সুখের সংসারে দুঃখের আগুন || একটি বাস্তব ঘটনা || পর্ব -১

in আমার বাংলা ব্লগlast year

1000024685.jpg
সোর্স

"হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আসলে সংসার এমন একটা জিনিস যেখানে না চাইতেও অনেক সময় অনেক অঘটন ঘটে যায় যা সারা জীবনের অশান্তি বা দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আজকে আমি আপনাদের সাথে যে গল্পটি শেয়ার করব সেটা আমার খুবই কাছের এক আত্মীয়ের সংসারে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা এবং এটা গত দুই একদিন আগেই ঘটে গিয়েছে। একটা মেয়ে তার বাবার বাড়ির হাজারো যত্ন ভালোবাসা ছেড়ে স্বামীর ঘরে আসে সুখে শান্তিতে সংসার করতে।কয়েক বছর সংসার করার পর যখন সেই সংসারে অশান্তি বিরাজ করে তখন সেটা কোন মেয়েই মেনে নিতে পারে না। তো চলুন শুরু করি আজকের গল্পটি।

সুমন এবং সাহেরার সুখের সংসার। তাদের সংসারে এক ছেলে এবং এক মেয়ে সন্তান আছে।ছেলেটা অষ্টম শ্রেণিতে এবং মেয়েটা সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে। খুবই সুখী পরিবার ছিল তাদের। বন্দরে সুমনের একটি কসমেটিকের দোকান আছে। সেই দোকান থেকে বেশ ভালো টাকা সুমন আয় করে এবং তাদের সংসারও খুব ভালোভাবেই চলে।হঠাৎ করে সুমনের মধ্যে কিছু পরিবর্তন আসে। সব থেকে যে পরিবর্তনটা ছিল সেটা হচ্ছে দেরি করে বাসায় ফেরা। এতে অবশ্য সাহেরা কিছু মনে করত না ভাবতো হয়তো বেচাকেনা করতে করতে রাত হয়ে যায়। একদিন অনেক রাত হয়ে যায় কিন্তু সুমন বাড়িতে ফিরছে না। এদিকে সাহেরা চিন্তায় অস্থির হয়ে গিয়েছে। বারবার ফোন করছে ফোনটা বন্ধ বলছে।

যাইহোক অনেক রাতে সে বাড়ি ফিরেছিল এবং ফিরে খাওয়া দাওয়া করে সুমন সাহেরাকে বলে তোমরা ঘুমিয়ে পড়ো আমি একটু বাইরে থেকে হাঁটাহাঁটি করে আসি।এমনটা সুমন মাঝেমধ্যেই করে দেরি করে বাসায় ফিরে আবার মাঝ রাতে বাহিরে গিয়ে সময় কাটায়।একদিন আবারও সে এমন দেরি করে বাসায় ফিরে এবং খাওয়া দাওয়া করে বাহিরে যায়। যাইহোক সেদিন রাত কেটে যাওয়ার পর পরদিন এক লোক খোঁজ করতে আসে সুমনের।সুমন তখন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে কোন একটা কাজে বাহিরে গিয়েছে। তাহেরা তখন লোকটিকে বলে কি হয়েছে আমাকে বলতে পারেন সুমন তো বাসায় নেই। তখন লোকটি বলে," কি ব্যাপার ভাবি ভাই দেখছি কদিন থেকে দোকান খুলছে না। কোন কি সমস্যা হয়েছে?

তখন সাহেরা অনেকটা অবাক হয় এবং মনে মনে ভাবে সে দোকান খোলে না আবার বাসাতেও থাকে না। মাঝরাতে বাহিরে বসে থাকে অনেকক্ষণ ব্যাপারটা তো দেখতে হচ্ছে। তবে সে ওই লোকটাকে কিছু বুঝতে দেয় না। এরপর পরের দিন যখন সুমন রাত করে বাসায় ফিরে খাওয়া দাওয়া করে বাহিরে যায়। কিছুক্ষণ পর সাহেরা খুঁজতে খুঁজতে বাহিরে বের হয় এবং সে বুঝতে একটা জায়গায় ফিসফিস করে কথা শোনা যাচ্ছে। রাতের অন্ধকার ছিল তাই সে আস্তে আস্তে আরো কাছে যায়। কাছে যাওয়ার সাথেই সে অনেকটা অবাক হয়ে যায়। তার স্বামী কারো সাথে কথা বলছে ফোনে। তখন সাহেরা সুমনের কান থেকে ফোনটা টান মেরে নিয়ে শুনতে পায় অপর পাশে থেকে মেয়ে কন্ঠ।

এরপর দুজনের তুমুল ঝগড়া হয় এবং সুমন কিছুতেই স্বীকার করে না যে সে কোন একটা মেয়ের সঙ্গে কথা বলছিল। সে বারবার বলছিল রং নাম্বারে ফোন এসেছে। যাইহোক এরপর থেকে সুমন খুবই সাবধানে চলাফেরা করছিল এবং তার বউকে বুঝাচ্ছিল যে খুবই ভালো হয়ে গেছে সে। আর তার ভালো ব্যবহারে সাহেরা ভেবেছিল হয়তোবা সুমন ভালো হয়ে গেছে। এখন কথা হচ্ছে সুমন কি আদৌ ভালো হয়ে গেছে? নাকি সে কোন অঘটন ঘটিয়ে ফেলেছে। যা পরবর্তীতে তাদের সংসারে বড় একটি সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। আর সেটা জানতে হলে অবশ্যই আপনাদেরকে পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

আজ এ পর্যন্তই। খুব শীঘ্রই চেষ্টা করব এই গল্পের পরবর্তী পর্ব টা শেয়ার করার। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।

ধন্যবাদ সবাইকে।

1000006402.png

1000006403.gif

1000006401.gif

Sort:  
 last year 

আসলে তাদের সুখ সুখের সংসারে সুমন সাহেব নিজেই দুঃখ ডেকে নিয়ে এসেছে। আসলে গল্পের শেষ পর্ব না পড়লে মন খুলে কিছু বলা যায় না তাই পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

 last year 

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য। খুব শীঘ্রই দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করার চেষ্টা করব।

 last year 

এরকম ঘটনা এখন প্রায়ই দেখা যাচ্ছে।সুন্দর একটি সংসারের মধ্যে দুজনের মধ্যে যেকোনো একজন এরকম একটি কাজ করে ফেললে সে সংসারে আগুন লাগবে এটাই স্বাভাবিক।এবং ওই সকল মানুষগুলোই পুরো পরিবারটাকে একদম ধ্বংস করে ফেলে।এভাবেই তৃতীয় একজন মানুষের জন্য ভেঙ্গে যাচ্ছে শত শত সুখী পরিবার। আপনার পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম আপু।

 last year 

একটি সুখের সংসারে যখন তৃতীয় ব্যক্তি প্রবেশ করে তখন সেই সংসার টা তছনছ হয়ে যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।

 last year 

আপনার বাস্তব ঘটনাটি পড়ে বুঝতে পারছি যে সুখের সংসারে দুঃখ আসতে আর বেশি দেরি নেই। আসলে সুমন নিজেই তার সুখের এত সুন্দর একটি সংসারে আগুন লাগাতে চাচ্ছে। পরবর্তীতে সুমন কি করল তা জানার অপেক্ষায় রইলাম।

 last year 

জ্বি আপু সুমন নিজে তার সুখের সংসারে আগুন লাগিয়েছে যা তার পুরো সংসার টা তছনছ করে দিতে চলেছে।ধন্যবাদ আপু পরবর্তী পর্বের অপেক্ষা করার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 last year 

বর্তমান সময়ের সমাজে এই ধরনের ঘটনাগুলো খুব বেশি পরিমাণে দেখতে পাওয়া যায়। সুখের সংসার ছেড়ে তারা পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে যায়। বিষয়টাকে আমার কাছে একটা সামাজিক ব্যাধি বলে মনে হয়। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম আপু।

 last year 

ঠিকই বলেছেন ভাইয়া এটা একটি সামাজিক ব্যাধি বটে। মানুষ যে কেমন এমনটা করে কিছুতেই বুঝে উঠতে পারিনা। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

যতদিন যাচ্ছে তত যেন মানুষের পরিচয় আর মানুষ থাকছে না, দিন দিন মানুষ অমানুষের রূপ ধারণ করছে। অতি কষ্টে সন্তান জন্ম দিয়েও যেন অনেক পিতা-মাতা এমন অশালীন কাজে লিপ্ত হচ্ছে নিজের সংসার ধ্বংস করে অন্যের হাত ধরে চলে যাচ্ছে। যেন একটুও বুক কাপছে না তাদের। আজ সারাদেশে এমন ঘটনা বহু আর এ জাতীয় ঘটনা গুলো সত্যিই আমাকে মর্মাহত করে। দুই দিনের দুনিয়ায় মানুষ কেন এমন জঘন্য কাজে লিপ্ত হয়। এই প্রশ্নটা মনের মধ্যে বারবার নাড়া দিয়ে যায়।

 last year 

আসলেই এই ধরনের ঘটনাগুলো শুনলে খুব খারাপ লাগে। এতো সুখের সংসার কিছু কিছু মানুষ নিজের হাতে ধরে শেষ করে দেয়। বর্তমানে হাজারো সুমনরা পরকীয়ায় জড়িয়ে যাচ্ছে। অনেকে আবার গোপনে বিয়েও করে ফেলে। আমার তো মনে হচ্ছে এই গল্পের সুমনও পরকীয়ায় জড়িয়ে বিয়ে করে ফেলেছে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 58751.99
ETH 2642.76
USDT 1.00
SBD 2.47