"স্বপ্ন" এখন হাতের নাগালে
"হ্যালো",
সবাইকে ঈদ মোবারক। ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা সবার ঈদ ভালো কাটুক এই কামনা করছি। আজকে আমি শেয়ার করব স্বপ্ন সুপার শপের কেনাকাটার কিছু মুহূর্ত।আমাদের শহরে একটা বড় সুপার শপ হয়েছে যেটার বিজ্ঞাপন কিছুদিন ধরে দেখছিলাম এবং গতকাল বাবু এবং বাবুর বাবাও গিয়েছিল। আমি কিছু লিস্ট ধরিয়ে দিয়েছিলাম হাতে কিন্তু লিস্টের অনেকগুলো জিনিসই সে ভুলে গিয়েছিল আনতে। তো সে আমাকে কথা দিয়েছিলো আজকে আমাকে সেখানে নিয়ে যাবে।
আসলে ছেলেমানুষ এরকমই হয় যে কোন কিছু কিনতে আনলে তারা অর্ধেক জিনিস রেখে চলে আসবে যা পরবর্তীতে আমাকে আবারও নিতে যেতে হয়। আজকে বিকেলের আবহাওয়াটাও বেশ ভালো লাগছিল আকাশটা বেশ মেঘলা মেঘলা ছিল। তো বাবুর বাবাকে বিকেল বেলা বললাম যে আমরা একটু ঘুরে আসি ভেবেছিলাম রাস্তায় অনেক জ্যাম হবে তাই একটু তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু রাস্তায় বের হয়ে তার উল্টোটা দেখলাম রাস্তায় লোকজন খুবই কম দেখলাম। অন্যান্য বারের ঈদের থেকে এবারে ঈদে রাস্তায় খুবই জ্যাম কম এবং লোকজন খুবই কম।ফাঁকা রাস্তায় রিকশা নিয়ে ঘুরতে বেশ ভালো লাগছিল।
প্রথমেই আমি একটু মার্কেটে ঢুকি আমার একটা হিজাব কেনার ছিল। ওখানে গিয়ে আমি হিজাবটা পাইনি। দোকানদার ভাই আমার পরিচিত ছিলেন। আমি দোকানদার ভাইটাকে জিজ্ঞেস করলাম আপনাদের বেচাকেনা কেমন হচ্ছে কিন্তু ভাই খুবই হতাশ হয়ে বলল যে একদমই বেচাকেনা হচ্ছে না লোকজনই নেই বাজারে। খুব খারাপ লাগলো ওনার কথা শুনে কারণ উনি দোকান ভর্তি মাল তুলেছেন যেমন মাল তুলেছেন ওরকমই আছে। যাই হোক ওখান থেকে আমি একটা রেডিমেড পায়জামা কিনে চলে আসি স্বপ্ন সুপার শপে।
এটা নিয়ে তৃতীয় বার আমি কোন সুপারশপে ঢুকলাম। আমি বগুড়াতে গিয়ে সেন্সবেড়িতে ঢুকেছিলাম এবং রানার প্লাজাতে বাজার করেছিলাম। এবার তৃতীয়বারের মতো স্বপ্ন-সুপার মার্কেটে ঢুকলাম। ঢুকে আমার মাথা একদম ঘুরে যাওয়ার মত হয়েছিল কারণ ছোট শহরে এত সুন্দর একটা ব্যবস্থা ভাবাই যায় না। হাতে একটা ঝুড়ি নিলাম এবং প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো আমি কিনেছিলাম। এবং তার মধ্যে বেশিরভাগই কিনেছিলাম মসলা। কারণ এই মসলাগুলো বাহিরে আমি কখনো খুঁজে পাইনি। অনেক সময় রেসিপি করতে গেলে বিভিন্ন জিনিসের প্রয়োজন হয় যা আমাদের আশেপাশের দোকানগুলোতে ছিল না। এদিক থেকে আমার বেশি ভালো লাগছিল যে প্রয়োজনীয় মসলাগুলো এখান থেকে কিনতে পারবো।
বাবু তো চকলেট দেখে কিছুতেই ওখান থেকে যাবে না। তো বাধ্য হয়ে ওকে আমি কিছু চকলেট কিনে দিয়েছিলাম এবং আমরা কিছু আইসক্রিম নিয়েছিলাম। এখানে চাল ডাল থেকে শুরু করে কসমেটিক্স কুকারিজ এবং কোক থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের আইটেম আছে। আমার মনে হয় এ দোকান ও দোকান গরমের মধ্যে ঘোরাঘুরি না করে একটা ছাদের নিচে যদি সবকিছু প্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়া যায় তাহলে মন্দ হয় না। প্রথমে আমি ভেবেছিলাম হয়তো এখানে অনেক দাম বেশি নেবে কিন্তু আসলে তা না যেটার মূল্য যা সেভাবেই নিচ্ছিল। এটা আমার বেশি ভালো লেগেছিল।
অনেকগুলো কেনাকাটার পর চলে আসার সময় ওনারা আমাদেরকে ওখানকার মেম্বারশিপের একটা কার্ড দিয়ে দিয়েছিলেন। যাতে আমরা অনেকটা ডিসকাউন্ট পাব। আমি তো বাবুর বাবার কাছে আবদার করে বসলাম যে এখন থেকে কেনাকাটা আমি এখানেই করব। দোকান ঘুরে ঘুরে কেনার থেকে এক জায়গায় এসে সবকিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়াই ভালো।
তো এই ছিল আমার স্বপ্ন সুপার শপ এ কেনাকাটার অভিজ্ঞতা এবং মুহুর্ত। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আমিও খুব ইনজয় করেছি যা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আমি আরো কিছু ফটোগ্রাফি করেছি যেগুলো পরবর্তীতে শেয়ার করার চেষ্টা করব। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।









ঈদ মোবারক স্বপ্ন সুপার শপ এ কেনাকাটার মূহুর্ত টা তো দারুন ছিল ৷ অনেক কিছু কিনেছেন ৷ তবে এটা ঠিক বলেছেন আপু যে ছেলে মানুষের একটু খেয়াল কম থাকে ৷যেটা আমিই বলি কারন আমি অনেকবার বাজার করতে ভুল করি ৷ যা হোক ঈদ উদযাপন করুন খুব ভালো সময় কাটান এমনটাই প্রতার্শা ৷
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।