চড়ুইভাতি ❤️
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজকে আমি আমার কাটানো সুন্দর কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করব। এ বছরে প্রথম চড়ুইভাতী খেলাম এবং বেশ আনন্দ করেছি তারই মুহূর্ত শেয়ার করবো।শীতকাল আসলেই পাড়ায় পাড়ায় চড়ুইভাতি যেটা আমরা আধুনিক ভাষায় পিকনিক বলি সেই পিকনিক খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। গ্রামে এসেছি বেশ কিছুদিন হল। গতকাল সকালবেলা সবাই মিলে ঠিক করলাম রাতে পিকনিক খাব।আর এখানে আসলে সব ছোট ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে আমি বেশি মিশি।তাই বেশি টাকা দিয়ে পিকনিক খাওয়ার মতো অবস্থা তাদের নেই। তাই আমরা একটি করে ডিম দিয়ে এবং বাড়ি থেকে চাল, মসলা, সবজি তুলে পিকনিক করার ব্যবস্থা করেছিলাম।
যেহেতু আমরা রাতে পিকনিক খেয়েছিলাম তাই আমরা বিকেলবেলা সবার বাড়ি থেকে সবকিছু সংগ্রহ করছিলাম। এসব কাজগুলো অবশ্য ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা বেশি করেছিল। এরপর তারা যখন সবকিছু সংগ্রহ করে এনে দিয়েছিল আমাদেরকে তারপর আমরা রানার কাজ শুরু করি।ছোট ছিলাম তখন প্রত্যেক সপ্তাহে জরিপাটি খেতাম। সেটা হোক ডিম বা খিচুড়ি। সেই দিনগুলোর কথা বারবার আমার মনে পড়ে যাচ্ছিল। এই ছোট ছোট বাচ্চাদের ছোটা ছুটি দৌড়াদৌড়ি এবং আনন্দগুলো খুব উপভোগ করছিলাম আমি।
আমার বাবুর জন্মের পর এটি প্রথম তার চোড়ুইভাতি খাওয়া। সে যে কি পরিমাণ দৌড়াদৌড়ি এবং মজা করেছে সেটা আমি বলে বোঝাতে পারবো না।আশেপাশের কিছু প্রতিবেশী ও আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন। আমাদের আইটেম বেশি কিছু ছিল না ডিম দিয়ে আলু ভাটি এবং সাদা ভাত। ডিম দিয়ে বা মাছ দিয়ে বা মাংস দিয়ে আলুঘাটি কিন্তু আমাদের উত্তর অঞ্চলের জনপ্রিয় খাবার।
আমরা প্রায় ২৫ জনের মতো ছিলাম।রান্নাও খুব সুস্বাদু হয়েছিল আমরা খুবই মজা করে খেয়েছি। বিশেষ করে বাচ্চারা খুব মজা পেয়েছে এবং তারাও খুব মজা করে খেয়েছে। এবার সব বাচ্চাদেরকে বলে দিয়েছি ওরা যেন টাকা জমায় আমি এই মাসের শেষের দিকে আবারো এসে তাদের সঙ্গে বড় করে একটা চড়ুইভাতী করব। তারাও আমার কথায় খুবই আনন্দ পেয়েছে এবং খুশি হয়েছে।
সব মিলিয়ে খুব ভালো সময় কাটিয়েছি গতকাল রাতে। বাবু ও খুব ভালো সময় কাটিয়েছে সবার সঙ্গে। আর চড়ুইভাতি তে সবাই মিলে একসাথে রান্না করার মুহূর্তে অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করে। যাইহোক বন্ধুরা আজ এই পর্যন্তই।দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।
আসলে গ্রামের বাচ্চারা ডিম দিয়ে পিকনিক খেতেই বেশি মজা পায় আর এই পিকনিক খাওয়াতে তাদের আগ্রহ ও আনন্দ থাকে লক্ষনীয়।ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে।আপনার ছেলে মজা করছে জেনে ভালো লাগলো।সব মিলিয়ে অসাধারণ এক মূহুর্তের অনুভূতি শেয়ার করেছেন আপনি।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু গ্রামের এই পিকনিক গুলোতে ছোট বাচ্চারাই বেশি আনন্দ পায়। ছেলেও খুবই মজা করছিল সবার সঙ্গে। যেটা দেখে আমার খুব খুশি লাগছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সব মিলিয়ে যে খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন তা তো দেখেই বুঝা যাচ্ছে। কিন্তু আমার তো মনটাই খারাপ হয়ে গেল। কতদিন যে এমন করে পিকনিক খাওয়া হয় না। আমরাও আগে ছোট বেলায় এমন করে পিকনিক খেলতাম। সবার ঘরের থেকে চালডাল নিয়ে আসতাম। আর রান্না করে রাতে খেতাম। সত্যি আপু আজকে আপনার পোস্ট দেখে আমার সেই ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গেল।
আপনার কমেন্টগুলো পড়ে সব সময় আমি ব্যথিত হয়ে যাই আপু। আপনি সময় করে চলে আসেন তো আমার এখানে আপনাকে নিয়ে খুব ঘুরবো ফিরব মজা করব। ভালোবাসা রইলো আপু।
শীতের দিনে গ্রামের মজাই আলাদা আপু। বিশেষ করে চড়ুই ভাতি কিংবা পিকনিক আমরা অনেক বার খেতাম। একবার না অনেক বার খাওয়া হতো শীতকাল আসলে পিকনিক গুলো। বিশেষ করে রাতের বেলায় খোলা আকাশের নিচে সবাই মিলে এভাবে আনন্দ করে ভাগাভাগি করে খাওয়ার মজাই আলাদা। তো আপনি গ্রামে গিয়ে অনেক আনন্দ করতেছেন। বিষয় গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করলেন ধন্যবাদ।
শীতের রাতে গ্রামে সবাই মিলে পিকনিক খাওয়ার মজাই আলাদা। জ্বি আপু খুব আনন্দ করেছি।
আপনার এই পোস্ট দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল আপু। ছোটবেলায় এরকম পিকনিক যে কত বার করেছি তা গুনে শেষ করা যাবেনা। আর আপনারা তো দেখছি অনেকজন একত্রে এই পিকনিক করেছেন। এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে আপনি গ্রামে গেলে ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে মেশার চেষ্টা করেন। সুন্দর এই মুহূর্তটা আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমরা কয়েকজন ছিলাম ছোটবেলায় প্রত্যেক সপ্তাহে পিকনিক খেতাম।একটা সপ্তাহও মিস যেতো না।যাইহোক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।