অনেক বছর পর বাটা মেহেদি পাতা হাতে দেওয়ার অনূভুতি
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আমি আপনাদের মাঝে চলে এসেছি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। অনেক বছর পর গাছের মেহেদী পাতা বেটে হাতে দিলাম।সত্যি কথা বলতে অনুভূতিটা অন্যরকম ভালো লাগার ছিল যা আমাকে ছেলেবেলায় ফিরে নিয়ে যাচ্ছিল বারবার। কত বছর পর যে বাটা মেহেদি পাতা হাতে দিলাম ঠিক মনেও করতে পারবো না। তাই তো সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য চলে আসলাম।
আজকে দুপুরবেলা আমার চাচাতো ভাবি বেশ কিছু মেহেদী পাতা গাছ থেকে তুলেছে। আমাদের পাশের বাড়ির এক চাচির বাসায় আছে। অনেকদিন বাটা মেহেদি পাতা হাতে দেওয়া হয় না।তাই ভাবিকে বললাম আমাকেও যেন বেটে দেয়। তো সন্ধ্যার পর ভাবী এসে বাটা মেহেদি দিয়ে গেছে। খুব শখ করে হাতে লাগাচ্ছিলাম তাই ভাবলাম কিছু ফটোগ্রাফি করেই আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
অনেক ছোটবেলার কথা তখন আমাদের গ্রামে কোন মেহেদি পাতার গাছ ছিল না। ঈদের মধ্যে হাতে মেহেদি না দিলে যেন আমাদের ঈদই হবেনা এমন একটা অবস্থা। যেহেতু গ্রামে থাকতাম তাই যে প্যাকেটের মেহেদি পাওয়া যায় সেটাও কখনো জানতাম না। তখন আমরা বিভিন্ন গ্রামে যেতাম মেহেদী পাতা কিনতে। যেগুলো বাসায় এনে বেটে হাতে দিতাম। একদিনে ভালো রং হতো না তাই আমরা দু-তিন দিন দিতাম যাতে রংটা গাঢ় হয় এবং অনেকদিন থাকে।
এরপর যখন প্যাকেটের মেহেদির সন্ধান আমরা পাই তখন থেকে গাছের মেহেদি খুব একটা হাতে দেওয়া হত না। তাই আজকে অনেকদিন পর যখন এই মেহেদী হাতে দিয়েছিলাম তখন বারবার সেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ছিল। সামান্য কিছু মেহেদি পাতার জন্য কত কষ্ট করে না এ গ্রাম্য গ্রাম ঘুরে বেড়াতাম। সত্যি কথা বলতে সেই গ্রাম ঘোরার মধ্যেও প্রচুর আনন্দ ছিল যা এখন আর পাইনা।আরো একটা মজার কথা মনে পড়ল সেটা হচ্ছে আমরা হাতে মেহেদি দিতাম আর সবাই মিলে বলতাম যে যার মন ভালো তার হাতে মেহেদির রং তত গাঢ় হবে।কত ছেলেমানুষই না করতাম ছোটবেলায়।
যাইহোক অনেকদিন পর হাতে মেহেদি দেওয়ার অনুভূতিটা অন্যরকম ছিল। বেশ ইনজয় করছিলাম জানিনা কত রাত পর্যন্ত রাখতে পারব আজ। যেহেতু বাবু আছে ওকে টেক কেয়ার করার একটা ব্যাপার থাকে।তো আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে পরবর্তীতে।
একটা সময় তো মানুষ মেহেদী পাতা বেটে হাতে লাগাতো। তবে যুগের পরিবর্তনের কারণে সেগুলো কেমিক্যাল দিয়ে টিউবে করে মানুষ লাগাচ্ছে। এতে করে স্কিন ক্যান্সারের সম্ভাবনা ও থাকে। যাইহোক অনেকদিন পর বাটা মেহেদি লাগানোর অনুভূতি পড়ে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু।
জ্বি ভাইয়া এই টিউব মেহেদী গুলো আমাদের স্কিনের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের স্কিনের জন্য। অনেকদিন পর মেহেদি পাতা বাটা লাগানোর অনুভূতিটা অনেক ভালো লাগার ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলেই ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দিলেন।টিউব মেহেদী বের হয়ে মানুষ এখন বাটা মেহেদী কম দেয়।ছোটবেলায় আগে কার বাসায় মেহেদী আছে তা খুঁজে খুঁজে চুরি করতাম,কত যে বোকা খেয়েছি এই মেহেদীর জন্য তারপর কত জন রে রিকুয়েষ্ট করতাম বেটে দেওয়ার জন্য।যাই হোক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ পুরোনো স্মৃতি মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।
জ্বি আপু টিউব মেহেদী বের হয়ে এই বাটা মেহেদি প্রায় উঠেই গেছে। আর ছোটবেলায় এই মেহেদি দেওয়ার জন্য মেহেদী পাতা খুঁজে বেড়াতাম। আপনাকেও ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আসলে ছোটবেলায় এই বিষয়টা প্রচুর পরিমাণে লক্ষ্য করা যেত এবং এভাবে সবাই হাতের মধ্যে মেহেদি পড়ে থাকত গাছের বাটা মেহেদি গুলো। আপনি অনেক বছর পরে এভাবে মেহেদি দিয়েছেন যা দেখেই বুঝতে পারছি। মেহেদী দেখেই বুঝতে পারছি এর রং অনেক বেশি হয়। আর আপনার হাতে অনেক বেশি সুন্দর লাগবে। আপনার অনুভূতিটা আমাদের মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য পোষণ করার জন্য।
লাস্ট কবে আমি বাটা মেহেদি পাতা হাতের মধ্যে লাগিয়েছিলাম তা আমার জানা নেই। আসলে এভাবে বাটা মেহেদী পাতা হাতের মধ্যে খুবই কম লাগানো হতো। একে তো আমাদের বাড়িতে কোন মেহেদী পাতা ছিল না, আরেকটা হচ্ছে সময়ের কারণেও লাগানো হতো না। অনেক বছর পরে লাগানোর পরে আপনার অনুভূতিটা সব থেকে ভিন্ন রকমের যা দেখে বুঝতে পারছি।
জ্বি আপু অনেক বছর পর বলতে গেলে ইচ্ছে করেই মেহেদি লাগিয়ে ছিলাম হাতে। তাই অনুভূতিটা অন্যরকম ভালো লাগার ছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
যতই প্যাকেটের মেহেদী পাওয়া যাক না কেন আপু, এই পাতা মেহেদী বাটার মতোন কিছুই হয় না। এই পাতা মেহেদী বাটার ঘ্রাণও আমার ভীষণ মন ভালো করে দেয়। আর এমন হাতের ভেতর গোল ডিজাইন এবং নখ গুলো ভরাট করে দিলে দেখতেও খুব সুন্দর লাগে যদি গাঢ় রঙ হয়। আপনার হাতে রঙ কেমন এসেছে সেটা তো দেখালেন না..
মোটামুটি ভাল রং হয়েছে আপু। তবে বেশিক্ষন রাখতে পারিনি বাবু ছিল এজন্য খুব তাড়াতাড়ি তুলে ফেলেছিলাম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার পোস্ট পড়ে আমিও শৈশবের স্মৃতিতে ফিরে গিয়েছিলাম। আপনি খুব সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করেছেন। আমারও মনে নেই কত বছর আগে বাটা মেহেদি হাতে দিয়েছিলাম। ঠিক বলেছেন আপু ঈদের সময় হাতে মেহেদি না দিলে যেন ঈদের আনন্দ উপভোগ করা হতো না। ঈদের আগের বিকালে মেহেদি পাতা বেটে সন্ধ্যা থেকে দেওয়া শুরু করতাম। তখনকার আনন্দটা অনেক মজার ছিল আর এখন তো তেমন কোনো আনন্দই হয়না। এই মেহেদির রং অনেক দিন থাকে বলে দিতেও ভালো লাগতো। আমি কখনো নখ সাদা হতে দেইনি। কিন্তু এখন কেন জানি আর আগের মতো ভালো লাগে না। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু এই মেহেদির রং অনেক দিন থাকে হাতে যার কারণে অনেক ভালো লাগে। আমিও অনেক বছর পর দিলাম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
মেহেদি দিয়ে হাত রাঙালে দেখতে বেশ ভালো লাগে। বিয়ের আগে অনেকবার হাতে মেহেদী দিয়েছি আপু কিন্তু বিয়ের পরে আর দেওয়া হয় না। তবে প্যাকেটের মেহেদীর থেকেও গাছের মেহেদী কিন্তু অনেক ভাব। কারণ গাছের মেহেদী হলেও ন্যাচারাল ভাবে পাওয়া যায় আর এর রংটাও অনেক গাঢ় এবং দেখতেও সুন্দর লাগে।
হ্যাঁ ভাইয়া গাছের মেহেদি পাতা ন্যাচারাল এবং এর রংটা বেশ গাঢ় হয় আর থাকেও অনেক দিন। যাইহোক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় এখনকার মতন হরেক রকমের মেহেদি বাজারে পাওয়া যেত না। তখন আমরা ঈদের আগের দিন এরকম মেহেদী বাটা হাতে লাগাতাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
জ্বি আপু আমরাও ছোটবেলায় এই ভাবেই মেহেদি লাগাতাম হাতে। তখন তো এত টিউব মেহেদী ছিল না। ধন্যবাদ আপু আপনাকেও সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলে আপু একসময় এই বাটা মেহেদী খুব দিয়েছি। তবে এখন স্বল্পতায় আমরা বাজারে মেহেদী কিনতে পায়। যে কারণে এখন আর এভাবে মেহেন্দির পাতা বেটে হাতে দেওয়া হয় না। তবে বাটা মেহেন্দি হাতে দিলে এতে রংটা খুবই গাঢ় হয়। তবে আপনি অনেক বছর পরে বাটা মেহেন্দি হাতে দিয়েছেন। এবং এটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আমরা এখন এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছি যে কেমিক্যাল যুক্ত জিনিসগুলো এখন আমাদের সুবিধা মনে হয়। তবে এই মেহেদি গুলো আমাদের হাতের জন্য খুবই ভালো কেননা এগুলো একদম ন্যাচারাল। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।