মজাদার ঝাল ঝাল হাঁসের মাংসের রেসিপি 🥘🥘
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি ব্লগে স্বাগতম। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব মজাদার ঝাল ঝাল হাঁসের মাংসের রেসিপি। হাঁসের মাংস খেতে আমি খুবই পছন্দ করি।তবে আমার বাসার অন্যান্য সদস্যরা খেতে খুব একটা পছন্দ করেনা বিধায় খুব কম খাওয়া হয় হাঁসের মাংস। কিন্তু কিছুদিন যাবৎ আমার খুবই হাঁসের মাংস খেতে ইচ্ছা করছিল এবং আমি আমার ছোট খালামণিকে বলেছিলাম। আমার খালামনির বাড়িতে অনেক হাঁস আছে সেখান থেকে খালামণি একদম কেঁটে বেছে ধুয়ে পরিষ্কার করে আমার জন্য হাঁসের মাংস পাঠিয়েছিলেন।আমি শুধুমাত্র রান্না করেছি। আর সেই রেসিপিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশা করছি ভাল লাগবে রেসিপিটা।
তো চলুন বন্ধুরা, মূল রেসিপিতে চলে যাই।
উপকরনসমূহঃ |
---|
হাঁসের মাংস |
আলু |
পেঁয়াজ কুচি |
আদা-রসুন বাটা |
জিরা-ধনিয়ার গুঁড়া |
মরিচের গুঁড়া |
হলুদ গুঁড়া |
সাদা এলাচ |
কালো এলাচ |
দারচিনি |
তেজপাতা |
লবণ |
তেল |
ধাপ-১
প্রথমে মাংসগুলো ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি।
ধাপ-২
এরপর চুলায় একটি বড় কড়াই বসিয়েছি এবং পরিমাণ মতো তেল দিয়ে তেল গরম হয়ে গেলে গরম মশলা দিয়ে নেড়েচেড়ে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে পেঁয়াজগুলো বাদামী করে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৩
পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে একে একে গুঁড়া মশলা এবং বাটা মশলা দিয়ে সামান্য পানি দিয়ে মসলাটা ভালোভাবে কষিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৪
মসলা ভালোভাবে কষানো হয়ে গেলে আগে থেকে ধুয়ে রাখা মাংসগুলো দিয়ে মসলার সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করে নিয়েছি।
ধাপ-৫
কিছুক্ষণ মাংস কষিয়ে নেওয়ার পর আগে থেকে কেটে ধুয়ে দিয়ে রাখা আলুগুলো দিয়ে আরও কিছুক্ষণ কষিয়ে রান্না করে নিয়েছি।
ধাপ-৬
এবার দুই কাপের মতো পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করে নিয়েছি ১৫ মিনিটের মতো।
ধাপ-৭
১৫ মিনিট রান্নার পর আবারো তিন কাপের মতো পানি দিয়ে ভালোভাবে রান্না করে নিয়েছি যতক্ষণ আমার সম্পূর্ণ হয়েছে ততক্ষণ। এরপর তরকারির ঝোল যখন গায়ে মাখা হয়েছে কিছুটা তখন আমি নামিয়ে দিয়েছি।
❤️পরিবেশন❤️
রান্নাটা সম্পূর্ণ হয়ে গেলে একেবারে বাড়িতে তুলে আমি গরম গরম পরিবেশন করেছি।।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের রেসিপি। আশা করছি রেসিপিটা আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর রেসিপির কালার দেখে একটু ঝাল বেশি মনে হচ্ছে তাইনা।হ্যাঁ বন্ধুরা, আমি আজকে হাঁসের মাংস রেসিপিতে একটু ঝাল বেশি ব্যবহার করেছি করেছি খেতে একটু বেশি ভালো লাগে। তো বন্ধুরা আজ এখানে শেষ করছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন রেসিপি নিয়ে বা অন্য কোন বিষয় নিয়ে।
হাঁসের মাংসের খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। আপনার এই রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়াটি এবং বর্ণনাগুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। রান্না করা হাঁসের মাংসের কালারটা খুবই আকর্ষণীয় লাগছে। খুবই সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার সুন্দর একটি মন্তব্য পেয়ে আমারও অনেক ভালো লাগছে ভাইয়া। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমি বরাবরের হাঁসের মাংস খেতে খুব পছন্দ করি। চালের রুটি দিয়ে হাঁসের মাংস সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে খেতে। আপনি আজকে খুবই চমৎকারভাবে হাঁসের মাংস রেসিপি তৈরি করেছেন। এই রেসিপি তৈরি প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
হাঁসের মাংস আমারও বেশ পছন্দের আর চালের রুটি দিয়ে খেতেও বেশ ভালোই লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনার মত কিন্তু আমারও হাঁসের মাংস অনেক বেশি পছন্দের। তবে আমার ফ্যামিলির সবাই কিন্তু হাঁসের মাংস খেতে খুব পছন্দ করে। আপনার ছোট খালামণি তো দেখছি একেবারে কেটে বেছে ধুয়ে পরিষ্কার করে হাসির মাংস পাঠিয়ে দিয়েছিল। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রান্না করেছিলেন এবং এটা অনেক বেশি মজাদার হয়েছিল যা দেখে বোঝা যাচ্ছে। আমার তো ইচ্ছে করছে খেয়ে নিতে, সত্যি অনেক বেশি লোভ লেগে গিয়েছে এটি দেখে।
আসলে আপু আমি হাঁসমুরগি পরিষ্কার করা এবং মাছ কাটতে পারিনা। এজন্য আমার খালামনি একবারে পরিষ্কার করে দিয়ে গেছেন হাঁস। আমি শুধু মজা করে রান্না করেছি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
হাঁসের মাংস আমারও খুব ফেভারিট একটু বড় বড় টুকরা ঝাল ঝাল করে ভাজি ভুনা করলে খেতে সব থেকে বেশি মজা হয়।
আপনি খুব মজাদার ভাবে রেসিপিটি প্রস্তুত করে উপস্থাপনা করেছেন ফটোগ্রাফি গুলা দেখেই লোভ হচ্ছে খুব ইচ্ছে করতে তুলে খেতে শুরু করি।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনার রেসিপিটি দেখে লোভ লেগে গেল এত সুন্দর ভাবে রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করলেন লোভ না লেগে উপায় নেই।
রেসিপির কালার অসাধারণ আসছে আর হাঁসের মাংস আমার অনেক পছন্দের।রেসিপির পুরো পদ্ধতি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
হাঁসের মাংসের প্রতি আলাদা একটা ভালো লাগা কাজ করে এবং হাঁসের মাংস খেতে আমিও খুব পছন্দ করি এবং এটা প্রতিটা মানুষ পছন্দ করে। অন্যান্য মাংসের চেয়ে এর একটু স্বাদ মেলা। আপনি প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। সব থেকে ভালো লাগলো ছবিগুলি এত স্পষ্ট করে তুলেছেন। কালার কম্বিনেশন টি অনেক ভালো লেগেছে। এবং প্রতিটি ধাপ খুব দক্ষতার সহিত আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে।আমারও দেখে মনে হচ্ছে অনেকে ঝাল হয়েছে। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল। আমার কাছে তো ভীষণ ভালো লাগতেছে
আমার বাসার সবাই খুব একটা পছন্দ না করলেও আমার খুবই পছন্দের হাঁসের মাংস। জ্বি ভাইয়া একটু ঝাল বেশি ব্যবহার করেছি রান্নায় আর খেতে খুবই মজার ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
হাঁসের মাংসের রেসিপি দেখিয়ে এই সকালবেলায় অনেক বেশি লোভ লাগিয়ে দিলেন আপু। হাঁসের মাংস আমার এত বেশি ফেভারিট যা বলে বোঝানো যাবে না আপনাকে। আমার তো এখনি ইচ্ছে করছে আপনার বাসায় চলে যাই এবং আপনার হাতের রান্না করা হাঁসের মাংস গিয়ে খেয়ে আসি। নিশ্চয়ই এই খাবারটা অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। আর এটা দেখতেই অনেক লোভনীয় লাগছে।
আমারও হাঁসের মাংস খুব পছন্দের এবং এই রেসিপিটা খেতেও খুবই সুস্বাদু হয়েছিল ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য। যে কোন সময় চলে আসবেন হাঁসের মাংস রান্না করে খাওয়াবো।
হাঁসের মাংসটা বেশ দারুণ তৈরি করেছেন আপু। দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। ঝাল বেশি হলে হাঁসের মাংসটা বেশ সুস্বাদু লাগে। রেসিপি টা দারুণ তৈরি করেছেন আপু। এবং রেসিপি টা লোভনীয় লাগছে। পাশাপাশি অনেক সুন্দর উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
আমার কাছে যে কোন মাংসে ঝাল একটু বেশি হলে খেতে ভালো লাগে। তাই আমি এই হাঁসের মাংসের রেসিপিতে একটু ঝাল বেশি ব্যবহার করেছি। আর খেতে হবে সুস্বাদু ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
হাঁসের মাংস আমার অনেক প্রিয়।আপনার ঝাল ঝাল হাঁসের মাংসের রেসিপি দেখে তো লোভ লেগে গেলো।সত্যি অনেক সুস্বাদু হয়েছে রেসিপিটি বোঝাই যাচ্ছে। অসাধারণ পোস্ট করেছেন।
জ্বী আপু আমার রান্না করা এই হাঁসের মাংসের রেসিপিটা বেশ খেতে ভালো হয়েছিল।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।