পিছুটান
"হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
হুটহাট যখন কিছু প্রস্তাব হাতের সামনে এসে যায়, তখন আসলে সেটা লুফে নেওয়াই ভালো। এইতো যেমন গতকাল বিকেলবেলা, আপনাদের ভাইয়ের কাছ থেকে প্রস্তাব এলো, আমাদের গ্রামের শেষের দিকে সে নাকি ঘুরতে যাবে।
যেহেতু বাড়িতে এসে আমার কোন ব্যস্ততা নাই, তাছাড়া বাবুর দেখাশোনার লোকের এখানে অভাব নেই বললেই চলে, তাই এক কথাতেই রাজি হয়ে গেলাম গ্রামের শেষের দিকে ঘুরতে যাওয়ার জন্য।
মোটামুটি চতুর্দিকে বেশ ভালই খোলামেলা পরিবেশ, তার ভিতরে প্রচুর বাতাস অনেকটা ঋতু পরিবর্তনের। তাই এই হিমেল হাওয়ায় পড়ন্ত বেলায়, যদি কিছুটা দূর এদিক সেদিক হাঁটা যায় তাহলে ভালো লাগার ব্যাপারটা অনেকাংশেই বৃদ্ধি পায়।
চতুর্দিকে ফসলের মাঠ আর মাঝ দিয়ে চলে গিয়েছে কাঁচা রাস্তা, অনেকটা পায়ে হেঁটেই বেশ ভালই ঘোরাঘুরি করেছি সুইচগেট এলাকাতে। মোজাম কাকুকে কোনোদিন মাছ কিনতে দেখিনি, যেহেতু তার বাড়িটা একদম গ্রামের শেষে, তাই প্রতিনিয়তই সে সকাল-সন্ধ্যে খালের পানিতে মাছ ধরে থাকে।
আজকে আমাকে দেখে বলেছিল, কি গো মা জামাই নিয়ে এদিকটাতে বেড়াতে এসেছো, যাওয়ার পথে ঘুরে যেও আমাদের বাড়ি হয়ে। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন মোজাম কাকুর সঙ্গে তখন প্রায়ই দেখা হতো স্কুলে৷ সে স্কুলের সামনের জায়গাটাতে, ছোট্ট দোকান দিয়ে সংসার চালাতো।
আমরা স্কুল থেকে বিদায় নিয়েছি সেই কবে, তবে মোজাম কাকুর জীবনেও অনেকটা পরিবর্তন চলে এসেছে, সে আর আগের মত দোকান করতে পারে না, তাই এখন বাড়িতে বসেই জমি দেখাশোনা করে আর সময় সুযোগ পেলে খালের পানিতে মাছ ধরে।
সুইচগেট এলাকা থেকে যখন ফিরছিলাম, তখন আমরা মোজাম কাকুর বাড়িতে কিছুটা সময়ের জন্য উঠেছিলাম, অনেকটাই পিপাসা লেগেছিল তাই পিপাসা মেটানোর জন্যই সেখানে গিয়েছিলাম, খুব ভালো লেগেছিল কারণ চাচী আমাদের জন্য নাস্তা পানির ব্যবস্থা করেছিল। যদিও তা অপ্রত্যাশিত ছিল, তারপরেও এই বিকেল বেলা এমন অভ্যর্থনা বেশ ভালো লেগেছিল আমাদের।
যেহেতু বাড়িতে এসেছি এবং আরো কিছুটা দিন থাকবো, তাই সকলের আতিথিয়তায় আমি অনেকটাই মুগ্ধ। এটাকে আমার গ্রাম বললে ভুল হবে, এটা আমার জন্মভূমি, তাই এখানকার পিছনে আমার পিছুটান ক্রমাগত থাকেই।
আপু আমাদের নিজের গ্রামের প্রতি ভালোবাসা থাকবেই।আমরা যেখানেই যায় না কেন গ্রামের প্রতি পিছুটান আজীবন থেকে যাবে। আসলে আপু গ্রামের মানুষ তাদের বাড়িতে কেউ এলো নাস্তার ব্যবস্হা করে থাকে। মোজাম কাকুর সত্যি অনেক ভালো মানুষ। আপনারা সবাই মিলে গ্রামের শেষের দিকে বেশ ভালো ঘুরাঘুরি করেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।ঠিক বলেছেন আপু আমরা যেখানেই যাই না কেন নিজের গ্রামের প্রতি একটা পিছুটান থেকেই যায়।
দুই পাশ দিয়ে কচি ধান আর মাঝে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে খুবই ভালো লাগে। আমিও গ্রামের বাড়িতে গেলে এরকম রাস্তা দিয়ে হাটতে যাই। অসম্ভব ভালো লাগা কাজ করে তখন। ভালো করেছেন আপু ভাইয়া বলার সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গিয়েছেন। এত সুন্দর আবহাওয়ায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে।
জ্বি আপু পরিবারের সঙ্গে সেখানে হাঁটতে গিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
নিজের গ্রামের প্রতি ভালোবাসা থাকবেই আপু।গ্রামের রাস্তা দিয়ে হাঁটতে খুবই প্রশান্তি কাজ করে।দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনারা খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ সুন্দর এই মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জ্বী আপু গ্রামের রাস্তা দিয়ে হাঁটলে মনের ভিতর অনেক প্রশান্তি কাজ করে। অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি আপু। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
নিজের জন্মভূমির প্রতি আলাদা একটা টান এবং পিছুটান থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ অনেক মধুর স্মৃতি জড়িয়ে থাকে প্রিয় জন্মভূমিতে। বিকেল বেলা বেশ ভালোই হাঁটাহাঁটি করেছেন তাহলে। একেবারে গ্রামের শেষের দিকে চলে গেলেন হাঁটতে হাঁটতে। সরাসরি মাছ ধরা দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। যদিও অনেক আগে দেখেছিলাম মাছ ধরতে। আপনার মোজাম কাকু তো মাছ ধরে তাজা মাছ খেতে পারে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বি ভাইয়া নিজের গ্রামের প্রতি, নিজের জন্মস্থানের প্রতি অন্যরকম একটা টান থাকে কারণ ছোটবেলা থেকে সেখানে বেড়ে ওঠা এবং অনেক মধুর স্মৃতি থাকে যা কখনোই ভোলার নয়। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য।
আমরা যেখানে ছোট থেকে বড় হয়ে বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলের প্রতি আমাদের ভালোবাসাটা রয়েই যায়। তাছাড়া গ্রামে মাঠের দিকে বিকেল বেলায় সুন্দর আবহাওয়ায় ঘুরে বেড়াতে বেশ ভালো লাগে। আপনিও মনে হচ্ছে বিকেল বেলায় বেশ সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। ধন্যবাদ আপু।
জ্বি ভাইয়া গ্রামে বিকেলে মেঠো পথে হাঁটাহাঁটি করতে যেয়ে কি ভালো লাগে সেটা বলে বোঝানোর মত না। অনেকদিন পর বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম সেখানে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।