সন্তানের আশায় বিদেশ পাড়ি
"হ্যালো",
মাঝেমধ্যে চেষ্টা করি কিছু বাস্তব ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করার। আজকেও তেমনি একটি বাস্তব ঘটনা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আশা করছি আজকের ঘটনাটি ও আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।তো চলুন বন্ধুরা শুরু করি।
খাদিজা মধ্যবিত্ত পরিবারের মেজ মেয়ে।দেখতে শুনতে যেমন সুন্দরী পড়াশুনাতেও তেমন ভালো। খাদিজা কলেজ পাশ করে ভার্সিটিতে ফার্স্ট ইয়ারে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে তার পরিবারে তার বিয়ের জন্য প্রস্তাব আসে।ছেলে পুলিশের চাকরি করে এসআই।তাই তার পরিবার থেকে সবাই রাজি হয়ে যায় বিয়ের জন্য। আর খাদিজারও কোন আপত্তি থাকে না। এরপর বেশ ধুমধাম করে খাদিজা এবং এরশাদের বিয়ে হয়।তাদের নতুন সংসার শুরু হয়। যেহেতু এরশাদ পুলিশের চাকরি করে তার বিভিন্ন জায়গায় পোস্টিং হয় সেই সুবাদে খাদিজার ভ্রমনও চলে এবং এর সাথে তাদের সংসার ও চলমান থাকে।
ওই যে কথায় আছে না বেশি সুখ কারো কপালে সয়না। খাতিজার সুখের সংসারেও অভাব না থাকলেও তাদের সংসারে একটি সন্তানের অভাব। তাদের বিয়ে হয়েছে প্রায় ১০ বছর হয়ে গেল। অনেক চিকিৎসা করার পরও তাদের সংসারের সন্তান আসে নি।উনার হাজবেন্ডের চাকরির সুবাদে আমার পাশের বাসায় ভাড়া থাকতেন আর সেই সময় উনার সাথে আমার পরিচয় হয়। এবং বেশ ভালো একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল আমাদের। তারপর তারা আবারও অন্য জায়গায় চলে গিয়েছিল। কথা বলা বন্ধ হয়নি মাঝেমধ্যেই একে অপরের খোঁজখবর নিতাম। মাঝেমধ্যেই ভাবি খুব দুঃখ প্রকাশ করতেন।
এত বছরের সংসার জীবনে সন্তান না থাকা যে কতটা কষ্টকর সেটা শুধু সেই মেয়েই জানে। শ্বশুরবাড়ি থেকে অনেক কথা শুনতে হতো তাকে। এমনকি যে কোন ভাল অনুষ্ঠানে গেলেও তাকে খুঁচিয়ে কথা বলা হত। গত কয়েকদিন আগে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেখতে পাই যে ভাবি এবং তার হাজবেন্ড মিলে ইন্ডিয়াতে যাচ্ছে চিকিৎসার জন্য। আমি তাদেরকে শুভকামনা জানালাম। আমি আমার চোখের সামনেও ভাবিকে অনেক কষ্ট করতে দেখেছি। কবিরাজ থেকে শুরু করে ডাক্তাররা যা যা নিয়মকানুন দিয়েছিল সবকিছু জেনে মেনে চলতেন।
তারা অনেক পয়সা খরচ করে এবং অনেক আশা নিয়ে ইন্ডিয়াতে যাচ্ছে চিকিৎসার জন্য। আমি চাই তাদের মনের আশা পূরণ হোক। আল্লাহ তাদের মনের আশা পূরণ করুন। আপনারা সবাই দোয়া করবেন ভাইয়া ভাবির জন্য যেন তাদের ঘর আলো করে একটা সন্তান আসে।আমার এখানে আশেপাশে অনেকেই দেখেছি ইন্ডিয়া থেকে চিকিৎসা করে আসার পর তাদের বাচ্চা হয়েছে।কারণ বাংলাদেশের থেকে বাহিরের দেশগুলোতে চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক ভালো এবং উন্নত।
যাইহোক আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
সন্তানের অভাব মনে হয় পৃথিবীতে সব থেকে বড় অভাব। অনেক টাকা পয়সা থাকলে কি হবে একটা সন্তান না থাকলে জীবনের সুখ আসে না। তাছাড়া আত্মীয়-স্বজন পাড়া প্রতিবেশিরাতো রয়েছেই। তাদের জন্য কষ্টটা আরো বেশি বেড়ে যায়। আপনার মত খাদিজা আপুর জন্য আমিও দোয়া করি যাতে ইন্ডিয়ায় চিকিৎসা ফলে সে একটি সন্তানের মুখ দেখতে পারে।