মাসকাবারি বাজার করার মূহুর্ত
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। গতকাল আমি বেশ কিছু বাজার করেছি এবং কি কি বাজার করেছি সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব। অনেকদিন বাসায় ছিলাম না। আর বাসায় না থাকলে যা হয় আর কি। কোনো বাজারই নেই বাসায়। শুকনা বাজার থেকে শুরু করে হুইল, সাবান, তেল, মশলা, কাঁচা বাজার, মাছ, মাংস, ডিম কিছুই নেই বললেই চলে। তো প্রথমে রেডি হয়ে রিকশা নিয়ে আগে হসপিটালে যাই। আমি কাল পোষ্টে বলেছিলাম আমার ননদ অসুস্থ হসপিটালে ভর্তি আছে। তো প্রথমে আমরা তাকে আগে দেখতে যাই। গিয়ে দেখলাম মোটামুটি তার অবস্থা ভালো তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছিল। তো আমরা ওখান থেকে বেরিয়ে সোজা স্বপ্ন সুপার শপে চলে যায়।
সেখানে গিয়ে দেখি বেশ কিছু পন্যের উপরে ছাড় দিয়েছে যেমন হুইল, বিভিন্ন গুঁড়া মসলা,আটা তেল ইত্যাদি সবকিছুর উপরে ছাড় দিয়েছে। যেহেতু আমি পুরো মাসের বাজার করি তাই আমার জন্য বেশ সুবিধা মনে হলো তাই সেখান থেকে শুকনো উপকরণ থেকে শুরু করে তেল সাবান হুইল আটা যা যা লাগে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সবকিছু কিনেছিলাম। স্বপ্নতে বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায় কিন্তু এবারে মাছগুলো আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগে নিয়ে তাই সেখান থেকে আর কিনি নাই। আর এখানে আসতে বাবু তো বিভিন্ন ধরনের চকলেট নিবেই। যাইহোক ওকে বেশ কিছু চকলেট কিনে দিলাম। এরপর আমরা সেখান থেকে চলে আসি কাঁচাবাজারে। নিজেদের জন্য বেশ কয়েক প্রকার সবজি কিনলাম। এছাড়াও বাবুর জন্য কিনেছিলাম গাজর, বরবটি, পেঁপে। ওকে প্রতিদিন একটু সবজি দেওয়ার চেষ্টা করি।
এরপর আমরা চলে আসলাম মাছের বাজারে। অনেকদিন আগে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম আমাদের এখানে মাছের বাজারটি ভেঙ্গে দেয়া হয়েছিল। তার পাশে দেখলাম বড় একটি মাছের বাজার গড়ে উঠেছে। দেখে বেশ খুশি খুশি লাগলো। এরপর আমরা পছন্দ মতো কিছু রুই মাছ কিনেছিলাম।অন্যান্য মাছগুলো খুব কম খাওয়া হয়। বিশেষ করে আপনাদের ভাইয়া অন্য কোন মাছ খেতেই চায় না। এরপর পাশে ছিল মুরগির দোকান। সেখানে গিয়ে বাবুর জন্য কিছু সোনালি মুরগি কিনেছিলাম। বাবু মুরগির মাংস খুব পছন্দ করে।
মুরগি কিনে পরিষ্কার করে নিচ্ছিলাম এর মধ্যে বৃষ্টি চলে আসছিল। তাই তাড়াতাড়ি করে বাসায় চলে এসেছিলাম। আরও প্রয়োজনীয় বাজার ছিল কিন্তু বৃষ্টির কারণে আর করতে পারেনি। যাইহোক এই ছিল আমার গতকালের বাজার করার অনুভূতি বা অভিজ্ঞতা। আজ এ পর্যন্তই। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।
আসলে আপু আপনি ঠিক বলেছেন বাসায় না থাকলে সত্যি কোন বাজার থাকে না। আপনি দেখছি অনেক বাজার করেছেন। আপনি ভালো করেছেন বাবুকে একটু একটু করে সবজি দিয়ে। আসলে এখন থেকে সবজি না খেলে আর খেতে চাবে না। আমার মনে হয় মুরগির মাংস সব বাচ্চাদের অনেক পছন্দ। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপু আমি পুরো মাসের বাজারটা একবারে সেরে ফেলি।বাবুকে নিয়ে প্রত্যেকদিন বাজার করা সম্ভব হয় না। বিশেষ করে মাছ-মাংসের বাজারটা। সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
বাহ দারুন বাজার কিনলেন আপনি পুরো মাসের জন্য অনেক ভালো লাগলো দেখে। আসলে মাঝে মধ্যে কিছু পণ্যের উপর ছাড় দেওয়া হয় তখন ভালো লাগে কিনতে। তাছাড়া মাছ মাংস আপনি তো দারুন কিনলেন অনেক ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
জ্বী আপু ছাড়ের পণ্যগুলো কিনতে সব সময় ভালো লাগে কারণ সেগুলো অনেক কম দামে পাওয়া যায়। তাইতো আমিও ছাড়ে পুরো মাসের বাজারগুলো করে নিলাম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু বেশ কিছুদিন বেড়িয়ে আসার পর মাসের বাজার একবারে করে নেয়াই ভালো।আর তাছাড়া স্বপ্নে অফার চলেই।যাই হোক আপনার ননদ সুস্থ হয়ে বাসায় যাচ্ছে শুনে ভীষন ভালো লাগলো। এরপর আপনারা স্বপ্নে গিয়ে কেনাকাটা করলেন। স্বপ্নে সামুদ্রিক মাছ ভালোই পাওয়া যায়। আপনি মাছ কিনতে বাজারে গেলেন।ভাইয়ার কথা চিন্তা করে রুই মাছ আর ছেলের জন্য মুরগী নিলেন।বাজার করা নিয়ে আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আমরা মেয়েরা সব সময় স্বামী সন্তানের কথাই চিন্তা করি। তাইতো আপনাদের ভাইয়ার জন্য পছন্দের রুই মাছ আর বাবুর জন্য পছন্দের মুরগি কিনেছিলাম। জ্বী আপু আমার ননদ মোটামুটি সুস্থ বাসায় চলে যাচ্ছে এটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগার ছিলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
এক মাসের বাজার একসঙ্গে করলে অনেকটা সুবিধা হয়ে থাকে। মা, মুরগি, কাচা বাজার ও শপে গিয়ে বেশ কিছু কেনাকাটা করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগছে।বাজারে গিয়ে নিজে ক্রয় করাটা অনেকটাই আনন্দ লাগে।বেশ কিছুদিন ঘুরে আসার পর নিজে কেনাকাটা করার অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
পরিবারের সকলে একসাথে বাজার করতে গিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। অচেনা অজানা একটি বাজার সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা পেলাম এবং ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পারলাম। যাইহোক সুন্দর একটা মুহূর্ত ছিল পরিবার একসাথে বাজার করতে যাওয়ার। অনেক ভালো লেগেছে আপনার এই সুন্দর পোস্ট দেখে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
এক মাসের বাজার একসাথে করলে খুব সুবিধা হয়। আমিও মাঝে মধ্যে স্বপ্ন সুপার শপে গিয়ে বাজার করি। বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্রে ছাড় পাওয়া যায়। তবে স্বপ্ন সুপার শপে সামুদ্রিক মাছ পাওয়া গেলেও, মাছগুলো তেমন ফ্রেশ পাওয়া যায় না। তাই আমিও সেখান থেকে মাছ কিনি না। যাইহোক গ্রোসারি আইটেম, সবজি, মাছ, মুরগি সবকিছুই তো কিনলেন দেখছি। এতো সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।