প্রেসার কুকারে রান্না করা ঝটপট খিচুড়ির রেসিপি
"হ্যালো",
সবাইকে আবার নতুন একটি রেসিপি ব্লগে স্বাগতম। আশা করছি এই বর্ষাকালে বৃষ্টির দিনে সবাই একটু বেশি ভালো আছেন।তবে টিভিতে দেখলাম কিছু কিছু এলাকায় বন্যা হয়েছে।দেখে খুব খারাপ লাগলো বেশ ভালই বন্যা হচ্ছে। বন্যা কবলিত লোকজন এই বিপদ থেকে যেনো দ্রুত মুক্তি পায় এই কামনাই করছি।
আমার কাছে বৃষ্টির দিন মানে খিচুড়ি।খিচুড়ি আমার যেমন পছন্দের তেমনি আমার বাড়ির সবার খুবই পছন্দের। আমার শাশুড়ি মা তো একটু বৃষ্টি পড়লেই খিচুড়ি রান্না করতে বলেন। সত্যি কথা বলতে এ বৃষ্টির দিনগুলোতে প্রায় দু একদিন পরপরই খিচুড়ি খাওয়া হচ্ছে।তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে একটু শেয়ার করি। আমি সব সময় প্রেসার কুকারে রান্না করি এতে করে তাড়াতাড়ি রান্না হয়। আর আমার কাছে খেতেও খুব ভালো লাগে। তো আমি প্রেসার কুকারে কিভাবে খিচুড়ি রান্না করি সেই রেসিপিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। হয়তো খুব ভালোভাবে পরিবেশন করতে পারিনি। কারণ বাবুকে নিয়ে সবকিছু একাই সামলাতে হয় তাই চাইলেও কিছু করে উঠতে পারি না। এর জন্য দুঃখিত। 🙏
তো চলুন বেশি কথা না বাড়িয়ে রেসিপিতে চলে যায়।
উপকরণ |
---|
আতপ চাল |
মসুরের ডাল |
পেঁয়াজ কুচি |
কাঁচামরিচ ফালি |
আদা-রসুন বাটা |
গোটা গরম মসলা |
জিরা-ধনিয়ার গুঁড়া |
হলুদ গুঁড়া |
লবণ |
তেল |
ধাপ-১
প্রথমে আমি পরিমাণ মতো আতপ চাল নিয়েছি। এবার যে পরিমাণে আতপ চাল নিয়েছি তার অর্ধেক পরিমাণ মসুরের ডাল নিয়েছি।এরপর চাল এবং ডাল ভালোভাবে ধুয়ে নিয়েছি।
(আপনারা চাইলে ভাতের চালও নিতে পারবেন।তবে আমার বাসায় সব সময় আতপ চালের খিচুড়ি খেতে আমরা পছন্দ করি।)
ধাপ-২
এরপর ধুয়ে রাখা চাল এবং ডাল প্রেসার কুকারে দিয়ে দিয়েছি পেঁয়াজ কুচি এবং কাঁচামরিচ ফালি।
(আমি খিচুড়ি বেশিরভাগ সময় হাতে মাখিয়ে প্রেসার কুকারে রান্না করি এটা আমার কাছে খেতে ভালো লাগে।)
ধাপ-৩
এবার পরিমাণ মতো গুঁড়া মসলা, গরম মসলা এবং বাটা মসলা দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৪
এবার দিয়ে দিয়েছি পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল।
ধাপ-৫
এরপর হাত দিয়ে সব উপকরণ গুলো একসাথে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৬
এরপর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে প্রেসার করে ঢাকনা বন্ধ করে দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিয়ে তিনটা শিষ দিয়ে নিতে হবে।
ধাপ-৭
তিনটা শিষ দেওয়ার পর কিছুক্ষণ দমে রাখলেই তৈরি হয়ে যাবে পারফেক্ট ঝরঝরে খিচুড়ি।
তো এই ছিল আমার ঝটপট খিচুড়ির রেসিপি। বৃষ্টির দিনে এই ডাল খিচুড়িটা খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। আমরা সবাই খুব মজা করে খেয়েছি।অনেকে আছেন যারা প্রেশার কুকারে ভাত বা খিচুড়ি রান্না করতে পারেন না। তাদের জন্য ছোট্ট একটা টিপস। সেটা হচ্ছে প্রেসার কুকারে ভাত এবং খিচুড়ি রান্না করার সময় হাতের আঙ্গুলের তিন দাগ পর্যন্ত পানি দিয়ে তিনটা শিষ দিয়ে নিবেন। তিনটার বেশি দিতে যাবেন না তাহলে খিচুড়ি বা ভাত পুড়ে যাবে। তো বন্ধুরা আজকে এই। পর্যন্তই দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।
খিচুড়ি আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। তাছাড়া বৃষ্টি হলে তো খেতে আরো বেশি ভালো লাগে প্রেসার কুকারে এরকম ঝটপট খিচুড়ি রান্না করলে খেতে ভালোই লাগে। প্রেশারকুকারের খিচুড়িতে অন্যরকম একটা আঠালো ভাব হয়। যার কারণে খেতে খুব ভালো লাগে। আপনার খিচুড়ি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। বেশ লোভনীয় লাগছে দেখতে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু গঠনমূলক একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। হ্যাঁ আপু প্রেসার কুকারের খিচুড়ি একটু আঠানো হয় যার কারণে খেতে ভালো লাগে।
বৃষ্টির সময় গরম গরম খিচুড়ি খাওয়ার মজাটাই একেবারে আলাদা। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে আর ঘরে যদি এরকম গরম খিচুড়ি খাওয়া হয় তখন তো খুবই ভালো লাগবে। আপনি প্রেসার কুকারে খিচুড়ি রান্না করেছেন ঝটপট ভাবে। আপনার খিচুড়ি রান্না করার পদ্ধতি এবং খিচুড়ি দেখে বোঝা যাচ্ছে এটি অনেক বেশি মজাদার হয়েছিল। এবং কি খুবই মজা করে খেয়েছিলেন। আমার তো ইচ্ছে করছে নিয়ে খেয়ে ফেলতে।
জ্বি আপু প্রেসার কুকারে রান্না করা এই খিচুড়ি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল এবং আমরা সবাই খুব মজা করে খেয়েছি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
খিচুড়ি আমারও খুবই পছন্দের। আর বৃষ্টির দিনে হলে তো কথাই নেই। আজকেও খিচুড়ি খাওয়া হয়েছে। তবে প্রেসার কুকারে কখনো খিচুড়ি তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আপনার খিচুড়ি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব মজা হয়েছে। আসলে সময় কম থাকলে এবং তাড়াতাড়ি রান্না করার জন্য প্রেসার কুকারে রান্না করলে ভালই হয়। এভাবে আমিও একদিন ট্রাই করে দেখব। ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রেসার কুকারে খিচুড়ি রান্না করে খেয়ে দেখবেন এটা খুব দ্রুত হয় এবং সময় কম লাগে আর খেতেও বেশ সুস্বাদু হয়। সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন প্রেসার কুকারে রান্না করা ঝটপট খিচুড়ির রেসিপি। আসলে আপু এই খিচুড়ি আমরা প্রায় প্রত্যেকদিন খেয়ে থাকি যেহেতু মেসে থাকা হয়। প্রত্যেকদিন খাওয়ার সুবাদে এখন আমার প্রিয় খাবার হিসেবে খিচুড়ি অনেক পরিচিত। আসলে প্রেসার কুকারে যদি খিচুড়ি রান্না করা যায় তাহলে চালগুলো অনেক ভালোভাবে সিদ্ধ হয় খেতেও বেশ মজা লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
খিচুড়ির আমার খুব প্রিয়। খুব চমৎকার খিচুড়ি রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আসলে গরম গরম খিচুড়ি খাওয়ার অনুভূতি সত্যি খুব অন্যরকম হয়ে থাকে। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই মজাদার ও সুস্বাদু হয়েছে। এত চমৎকার রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
হ্যাঁ ভাইয়া এই খিচুড়ি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
বৃষ্টি হলেই খিচুড়ি খেতে আমার ও ভীষণ ইচ্ছে করে।আপনার মতো আমিও আপু প্রেশার কুকারে খিচুড়ি করি।আর খেতে খুব মজারই হয়।তবে আমি কখনও আতপ চাল দিয়ে খিচুড়ি করিনি।দেখতে বেশ সুন্দর হয়েছে। খেতেও ভীষণ মজার হয়েছে আশাকরি।ধন্যবাদ আপু মজার খিচুড়ি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমার বাসার সবাই আতপ চালের খিচুড়ি খেতে বেশি পছন্দ করে। এর জন্য আতপ চালের খিচুড়ি বেশিরভাগ সময় রান্না করা হয়। একবার রান্না করে খেয়ে দেখবেন আপু অনেক মজার হয়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আপু কিছু বলার নেই,প্রেসার কুকারে রান্না করা ঝটপট খিচুড়ির রেসিপি। খেতে যে কত মজাদার হয়ে থাকে না খেলে বের হবে না। কিন্তু আপনার রেসিপি দেখে অনুমান করা যাচ্ছে কতটা সুস্বাদু ছিল। শুভকামনা রইল এত সুন্দর একটি রেসিপি উপহার স্বরূপ দেওয়ার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
খিচুড়ি আমার অনেক ভালো লাগে। আপনার প্রেসার কুকারের ঝটপট খিচুড়ি রেসিপিটি দেখে
মনে হচ্ছে অনেক মজা হয়েছিল । আর বৃষ্টির দিন খিচুড়ি অসম্ভব পরিমাণ খেতে ভালো লাগে। আমিও মাঝেমধ্যে প্রেশার কুকারে এভাবে রান্না করে থাকি প্রেসার কুকারে রান্না করলে খিচুড়ি ঝরঝরে হয় না একটি আঠালো ভাব থাকে এবং অনেক মজা হয়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
জ্বি আপু বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে অনেক ভালো লাগে। আর আমার কাছে প্রেসার কুকারে রান্না খিচুড়ি খেতে বেশি মজা লাগে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।