নানা-নাতির সুন্দর মহূর্ত
"হ্যালো",
বাবার বাড়িতে আসলে বরাবরই আমার সময় ভালো কাটে।তবে এবার যেহেতু অসুস্থতা নিয়ে এসেছিলাম তাই খুব একটা ঘুরতে পারি নি।তবে আমার ছেলে কিন্তু অনেক আনন্দ করেছে।আজকে আমার বাবা এবং আমার ছেলের কিছু সুন্দর মুহূর্ত আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করছি ভালো লাগবে।
নিজের জন্য গ্রামের বাড়িতে না আসলেও ছেলের জন্য মাঝেমধ্যে চলে আসি কেননা ঐ শহরের বদ্ধ পরিবেশে ছেলেকে আমি রেখে একঘেয়েমি করতে চাই না। আর তাছাড়া আমার বাবা-মা বাবুকে না দেখে থাকতে পারেনা। তাই আমি প্রত্যেক মাসে বাবার বাড়িতে আসার চেষ্টা করি।আমার বাবার ছেলে নেই আমরা দুই বোন। আর বাবা মা আমার ছেলেকে ভীষণ ভালোবাসে। যেটা আমি কখনো বলে বোঝাতে পারবো না। আমি তো মাঝেমধ্যে এটা ভেবে নিশ্চিত হয়ে যে, আল্লাহ না করুক আমার কিছু হয়ে গেলে আমার ছেলের কখনো অসুবিধা হবে না। আমার মা-বাবা তাকে অনেক আদরে বড় করবে। যাইহোক থাক সেসব কথা। কার ভাগ্যে কি হয় সেটা তো আর বলা যায় না। আর পৃথিবীতে মায়ের বিকল্প কিছু হতে পারে না। তবুও বলছি কারণ বাবুর জন্য যে ভালোবাসাটা আমি তাদের চোখে দেখি সেটা আমি মেয়ে হয়ে বুঝতে পারি।
আমার বাবার বড় একটি অটো গাড়ি আছে। আমার বাবা সাংসারিক কাজকর্ম সারার পর বিকেলে যেটুকু সময় পায় গাড়ি চালায়। অবশ্য এই কর্মটা আমরা নিজের থেকে তাকে দিয়েছি। কেননা তিনি যখন বিকেলে বাজারে যায় সময় কাটাতে তখন অযথা টাকা নষ্ট করে। তাই বুদ্ধি করে তাকে একটা কর্মের মধ্যে ঢুকে দিয়েছি আমি এবং আপনাদের ভাইয়া। যাইহোক বিকেল বেলা তিনি যখন বাজারে যাচ্ছিলেন গাড়ি নিয়ে তখন আমার ছেলে বায়না ধরেছে নানু ভাইয়ের সঙ্গে যাবে। কি আর করার তাকে বাধ্য হয়ে রেডি করে দিতে হলো। এরপর নানা নাতি মিলে চলল বাজারে।
আমি যে ওর মা এটা বাবু গ্রামে আসলে একদম ভুলে যায়।ওর যেটাই দরকার আমার মাকে বলবে কিংবা আমার বাবাকে অথবা তার খালামণিকে। এদিক থেকে বাবার বাড়িতে আসলে নিজেকে সিঙ্গেল মনে হয়।😁 যাইহোক তাদের অনেক দুষ্টু মিষ্টি কাহিনী আছে যেগুলো বলে শেষ করতে পারবো না। তার মধ্যে আরেকটি হলো সকালবেলা উঠে আমার বাবার ঘাড়ে করে গোটা গ্রাম ঘোরা চাই তার।
যাইহোক নানা নাতিকে কেমন লাগছে জানাবেন। আর আমার ছেলেটা ইদানিং যত বড় হচ্ছে তার ভাব বেড়ে যাচ্ছে। এখন সে বাহিরে গেলে চশমা এবং ঘড়ি পড়তেই হবে তাকে। যাইহোক কিছু কিছু অভ্যাস থাকা ভালো কেননা চশমা চোখের জন্য খুবই ভালো যেহেতু ছোট বাচ্চা অনেক ধুলোবালি রাস্তা থেকে আসতে পারে।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
এই ছোট্ট সময় নানা নানির আদর কতটাই যে মধুর সেই ছোট্ট দিনগুলোর কথা মনে পড়লে এখনো ভেসে ওঠে প্রিয় নানা-নানীর কথাগুলো। সেটাই অনুভব করতে পারলাম ছবিগুলো দেখে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
বাবা মার পরে যদি সন্তানদের কেউ আদর করে তারা হলেন দাদা দাদী, নানা-নানী। এদের ভালোবাসার নিঃস্বার্থ হয়। এটা তো আপনার জন্য ভালো আপু যে আপনার বাবার বাড়িতে গেলে আপনার ছেলে আপনাকে বিরক্ত করে না। কিছুদিন আরামে থাকতে পারেন সেখানে গেলে। তাছাড়া ছোট বাচ্চারা এমন অটো গাড়ি দেখলে তো উঠতে চাইবে। সে জন্য তো নানুর সঙ্গে যাওয়ার বায়না ধরেছে। দুজনকে বেশ ভালোই লাগছে দেখতে।
জ্বি আপু কিছুদিন বেশ আরামে থাকতে পারি বাবার বাড়িতে। বাবু একদমই আমাকে বিরক্ত করে না। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বিস্তারিত জেনে অনেক খুশি হলাম আপু আপনি আর ভাইয়া খুব সুন্দর একটি বুদ্ধি জ্ঞান করে আঙ্কেলের জন্য একটি গাড়ির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এতে তার অপচয় রোধ হয়েছে এবং এক্সট্রা ইনকাম হয়। খুবই খুশি হয়েছি এত সুন্দর একটি বুদ্ধি জ্ঞান করে আপনি একজন মানুষকে সুন্দর পথে অগ্রসর করার সুযোগ করে দিয়েছেন দেখে।
জ্বি ভাইয়া সকাল থেকে দুপুর অব্দি সংসারের কাজ সেরে বিকেলে বাজারে গিয়ে অযথা টাকা নষ্ট করত। তাই পরে আমি আর আপনার ভাইয়া মিলে এই ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম। বিকেলে যেটুকু সময় পাবে কাজে লাগাবে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলে মা,বাবার পর নানা,নানিও দাদা,দাদী ছেলে,মেয়ের সন্তানকে নিজের জিবনের থেকেও বেশি ভালোবাসে। নানা,নানি,দাদা,দাদীর ভালোবাসা যারা পায় নি তারা অনেক কিছু পায়নি জিবনে।বেঁচে থাকুন ভালো থাকুক পৃথিবীর সব দাদা,দাদী।আপনার বাবার সময় কাটানোর ব্যাবস্থাটাও অনেক সুন্দর হয়েছে,সময়ও কাটাতে পারে টাকাও ইনকাম করতে পারে।
ধন্যবাদ বৌদি সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পর নানা-নাতির এমন ভালোবাসার মুহূর্ত গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। আর আপনার বাবাকে বুদ্ধি করে দুইজনে মিলে যে একটি বড় অটো কিনে দিয়েছেন, এটা জেনেও খুব ভালো লাগলো। কর্মের মাঝে থাকলে অযথা সময় নষ্ট করার সুযোগ থাকে না।
আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দিদি।
নানা নাতির ভালোবাসা সুন্দর একটি মুহূর্ত দেখতে পেলাম আপু। আপনার বাবা শাওন বাবুকে দেখতে পেরে অনেক খুশি হয়েছে দেখে বোঝা যাচ্ছে। শাওন বাবুকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে নানা নাতির সময়ের সুন্দর কিছু মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বাহ চমৎকার একটি সুন্দর মুহূর্ত আপনি শেয়ার করলেন। আসলেই নানা নাতির সম্পর্ক খুবই মধুর আপু। তাছাড়া আপনাদের মা-বাবার যখন ছেলে সন্তান নেয় তাহলে আরো বেশি আদর করার কথা। ঠিক বলছেন আসলে শহরের বদ্ধ পরিবেশে বাচ্চাদেরকে পালন করা খুবই কষ্টকর। তাইতো আমিও সময় পেলে গ্রামে চলে যায় মেয়েদেরকে নিয়ে। অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটালেন বেশ ভালো লাগলো। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
জ্বী আপু আমার বাবা-মা আমার ছেলেকে খুবই ভালোবাসে যেটা আমি বলে বুঝাতে পারবো না। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
নানা-নাতির ভালবাসা সত্যিই অনেক মধুর হয়। নাতি নাতনির জন্য নানা নানীর ভালোবাসা অনেক বেশি হয়। এসব ভালোবাসা দেখতেও খুব ভালো লাগে।গ্রামের বাড়ি যেয়ে নানা নাতির সুন্দর এই মুহূর্তটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
যারা শহরে থাকেন তারা বিশেষ করে গ্রামে গেলে তাদের কাছে ঘুরতে ভালো লাগে। তবে আপনার মা-বাবা আপনার ছেলেকে অনেক আদর করে। আসলে নানা নানু সবসময় নাতি-নাতনকে অনেক বেশি আদর করে। যদিও আপনার বাবার সন্তান বলে আপনার দুটি বোনে আছেন। তবে আপু ছোট বাচ্চাকে সবাই অনেক বেশি আদর করে। গ্রামে গেলে আপনার ছেলে তাদের সাথে সব সময় থাকে এবং আপনার বাবার সাথে ঘুরে বেড়ায়। দোয়া করি আপু আপনি আপনার পরিবার সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন। আর আপনার পোস্টটি পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো।
পোস্টটি পড়ে গঠনমূলক একটি মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।