ভালোবাসার জয় || দ্বিতীয় এবং শেষ পর্ব
"হ্যালো",
এরপর থেকে তাদের মধ্যে মাঝেমধ্যে কথা হতো এবং কখন যে তারা নিজের অজান্তে একে অপরকে ভালোবেসে ফেলেছিল বুঝতে পারেনি। এর মধ্যেই দুই পরিবারের মধ্যে সবকিছু জানাজানি হয়ে যায়।
এরপরে কি ঘটেছিল সেটা জানার জন্য আপনাদেরকে পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আশা করছি প্রথম পর্বটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদের সুন্দর মতামতের মাধ্যমে আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আজ এ পর্যন্তই। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।
তাদের দুই পরিবারের মধ্যে সবাই প্রায় তাদের সম্পর্কটা মেনে নেয়। কিন্তু ওই যে একটা কথা বললাম সবকিছু খুব সহজে পাওয়া যায় না। তাদের এই প্রেমের পথে সুজনের মা বাধা হয়ে দাঁড়ায়।উনি কিছুতেই চান না গ্রামের একটা মেয়ে তার ছেলের বউ হোক।এদিকে সুজনও তার মায়ের মত ছাড়া কিছু করবে না। আবার সেই শিমুকেও ভুলে যাবে না। শিমুকে সে অনেক ভালবেসেছে এবং শিমুকে কথা দিয়েছে তাকে সে বিয়ে করবে।এজন্য যে করেই হোক তার মাকে সে রাজি করাবেই। সুজনের পরিবারের প্রত্যেকটা মানুষ সুজনের মাকে বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সুজনের মা কারো কথাই শুনতে রাজি নয়।
তিনি সুজনের অন্য জায়গায় বিয়ের কথা বলে। তখন সুজন মনে মনে ভাবে এবার প্রতিবাদ করতে হবে তা না হলে সে শিমুকে হারিয়ে ফেলবে। তখন সুজন তার মাকে অনেক বুঝিয়ে বলে যে সে শিমুকে ছাড়া বাঁচবে না। শিমুকে সে অনেক ভালোবাসে। সুজন মায়ের হাতে পায়ে ধরে মাকে রাজি করায়। সুজনের মায়ের ইচ্ছা না থাকলেও ছেলের কথা ফেরাতে পারিনি তাই সে রাজি হয়। এরপর সবাই মিলে গ্রামে শিমুকে দেখতে যায়। যেহেতু ছেলের পছন্দ ছিল এখানে নতুন করে তাদের কিছু বলার ছিলো না।
ওই যে বলেছিলাম শিমুর মায়াবী মুখ। এই মায়াবী মুখ দেখে সুজনের মা ও অনেক পছন্দ করে ফেলে শিমুকে।যাইহোক এরপর অনেক কথাবার্তা তাদের মধ্যে হয় তাদের বিয়ের তারিখ ঠিক হয় এবং ধুমধাম করে তাদের বিয়ে হয়।বিয়ের পর কয়েকটি মাস কেটে গিয়েছে। এখন শিমুর সঙ্গে তার শাশুড়ির খুবই ভালো সম্পর্ক।তাদের এত ভালো সম্পর্ক দেখে সুজন মাঝেমধ্যেই তার মাকে বলে "বেশ তো বলেছিলে মেয়ে পছন্দ না। এখন তো দেখছি আমাকেই সময় দাও না সব সময় বৌমাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকো।"
যাইহোক এভাবেই চলছে সুখে শান্তিতে তাদের সংসার। প্রত্যেকটা ভালোবাসা পূর্ণতা পাক। সত্যি এ যুগে এমন শ্বশুরবাড়ি বা এমন বউমা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। যাইহোক আজ এখানেই শেষ করছি আশা করছি গল্পটা আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে আর ভালো লাগলে অবশ্যই সুন্দর মতামতের মাধ্যমে আমাকে জানাতে ভুলবেন না দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে
আপু আপনার ভালোবাসার গল্পটার প্রথম পর্ব পড়েছিলাম অনেক ভালো লেগেছিল।সত্যি আপু সহজেই সফলতা পাওয়া যায় না। যাইহোক শিমুল তার ভালোবাসা পেয়েছে এটাই অনেক। ভালোবাসার জয় হলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আসলে যে কোন ভালোবাসা পূর্ণতা পেলে তার থেকে আনন্দ আর কিছুই হয় না। সুজনের মা ও তাহলে সবশেষে তাদের সম্পর্কটা মেনে নিয়েছিল। আর শাশুড়ি বৌমার মধ্যে তাহলে বেশ ভালোই ভাব জমে ছিল পরবর্তীতে। আসলে সহজে যে কোন কিছু পাওয়া যায় না এবং কি এর আশাটা করাও ভালো না। যেকোনো কিছু পেতে হলে অবশ্যই সময় লাগে। তবে সময় লাগলেও পরবর্তীতে যদি তা পাওয়া যায় তা সত্যি আনন্দের বিষয়। শিমু এবং সুজনের ভালোবাসা পূর্ণতা পেয়েছে এটা ভাবতেই আনন্দ লাগছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
ভালোবাসার জয় দেখলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আসলে ভালোবাসার মধ্যে বাঁধা তো অবশ্যই আসবে। আর এই বাঁধা অতিক্রম করে সামনের দিকে এগিয়ে গেলে ভালোবাসায় পূর্ণতা পাওয়া যায়। আর ভালোবাসায় যখন পূর্ণতা পাওয়া যায় তখন তার আনন্দ সবকিছুর থেকে আলাদা হয়। বাস্তবিক এই গল্পটা পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। এরকম বাস্তবিক গল্প গুলো আমি অনেক পছন্দ করি।
জ্বী আপু ভালোবাসার জয় দেখলে অনেক ভালো লাগে। আর ভালবাসার মধ্যে হাজার বাধা পেরিয়ে যদি সফলতা পাওয়া যায় তাহলে সেটা হয় পরম পাওয়া। যাইহোক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার শেয়ার করা ভালবাসার প্রথম পর্বের পোস্টটি আমি পড়েছিলাম বেশ ভালো লেগেছিল। এই পোস্টিও বেশ দারুন ভাবে লিখে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আসলে ভালোবাসা যদি পূর্ণতা পায় তাহলে তার থেকে ভালো আর কিছুই হতে পারে না। আসলে আমি মনে করি ভালোবাসার মধ্যে যেকোনো ধরনের বাধা আসতে পারে কিন্তু সেই বাধা অতিক্রম করে ভালবাসাকে পূর্ণতা দিতে পারলেই সবথেকে বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আসলে আপু আমাদের বর্তমানে এমন অনেক হচ্ছে। যদি ছেলে কোন মেয়েকে ভালোবাসে এবং তাদের ভালবাসার মাঝে পরিবারের অনেকেই তা মেনে নিতে চান না। তবে একপর্যায়ে দেখা যায় সব দিক দিয়েই ঠিকঠাক হয়ে সেই ভালোবাসা পূর্ণতা পায়। তবে আপনার পোস্টটি খুবই দুর্দান্ত ছিল ধন্যবাদ আপু।
প্রত্যেকটা ভালোবাসাই পূর্ণতা পাক এটাই চাওয়া। আর যে কোন ভাল কাজে অনেক বাধা আসে সেই বাধা পেরিয়ে যদি সফলতা অর্জন করা যায় সেটার মত খুশি আর অন্য কিছুতে নেই। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।