ভালোবাসার জয় || প্রথম পর্ব
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো অনেক কষ্টের পর ভালোবাসার জয় হওয়ার একটি গল্প । গল্প হলেও এই ঘটনাটি সত্য এবং আমার এক ছোট বোনের প্রেম কাহিনী এটা। যে কোন কাজের ফলাফল খুব সহজেই পাওয়া যায়না।একটু তো কষ্ট করতেই হয়। আর কষ্ট করার পর যখন খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায় তখন আনন্দের সীমা থাকে না। তো চলুন বন্ধুরা কথা না বাড়িয়ে গল্প শুরু করা যাক।
শিমু গ্রামের মেয়ে। আর সুজন শহরের ছেলে। সুজন শিমুদের গ্রামে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াতে এসেছে। আসার পর থেকে শিমুকে তার চোখের সামনে দেখছিল বারবার। আসলে যেহেতু গ্রামের মেয়ে তাই সে খুব দুরন্ত ছিল। শিমুর গায়ের রং শ্যামলা কিন্তু তার চেহারার মধ্যে মায়া লুকিয়ে আছে। সুজন কখন যে সেই মায়ায় পড়ে যায় সেটা সে বুঝতে পারে না। অনুষ্ঠান শেষে সুজনের শহরে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু শিমুকে দেখার পর শহরে সে কিছুতেই ফিরতে চায় না। মনে মনে ভাবে শিমুর সঙ্গে তার কথা বলতে হবে কেননা সে নিজের অজান্তেই শিমুকে ভালবেসে ফেলেছে।
রাত যেন কিছুতেই কাটছে না। সুজন অনেক ছটফট করছে।কখন সকাল হবে এবং কখন সে শিমুর সঙ্গে কথা বলবে। এমনটা ভাবতে ভাবতে সকাল হয়ে যায় এবং সুজন বেরিয়ে পরে শিমুকে খুঁজতে। খুঁজতে খুঁজতে এসে দেখতে পায় শিমু আর তার বান্ধবীরা মিলে বসে গল্প করছে। সুজন এক পা দু পা করে তাদের কাছে গিয়ে পৌঁছায়। এবং সে শিমুর সঙ্গে আলাদা কথা বলতে চায়।যেহেতু শিমু অনুষ্ঠান বাড়িতে সুজনকে ডেকেছিল তাই খুব সহজে তার সাথে কথা বলতে রাজি হয়ে যায়।
তখন সুজন শিমুকে বলেঃ
★ সুজনঃ তোমাকে একটা কথা বলতে চাই?
★ শিমুঃ জ্বি ভাইয়া বলেন।
★ সুজনঃ কিছু মনে করবে না তো?
★ শিমুঃ না, বলতে পারেন।
★ সুজনঃ তোমাকে আমার খুব ভালো লেগেছে,তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি।
এই কথা শুনে শিমু কোন উত্তর না দিয়ে লজ্জা পেয়ে দৌড়ে বাড়ি চলে যায়। সুজন তার লজ্জা পাওয়া দেখে বুঝে নেয় যে শিমু হয়তো তাকে পছন্দ করে। এদিকে শিমু বাড়িতে গিয়ে বারবার সুজনের কথা গুলোই মনে মনে ভাবছিল। সুজন দেখতে শুনতে অনেক সুন্দর অনেক শিক্ষিত আবার শহরের ছেলে। মনটা চাইছিল সুজনের কথায় রাজি হতে। কিন্তু আবার পরক্ষণে তার মনটা বিষন্নতায় ভরে যায় ।সে ভাবে শহরের ছেলে হয়তো কিছুদিন আমার সাথে কথা বলে প্রেমের অভিনয় করে আমাকে ছেড়ে চলে যাবে।
যাইহোক এভাবে কেটে গেল কয়েকটা দিন। এদিকে সুজন শহরে ফিরেছে। তখন সে মনে মনে ভাবছিল ভাগ্যিস সে ছেলেটার কথায় রাজি হয়নি। সে এটাও মনে মনে ভাবছিলো হয়তো সুজন তাকে ভুলে গেছে। চোখের সামনে দেখে ছিল তাই হয়তো মোহে পড়েছিল। এরপর একদিন হঠাৎ শিমুর ফোনে অচেনা নাম্বারে ফোন আসে। শিমু ফোন রিসিভ করে ফোনের ওপাশ থেকে সুজনের গলা শুনতে পায়।তখন সে অবাক হয়ে যায়।
সুজন শিমুর ফোন আলাপঃ
★ শিমুঃ হ্যালো কে বলছেন?
★ সুজনঃ আমি সুজন। গ্রামে গিয়েছিলাম তোমার সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছিল।
★ শিমুঃ আপনি? এতো দিন পর।আমার নাম্বার পেয়েছেন কোথায়?
★ সুজনঃ ভেবেছিলাম কিছুদিন গ্রামে থেকে একেবারে তোমাকে বউ বানিয়ে নিয়ে আসব। কিন্তু আমার শহরের জরুরী কাজ পরে যাওয়ায় চলে আসতে হয়েছিল। তাই আসার সময় তোমার সাথে দেখা করতে পারি নি।তোমার খুব কাছের এক বান্ধবীর কাছ থেকে তোমার নাম্বারটা সংগ্রহ করে এনেছি তুমি কি ভেবেছিলে আমি তোমাকে ভুলে গেছি।
এরপর থেকে তাদের মধ্যে মাঝেমধ্যে কথা হতো এবং কখন যে তারা নিজের অজান্তে একে অপরকে ভালোবেসে ফেলেছিল বুঝতে পারেনি। এর মধ্যেই দুই পরিবারের মধ্যে সবকিছু জানাজানি হয়ে যায়।
এরপরে কি ঘটেছিল সেটা জানার জন্য আপনাদেরকে পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আশা করছি প্রথম পর্বটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদের সুন্দর মতামতের মাধ্যমে আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আজ এ পর্যন্তই। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।
শিমু ও সুজনের ভালোবাসার গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো।আসলে আপু কে কার প্রেমে কখন কিভাবে পড়ে বুঝা মুশকিল। সুজনকে দেখে মনে হচ্ছে অনেক ভালো ছেলে। আসলে আপু আপনি ঠিক বলেছেন কোন কিছুই সহজে পাওয়া সম্ভব নয়। সময় আর ধৈর্যের প্রয়োজন। দেখা যাক পরবর্তী পর্ব কি হয়।ধন্যবাদ আপু।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আসলে ভালোবাসাটা যদি পূর্ণতা পায় তখন অনেক ভালো লাগে। ভালোবাসার জয় গল্পটির প্রথম পর্ব আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এখন তো দেখছি সুজন এবং শিমু একে অপরের সাথে কথা বলতে বলতে দুজন দুজনকে ভালোবেসে ফেলেছে। পরবর্তীতে আবার দেখলাম তাদের ফ্যামিলিও জেনে গিয়েছে এই বিষয়টা। এখন তো আমি ভাবছি পরবর্তীতে কি হবে। অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী পর্ব দেখার।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
কিছু কিছু ভালোবাসা খুবই সুন্দর হয়। আর এই ভালোবাসা যখন পূর্ণতা পায় তখন মনে হয় আকাশ ছুঁয়ে ফেলেছি। শিমু এবং সুজনের কথোপকথন গুলো বেশ ভালো লাগলো। দুজন কথা বলতে বলতে কিভাবে যে একে অপরকে ভালোবেসে ফেলেছে তারা বুঝতেই পারিনি। যাই হোক পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম আপু।
জ্বি ভাইয়া যখন ভালোবাসার পূর্ণতা পায় তখন মনে হয় অনেক কিছু জয় করে ফেলেছি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আপনি আশেপাশের দেখা সেই ঘটনাগুলো গল্পের মাধ্যমে অনেক সুন্দরভাবে শেয়ার করেন যা আমার অনেক ভালো লাগে। আসলে বাস্তবিক গল্প গুলো পড়তে অনেক পছন্দ করি আমি। আপনি সব সময় বাস্তুবিক গল্প গুলো শেয়ার করে থাকেন যার কারণে আমি সব সময় পড়ি। আজকের এই গল্পটার প্রথম পর্বটা জেনে অনেক ভালো লেগেছে দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়।
আমার মনে হয় গল্প বানাতে হয় না। আমাদের আশেপাশের যে ঘটনাগুলো ঘটে থাকে সেগুলো যদি আমরা খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরি সেগুলো অনেক সুন্দর গল্পের রূপ নিবে। যাইহোক অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আসলে আপু ভালোবাসা যদি মানুষের কাছে জয় পায় তাহলে সেই ভালোবাসা বেশ সুন্দর কাহিনীতে রূপ দেয়। আপনি বেশ অনেক সুন্দর ভাবে শিমু ও সুজন এর ভালোবাসার কাহিনী আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আসলে আপু আমি মনে করি ভালোবাসা এমনভাবেই সম্পর্কের দিকে গড়ায় কখন কে কাকে ভালোবেসে ফেলে নিজেও বুঝতে পারেনা। ধন্যবাদ গল্পটি এত সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।