বড় ভাবির বাবার বাড়িতে কাটানো মূহুর্ত ❤️
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আমার বিয়ের পাঁচ বছর পর এই প্রথমবার বড় জা এর বাবার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম এবং সেখানকার কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করব। ভাবি অনেকবার তাদের বাসায় আমাকে নিয়ে যেতে চাইছিল কিন্তু কখনো সময় হয়ে ওঠেনি।ভাইয়া চাকরির সূত্রে ঢাকায় থাকেন ভাবি এবং তাদের একমাএ মেয়েকে নিয়ে। পূজার বন্ধ দিয়েছে তাই মেয়েকে নিয়ে তারা ঢাকা থেকে চলে এসেছে। ভাবলাম এবার বেশ কিছু আত্মীয়র বাসায় ঘুরবো।
ভাবি বললেন প্রথমেই তার বাবার বাড়িতে যাবে।আমরাও সবাই এক কথায় রাজি হয়ে গেলাম। সকাল সকাল সবাই রেডি হয়ে ভাবির বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সেখানে পৌঁছাতে আমাদের প্রায় বারোটা বেজে গিয়েছিল। যাওয়ার সাথে আন্টি আমাদের অনেক প্রকার নাস্তা খেতে দিয়েছিলেন। নাস্তা করার পর দুপুরের খাবার আমাদেরকে খেতে বলেছিলেন কিন্তু আমরা বললাম যে একটু ঘুরে ফিরে এসে খাওয়া দাওয়া করে বাসায় চলে যাব।
তো সবাই মিলে বেরিয়ে পড়লাম আশেপাশে ঘোরাঘুরি করতে। গ্রামের পরিবেশ আমার কাছে এমনিতেই ভালো লাগে। আমরা যেখানে গিয়ে বসে গল্প করছিলাম সেখানকার পরিবেশটা আমার কাছে আরো বেশি ভালো লেগেছিল। আমরা যেখানে বসেছিলাম সেখানে আমাদের মাথার ওপরে বড় একটা বকুল গাছ ছিল। সেখান থেকে অনবরত ফুলগুলো ঝরে পড়ছিল আমাদের গায়ে, মাটিতে। আমার যে কি ভালো লাগছিল বলে বোঝাতে পারবো না। আমি তো ফুল কুড়াতে শুরু করে দিয়েছিলাম।
সেখানে বাঁশের তৈরি একটি টঙ পাতা ছিল। সেখানেও আমরা অনেকক্ষণ বসে সবাই মিলে আড্ডা দিয়েছিলাম। আর আমার ছেলে অনেকদিন পর গ্রামে এসে খোলা পরিবেশ পেয়েছে কি খুশি সেটা আপনারা ছবি দেখলে বুঝতে পারবেন। ও এদিক ওদিক বেশ দৌড়াদৌড়ি করছিল। যাই হোক সেখানে আমরা প্রায় ঘন্টা দেড়েক ধরে একসাথে আড্ডা দিয়েছিলাম। এরপর বাসায় গিয়ে খাওয়া দাওয়া করে বাসায় চলে এসেছিলাম।উনি আমাদের জন্য অনেক রান্না বান্না করেছিলেন যেগুলো আমি বলে শেষ করতে পারবো না প্রায় ১০ থেকে ১৫ রকমের আইটেম ছিল।
যাইহোক সবাই মিলে ঘুরতে গিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম এবং অনেক আড্ডা দিয়েছিলাম। মাঝেমধ্যে এমন সময় কাটাতে বেশ ভালই লাগে। তো বন্ধুরা আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে পরবর্তীতে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
জি আপু গ্রামের পরিবেশ এমনিতেই ভালো লাগে আর পাঁচ বছর পর বড় জা এর বাড়িতে আপনারা বেড়াতে এসেছেন জেনে খুশি হলাম।শায়ন বাবাকে তো অনেক সুন্দর লাগছে। আস্তে আস্তে সে কত বড় হয়ে গিয়েছে। গ্রামের খোলা পরিবেশে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। সবার সাথে একসাথে বসে আড্ডা দেওয়া যায় । আপনাদের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল
আমার ছেলে খোলা জায়গা পেলে খুবই সুন্দরভাবে খেলে এবং ও খুব খুশি হয় বাহিরে গেলে। অনেকদিন পর সবাই একসঙ্গে আড্ডা দিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনি তো দেখছি আপনার বড় ভাবির বাবার বাড়িতে গিয়ে বেশ ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন। আসলে এরকম ভাবে ঘুরাঘুরি করতে ভালো লাগে, তবে ব্যস্ততার কারণে যাওয়া হয় না বুঝতে পারছি। আর ছোট বাচ্চারা খেলাধুলা করতে পছন্দ করে, তাই তো শায়ান বাবু এদিক সেদিক দৌড়াদৌড়ি করছিল। ভালো লাগলো আপনার আজকের এই সম্পূর্ণ পোস্ট পড়তে।
হ্যাঁ আপু বড় ভাবির বাবার বাড়িতে গিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি এবং সবাই মিলে ঘোরাঘুরি আড্ডা দিতে বেশ ভালো লেগেছিল। আর বাচ্চাদের কথা কি বলব তারা খোলা জায়গায় পেলে তো খেলাধুলা শুরু করে দেয়। সব মিলিয়ে খুব ভালো ছিল দিনটি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনি বড় ভাবির বাবার বাসায় গিয়ে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন গ্রামীণ পরিবেশে ঘুরাঘুরি করলে ভীষণ ভালো লাগে। সায়ান এমন খোলা পরিবেশ পেয়ে খুব ইনজয় করেছে।ফটোগ্রাফি দেখে বেশ বুঝতে পেরেছি।অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
গ্রামে গেলে আলাদা একটা শান্তি অনুভব করি। দীর্ঘদিন পর বড় ভাবির বাবার বাসায় গিয়ে খুব ভালো সময় কাটিয়েছিলাম এবং খোলামেলা পরিবেশে প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিচ্ছিলাম। আর আমার বাবু তো খুবই খুশি হয়েছিল এমন খোলা পরিবেশ পেয়ে। সব মিলিয়ে খুবই ভালো কাটিয়েছি দিনটি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।