্যি মেনে নেয়া কষ্টের।জেনে ভালো লাগলো আপনি আপনার গোয়াল জীবাণুমুক্ত করার জন্য ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ধুয়ে মুছে নিয়েছে। পোস্ট টি পড়ে খুব খারাপ লাগছে আপনার ছেলের কথা গুলো খুব খারাপ লাগলো।
আপু আমি সামনে থেকে গরুগুলোর যে পরিমাণে কষ্ট দেখেছি যদি মানুষ হতো না জানি কত আকুতি মিনতি করত। খুবই কষ্ট পেয়েছি আপু বাছুরগুলোও মারা যাওয়াই।
ব্যাপারটা জেনে ভীষণ খারাপ লাগলো আপু। এর আগে শুনেছিলাম বাছুর দুটি কিছুটা সুস্থ হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে বাছুর দুটির মৃত্যুর কথা শুনে অবাক হয়ে গিয়েছি। আসলে ভাগ্য এইবার আপনার সহায় হয়নি বলে শেষ পর্যন্ত বাছুর দুটিকে বাঁচাতে পারেননি। তবে আপনি যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন বাছুর দুটিকে সুস্থ করার জন্য। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।