"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা-৪৯ || খেজুর গুড়ের স্বাদে দুধে ভেজানো পিঠার রেসিপি 🍽️
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি ব্লগে স্বাগতম। আপনারা হয়তো অনেকেই ইতিমধ্যে বুঝে গিয়েছেন আজকে আমি কিসের রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি।হ্যাঁ বন্ধুরা ঠিক ধরেছেন আজকে আমি শেয়ার করব প্রতিযোগিতার জন্য শীতকালীন পিঠার রেসিপি। "আমার বাংলা ব্লগ" এ প্রতিনিয়ত অনেক সুন্দর সুন্দর প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকেন আমাদের বড় দাদা,ছোট দাদা, এডমিন এবং মডারেটর ভাইয়া এবং আপুরা।এর জন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। অন্যান্য প্রতিযোগিতা গুলোতে অংশগ্রহণ করতে না পারলেও রেসিপি প্রতিযোগিতা গুলোতে অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করি। তাই যখন দেখলাম প্রতিযোগিতায় পিঠার রেসিপি তখন দেরি না করে ঝটপট বানিয়ে ফেললাম আমার পছন্দের পিঠার রেসিপি।
দেখতে দেখতে শীতকাল চলেই আসছে। শহরে তেমন শীত পড়েনি তবে গ্রামে পুরোপুরি শীত পড়ে গেছে। শীতের শুরু থেকে পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। তবে আমার কাছে শীতের পিঠা মানেই খেজুরের গুড় দিয়ে দুধে ভেজানো বিভিন্ন ধরনের পিঠা। তাই আমিও আমার পছন্দ মতো খেজুরের গুড় দিয়ে দুধে ভেজানো পিঠার রেসিপি আজকে শেয়ার করব। আশা রেসিপিটা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
তো চলুন বন্ধুরা কথা না বাড়িয়ে মূল রেসিপিতে চলে যাই।
উপকরণ |
---|
ময়দা |
দুধ |
খেজুরের গুড় |
সাদা এলাচ |
ঘি |
তেল |
ধাপ-১
প্রথমে আমি একটি বড় কড়াইয়ে দেড় কেজি পরিমাণে দুধ নিয়েছি।তারপর কয়েকটি সাদা এলাচ দিয়ে চুলায় মিডিয়াম লো আঁচে বসিয়ে দিয়েছি। দুধ গরম করা হয়ে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা করার জন্য রেখে দিয়েছি।
ধাপ-২
আমি অন্য একটি চুলায় একটি পাতিল বসিয়ে দেড় কাপ পরিমাণে পানি দিয়ে পানি ফুটিয়ে নিয়ে পরিমাণ মতো ময়দা দিয়ে ডো বানিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৩
ময়দার ডো একটু ঠান্ডা হয়ে গেলে আমি হাত দিয়ে ভালোভাবে মোথে নিয়েছি।এরপর আগে থেকে গরম করে রাখা সামান্য একটু দুধ দিয়ে আবার ডো ভালোভাবে মোথে নিয়েছি।
ধাপ-৪
এরপর ময়দার ডো দিয়ে ছোট ছোট বল করে নিয়েছি এবং হাতে সামান্য ঘি মাখিয়ে ময়দার বলগুলো ভালোভাবে গোল গোল করে নিয়েছি।
ধাপ-৫
এবার পছন্দ মতো আমি একটি চামচের সাহায্যে ডিজাইন করে নিয়েছি। আপনারা আপনার পছন্দ মতো ডিজাইন করে নিতে পারেন।
ধাপ-৬
এবার পিঠাগুলো তেলে ভাজার পালা।তাই আমি চুলাই একটি কড়াই বসিয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে পিঠাগুলো লাল লাল করে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৭
এ পর্যায়ে একটি খেজুরের গুড় নিয়েছি এবং এবং সেটি ছুরির সাহায্যে ঝুরি করে কেটে নিয়েছি। তারপর চুলায় একটি সস্ প্যান বসিয়ে সামান্য পানির মধ্যে গুড় দিয়ে গুড়ের সিরা তৈরি করে নিয়েছি।
ধাপ-৮
এবার গরম করা দুধ যে ঠান্ডা করার জন্য রেখে দিয়েছিলাম সেই দুধের মধ্যে গুড়ের সিরা দিয়ে নেড়েচেড়ে ভেজে রাখা পিঠাগুলো দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে সারারাতের জন্য রেখে দিয়েছি।
❤️পরিবেশন❤️
পরদিন সকালবেলা ঠান্ডা ঠান্ডা পিঠাগুলো পরিবেশন করেছি।
দুধে ভেজানো পিঠাগুলো আগের দিন রান্না করে পরদিন খেতে খুবই ভালো লাগে। পিঠা গুলো খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল এবং আমার বাসার সবাই খুবই মজা করে খেয়েছে। তো এই ছিল আমার প্রতিযোগিতার জন্য তৈরি করা খেজুরের গুড়ের স্বাদে দুধে ভেজানো পিঠার রেসিপি। আশা করছি রেসিপিটা আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।ভালো লাগলে অবশ্যই আপনাদের সুন্দর মতামতের মাধ্যমে আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোনো বিষয় নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে আপনি অন্যান্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে না পারলেও রেসিপি পোস্ট প্রতিযোগিতায় আপনি অংশগ্রহণ করেন। প্রথমেই আপনাকে সাধুবাদ জানাই চলমান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। খেজুরের গুড়ের স্বাদে দুধে ভেজানো পিঠার রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল যদিও এ ধরনের রেসিপি খাওয়া হয়নি কখনো। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া রেসিপি পোস্ট টি দেখে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
সবার পছন্দের একটি পিঠা তৈরি করেছে আপু। শীতকাল মানেই দুধে পিঠা খাওয়ার মজা। আসলে শীতে এখনো এই পিঠা খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল। ইস আপু আমাদের যদি একটু দাওয়াত করতেন হা হা হা। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
চলে আসেন আপু মজার এই দুধ পিঠা অবশ্যই বানিয়ে খাওয়াবো। আপনাকেও ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
প্রথমেই অভিনন্দন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। এই ধরনের রেসিপি গুলো খেতে ভীষণ ভালো লাগে। খেজুরের গুড় দিয়ে তো দারুন লাগে খেতে। আপনি অনেক সুন্দর নকশা আকৃতি তৈরি করেছেন পিঠার। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলি সঠিক মাত্রায় তুলে ধরেছেন।আপনার রেসিপি তৈরির মাধ্যম গুলি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। আমরা শিখতে পারলাম। ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আমার মনে হয় শীতের পিঠা মানেই পিঠায় খেজুরের গুড়ের স্বাদ।আমি সবসময় খেজুরের গুড় দিয়েই পিঠা বানিয়ে থাকি এবং আমার কাছে খুবই ভালো লাগে খেতে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপু এই প্রতিযোগিতায় আপনার অংশগ্রহণ টা দেখে আমার কাছে সত্যি খুব ভালো লেগেছে। খেজুর গুড়ের স্বাদে দুধে ভেজানো পিঠার রেসিপি তৈরি করেছেন, যা দেখেই অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছে মনে হচ্ছে। মজার মজার পিঠা দেখলে খুবই লোভ লেগে যায়। শীতের সময় পিঠা তৈরি করার ধুম পড়ে যায়। নিশ্চয়ই খুবই মজা করে খেয়েছিলেন মজাদার পিঠা। উপস্থাপনা সুন্দর করে তুলে ধরেছেন দেখে, যে কেউ চাইলে তৈরি করতে পারবে।
হ্যাঁ ভাইয়া এই দুধ পিঠা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল এবং খুবই মজা করে খেয়েছিলাম সবাই। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই পিঠাটা আমারও খুব পছন্দের। কিন্তু আমরা ময়দার সাথে চালের গুড়া এবং ডিম একসাথে দিয়ে খামির তৈরি করে থাকি। খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। আপনার তৈরি পিঠার রেসিপিটাও অনেক লোভনীয় লাগছে দেখতে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজা হয়েছে। চমৎকার এই পিঠার রেসিপি নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই আপু। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
পিঠার মধ্যে ডিমের গন্ধ কেন জানি আমার খুব একটা সহ্য হয় না আপু। এই জন্য আমি ডিম এ্যাড করিনি।তারপরও এই পিঠার রেসিপিটা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল আপু। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। গুড় দিয়ে দুধে ভেজানো পিঠাগুলো খেতে আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে। আপনার তৈরি করা পিঠাগুলো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। তৈরি করার ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন ।মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু গুড় দিয়ে দুধে ভেজানো পিঠাগুলো খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
প্রথমেই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি, এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। অনেক মজাদার পিঠার রেসিপি তৈরি করেছেন প্রতিযোগিতা উপলক্ষে, যেটা দেখেই খেয়ে নিতে ইচ্ছে করছে। আপনি দেখছি খেজুরের গুড়ের স্বাদে দুধে ভেজানো পিঠার রেসিপি তৈরি করেছেন। পিঠাটা কিন্তু অনেক বেশি সুস্বাদু বলে আমার মনে হচ্ছে। আসলে আমি কখনোই এই পিঠা খাইনি। যার কারণে এর টেস্ট কেমন এটা জানি না। তবে আপনার উপস্থাপনা দেখে শিখে নিলাম এই পিঠা তৈরি করার পদ্ধতি। কখনো তৈরি করে দেখব।
এই পিঠা খেতে দুধ চিতইয়ের মতো স্বাদ আপু।এভাবে বানিয়ে খেয়ে দেখবেন আপু ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
রেসিপিটি দেখেই আমার হুমড়ি খেয়ে পড়তে ইচ্ছে করছে। মনে হচ্ছে আসলেই খুবই টেস্টি এটি। মিষ্টি জাতীয় খাবার অতটা পছন্দ না হলেও কিছু কিছু পিঠা মিষ্টি ছাড়া খেতেও ভালো লাগেনা। আপনার মাধ্যমে নতুন একটি রেসিপি শিখলাম আপু।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
ঠিক বলেছেন আপু মিষ্টি জাতীয় খাবার আমিও খেতে খুব একটা পছন্দ করি না। তবে কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো পছন্দ করি তার মধ্যে এই দুধ পিঠা। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
শীতকালে পিঠা খেতে খুব মজাদার হয়ে থাকে,আর যদি হয় তা খেজুরের গুড়ে তাহলে তো আর কথাই থাকে না।আপনার দুধে ভেজানো খেজুর গুড়ের পিঠা গুলো খুব লোভনীয় হয়েছে। প্রতিযোগিতার জন্য শুভ কামনা রইলে আপনার জন্য। ধন্যবাদ লোভনীয় রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। ঠিক বলেছেন আপু শীতকালে দুধে ভেজানো পিঠা খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে।
আপু এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আপনি প্রতিযোগিতার জন্য খুবই মজাদার পিঠা রেসিপি তৈরি করেছেন। এই পিঠা কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। শীত এসেছে আর পিঠে পুলি হবে না তা তো হয় না। দারুন রেসিপি তৈরি করেছেন। ধন্যবাদ এমন মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ আপু শীত পড়লে পিঠা পুলি খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। আর শীতের পিঠা মানে দুধে ভেজানো বিভিন্ন ধরনের পিঠা। আমার রেসিপিটা খেতেও খুবই সুস্বাদু হয়েছিল।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।