আমার ব্যস্ততা ও অস্থিরতা

in আমার বাংলা ব্লগlast year

smiley-2979107_1280.jpg
source

"হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

আজ অনেকটাই ক্লান্ত। যদিও ইচ্ছে ছিল না পোস্ট লিখব, তবে সব ক্লান্তিকে দূর করে দিয়ে অবশেষে লিখছে। এটা হয়তো অনেকটা মনের জোরেই।

আজ বেশ ভালই পরিশ্রম গিয়েছে নিজেদের, যেহেতু গত দুইদিন বেশ থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল আমাদের এখানে, তারপরে দোকানপাট খুব একটা খোলা ছিল না। আজকেও মোটামুটি কিছুটা সব স্বাভাবিক ছিল, তবে শুনলাম আগামীকাল নাকি আবার অবরোধ।

তাই বাধ্য হয়েই আজ আমরা বাজারে গিয়েছিলাম, মূলত কাঁচা বাজার ও অন্যান্য কেনাকাটা করার জন্য। অনেকটা দোকান ঘুরে ঘুরে কেনাকাটা করতে হয়েছে, তাই শরীরে কিছুটা ক্লান্তি বোধ এসেছিল। তবে মেইন কিছুটা বিপত্তি ঘটেছিল বাসায় আসার পরে।

বাবু বড় হচ্ছে এটা ঠিক, তবে দুষ্ট হচ্ছে প্রচুর। মানে যত বড় হচ্ছে ততোই দুরন্তপনা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাসায় আসার পরে আমি যখন বাজারগুলো ব্যাগ থেকে বের করে গুছিয়ে রাখছিলাম ততক্ষণে ওর বাবা হাঁটাহাঁটি করার জন্য বাহিরে গিয়েছিল। এমনিতেই ওর বাবা বাহিরে গিয়েছে তার ভিতরে বাসায় আমি একা ছিলাম আর সঙ্গে বাবু। বলা যায়, আমি যে কাজ করছি, সেটাও যেন বাবু করার চেষ্টা করছিল। অনেকটাই বিরক্তবোধ লাগছিল তারপরেও সহ্য করে যাচ্ছিলাম।

তবে যখন কাঁচা বাজার গুলো ব্যাগ থেকে বের করে সেগুলো কেটে পরিষ্কার করতে যাচ্ছিলাম তখনই কিছুটা বিপত্তি ঘটেছিল, মূলত ও কাঁচা বাজার নিয়ে নাড়াচাড়া করছিল এবং একটা সময় হঠাৎই বটির উপর পা পিছলে পড়ে যেতে ধরছিল, কি একটা বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেত ভাবুন। সঙ্গে সঙ্গে ওর বাবাকে ফোন দিয়ে দ্রুত বাসায় আসতে বললাম এবং বিস্তারিত বিষয়টি ওর বাবার সঙ্গে শেয়ার করলাম।

যদিও এমন ঘটনা, প্রায়ই এখন ও ঘটাতে থাকে কেননা দেখা যায় বৈদ্যুতিক সুইচ, ফ্যান বা ধারালো জিনিসগুলোই ও বারবার নিতে চায়, মানে কোন অবস্থাতেই ওকে চোখের আড়াল করা যায় না এবং সব সময় মনের মধ্যে সন্দেহ কাজ করে, হুট করে কোন আবার দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেললো নাকি। সবমিলিয়ে যেমন ক্লান্তিবোধ লাগছিল, আবার তেমনটা বিরক্তিতে অনেকটাই অস্থিরতা পূর্ণ সময় কেটেছিল।

E8fRY4dhuR5sTLZsFHQGy2Dnv1izoNa9kDDwNf6SWjwUiExjDZXA9b63NAwrwLXd8Ct7t1ZtdVLLXWaLZw5onyjbiCRPr6s2tz1kz75iSS...xFU9EXxXdabqMHBsc9mJ817a2SuVogJxMBkzsHNyMz11NQwmvwuEWHWA5F82zgRf2rtHDE85bAj4sRhY9U82BY2NqNXEu8caQc9HGJHwF7D2FoRAiQKCNDCinS.png

Xaey6XUsuMsULyX7cP1nbTWJzYmPAgo7FUiwufHRk6Jy2gyG1Db2Jf3F8zDR4enXrGJXJVY8zjUpsz8r7ybb4LRV5UxeCYiYK1QPL3cJGf...AYxpdPLKDUL7U8qu4Pikt2pYsm5FijpvHVGxLifJJPzqmZNKMNA2z45a46JW8rG61eode8Q5PXFhQEQKZCgnKP8ynSwFBAExhqvJUM7KDLc3AeqHmeUQyR5QSZ.gif

Sort:  
 last year 

বাচ্চারা যত বড় হয় তত বেশি দুষ্টুমি করে। আর তাদেরকে এক মিনিটও চোখের আড়াল করা যায় না। কখন কি দুর্ঘটনা ঘটায় এটা বলা একেবারে মুশকিল। আমার মেয়েটা ও অনেক বেশি দুষ্টামি করে। বুঝতে পারছি আপনি ব্যস্ততার মধ্যে যেমন সময় কাটিয়েছিলেন, তেমনি বেশ অস্থিরতার মধ্যেও সময় কাটাতে হয়েছিল। আপনার বাবু কে সব সময় সাবধানে রাখার চেষ্টা করবেন।

 last year 

এক সেকেন্ডও চোখের আড়াল করা যায় না আপু প্রচুর পরিমাণে দুষ্টুমি করে। যে জিনিসগুলো থেকে বিপদ হতে পারে সেই জিনিসগুলো সব সময় আমি অনেকটা দূরে রাখি।সব সময় ভয়ে থাকতে হয়। আপনিও আপনার বাবুর দিকে খেয়াল রাখবেন আপু।

 last year 

আপু এই কষ্ট আমার ও হয়েছে।শান্তি মতো খাওয়া,ঘুম,কাজ কিছুই করতে পারিনি।তবে আমি বটি দিয়ে কাটাকাটি কমই করি।আমি দাঁড়িয়ে ছুরি দিয়েই বেশী কাটাকাটি করি।বটি দিয়ে করলেও দাঁড়িয়ে ই করি।যাই হোক এখন অনেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এই বয়সটাই দুরন্তপনার। যা বললেন তা খুবই চিন্তার বিষয়।

 last year 

ছুরি দিয়েও কাটাকাটি করার চেষ্টা করি আপু তখন আবার কোলে উঠতে চায়। আর কোলে নিয়ে তো সবজি কাটার সম্ভব না। বাবু যে কি পরিমাণ দুষ্টু এটা আমি কাউকে বলে বোঝাতে পারবো না। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 last year 

দেশের যে অবস্থা তাতে মানুষ এখন অসহায় হয়ে পড়েছে। তবে আমি কিন্তু দুদিন আগেই এক সপ্তাহের বাজার করে রেখেছি। হ্যাঁ এটা সত্য যে বাচ্চারা যতই বড় হয় ততই তাদের দুরন্তপানা বাড়তে থাকে। বাবুও কিন্তু তার বাহিরে নয়। তাইতো বাবুর দিকে একটু বিশেষ খেয়াল রাখা জরুরী।

 last year 

বাজারের কথা আর বলবেন না আপু প্রত্যেকটা জিনিসের এত পরিমাণে দাম কিনতে গিয়ে অনেকটাই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গিয়েছিলাম গতকাল। তার ওপর বাবুর দুষ্টুমি সব মিলিয়ে বেশ চিন্তায় আছি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 last year 

এই সময় বাচ্চাদের সব বিষয়ের প্রতি আগ্রহ থাকে। এজন্য সবকিছু ধরে দেখার চেষ্টা করে। খুব সাবধানে রাখতে হয় বাচ্চাদের এই সময়। বিশেষ করে কারেন্টের লাইনগুলো কিছু দিয়ে আটকে রাখার চেষ্টা করবেন। যাই হোক আপু অনেক বড় বিপদ থেকে বেঁচে গিয়েছেন। বটির কাজ করার সময় বাচ্চাদেরকে দূরে রাখাই ভালো। তা না হলে বিপদ আসতে সময় লাগে না।

 last year 

এক হাতে সবকিছু সামলাতে হয় তারপরও খুব করে চেষ্টা করি বাবুর প্রতি আলাদাভাবে নজর দেওয়ার। একটু এদিক থেকে সেদিক হলে বড় বিপদ হতে পারে ভেবে অনেক সাবধান থাকি আপু। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 last year 

আপনি অনেকটা ক্লান্ত হওয়ার পরেও পোস্টটা মনের জোর থেকে লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এই বিষয়টা অনেক ভালো। আসলে এরকম দুর্ঘটনাগুলো হয়ে থাকে যার কারণে বাচ্চাদেরকে একটু সাবধানে রাখা উচিত। আর দুর্ঘটনা কিন্তু অনেক বড়সড়ভাবেও হতে পারে। আর এজন্য আগে থেকে সাবধানে থাকা উচিত সবার। বাবুকেও দেখেশুনে রাখবেন।

 last year 

এজন্য ভাই ওকে চোখের আড়াল কোন অবস্থাতেই করতে পারি না। মনে করি প্রত্যেকটা বাবা-মাতা তাদের সন্তানের প্রতি যথেষ্ট সচেতন।

 last year 

এই সময় বাচ্চাদের কে খুব সাবধানে রাখতে হয়। আপু আসলে বাচ্চাদের কেন জানি না কাঁচি, ছুরি, বটি এগুলোর প্রতি আকর্ষণ অনেক বেশি। আমি প্রায় সময় খেয়াল করে থাকি আমার বাচ্চাদের দিকেও। মায়েরা যে কাজ গুলো করে বাচ্চারা সেগুলো করার চেষ্টা করে। তবে আল্লাহর অসীম রহমত বাঁচায় ফেলছে হাজারো শুকরিয়া। তবে পরবর্তীতে একটু সাবধানে থাকবেন আপু। যদি সৃষ্টিকর্তা না করুক পা কেটে যেত তাহলে আপনার কষ্টের সীমা থাকত না।

 last year 

আসলেই যদি হুট করে বিপদ ঘটে যেত, তাহলে বেশ বাজে একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যেত। এদিক থেকে কিছুটা রক্ষা পেয়েছি।

 last year 

ছোট বাচ্চা গুলো যখন একটু বড় হয় দুষ্টামি করে তখন মা-বাবা সব সময় তাদেরকে বেশি খেয়াল করতে হয়। তবে আপু ভাগ্য ভালো যদি বডির উপর পা পড়ে কেটে যেত তাহলে অনেক ক্ষতি হয়ে যেত। আর বর্তমান সময়ে বাইরে পরিচিত অনেক খারাপ। এই পরিস্থিতির কারণে জিনিসপত্র দামও অনেক বেড়ে গেল। তবে আপু সব সময় বাচ্চাকে অনেক খেয়াল রাখবেন। এত ক্লান্ত অবস্থায় আপনি পোস্ট করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

যতক্ষণ সজাগ থাকি, ততক্ষণই চেষ্টা করি বাবুকে চোখে চোখে রাখার জন্য, কারণ হুটহাট যেন দুর্ঘটনা না ঘটিয়ে ফেলে এইজন্য।

 last year (edited)

আপু ছোট বাচ্চাগুলোকে সবসময় খেয়াল রাখতে হয়। সামান্য একটু ভুলের জন্য অনেক সময় অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যায়। তবে হয়তোবা আল্লাহর রহমত ছিল বিদায় বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন। তবে ছোট বাচ্চারা কারেন্টের সুইস এবং ফ্যানগুলো বারবার ধরতে চাই। এদিকে আপনি বাহির থেকে আসলেন এই কারণ আপনার কাছে ক্লান্ত লাগতেছে। তবে আপু বাবুকে সব সময় খেয়াল রাখবেন।

 last year 

জি ভাই, একটু ছোট ভুলের জন্য অনেক বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে, এটা আমি একদম স্বীকার করছি। তাই সচেতনতা বড্ড জরুরী।

 last year 

রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে জিনিসপত্রের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আজকে থেকে অবরোধ শুরু এবং এতে করে দ্রব্যমূল্যের দাম আরও বৃদ্ধি পাবে। যাইহোক বাচ্চারা একটু বড় হলেই দুষ্টামি শুরু করে দেয় আপু। সবসময় চোখে চোখে না রাখলে যেকোনো ধরনের বিপদ ঘটে যেতে পারে। তাই কষ্ট হলেও খেয়াল রাখতে হবে, কিছুই করার নেই। বাসায় যদি শুভ ভাই থাকতো আজকে, তাহলে আপনি কাঁচা বাজার বের করার সময় এমন অস্থিরতার মধ্যে পরতেন না। যাইহোক আপনাদের জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল আপু।

 last year 

আসলে আপনাদের ভাইও চেষ্টা করে ওকে কেয়ার করার জন্য, তবে সব সময় সেটা পেরে উঠা যায় না। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 79169.45
ETH 3182.99
USDT 1.00
SBD 2.63