"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা-৪৬ || হাতেমাখানো ছোট মাছের ঝাল চচ্চড়ি
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি ব্লগে স্বাগতম। "আমার বাংলা ব্লগ" এ নতুন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। সেটি হচ্ছে শেয়ার করো তোমার পছন্দের ছোট মাছের রেসিপি। প্রতিনিয়ত এত সুন্দর সুন্দর প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য বড় দাদা, ছোট দাদা সহ সকল এডমিন মডারেটর ভাইয়া এবং আপুদের অসংখ্য ধন্যবাদ। তাদের এই সুন্দর আয়োজনের মাধ্যমে আমার নতুন নতুন কিছু শিখতে পারি। সেটা হোক রেসিপি, ডাইপোস্ট কিংবা বা বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন প্রতিভা। অনেকদিন ধরেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেনি অসুস্থ থাকায় ।যেহেতু বাসায় সবার জন্য নতুন রেসিপি করা হয় মাঝেমধ্যেই তাই ভাবলাম এই রেসিপি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করি।
আজকে আমি প্রতিযোগিতার জন্য হাতেমাখা ছোট মাছের ঝাল চচ্চড়ি রান্না করেছি। এগুলো নদীর ছোট মাছ ছিল।আর নদীর মাছ খেতে বেশ সুস্বাদু হয়।আর সেই মজাদার রেসিপিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশা করছি রেসিপিটা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। তো চলুন বন্ধুরা রেসিপিটি শুরু করা যায়।
উপকরণ |
---|
ছোট মাছ |
পেঁয়াজ কুচি |
কাঁচামরিচ ফালি |
রসুনের কোয়া |
সরিষা বাটা |
আদা-রসুন বাটা |
জিরার গুঁড়া |
হলুদ গুঁড়া |
মরিচের গুঁড়া |
লবণ |
সরিষার তেল |
ধাপ-১
প্রথমে ছোট মাছগুলো ভালোভাবে কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এখানে পুঁটি মাছ সহ আরও দুইদিন প্রকার মাছ ছিল।
ধাপ-২
মাছ ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে প্রথমে দিয়েছি কাঁচামরিচ ফালি, পেঁয়াজকুচি এবং রসুনের কোয়া।
ধাপ-৩
তারপর দিয়েছি সরিষা বাটা এবং আদা রসুন বাটা।
ধাপ-৪
এবার একে একে হলুদ গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, জিরার গুঁড়া এবং পরিমাণ মতো লবণ দিয়েছি।
ধাপ-৫
আমি রান্নাটা সরিষার তেল দিয়ে করব। এই জন্য পরিমাণ মতো সরিষার তেল দিয়েছি।
ধাপ-৬
এবার ভালোভাবে হাত দিয়ে সব উপকরণ মেখে নিয়েছি।
ধাপ-৭
এবার চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে মেখে রাখা মাছ গুলো দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি রান্নার জন্য। আমি রান্নায় কোন পানি ব্যবহার করিনি।
ধাপ-৮
এপর্যায়ে দু একবার ঢাকনা তুলে নেড়ে দিয়েছি। রান্নায় কোন পানি ব্যবহার না করলেও অনেকটা পানি বের হয়ে গিয়েছিল। মিডিয়াম লো আঁচে আমার রান্নাটি হতে সময় লেগেছে প্রায় ৪০ মিনিট। এরপর রান্নাটা নামিয়ে নিয়েছি।
❤️পরিবেশন❤️
এরপর তরকারিটা একটু ঠান্ডা হয়ে গেলে আমি একটি হাফ প্লেটে তুলে নিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করেছি।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের প্রতিযোগিতার জন্য ছোট মাছের রেসিপি। আশা করছি রেসিপিটা আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর সত্যি কথা বলতে এই রেসিপিটা খেতেও বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। আর সরিষা বাটার আলাদা একটা স্বাদ পাওয়া যাচ্ছিল রেসিপিতে। রেসিপিটা ভালো লাগলে অবশ্যই আপনাদের সুন্দর মতামতের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।
আপু আপনি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন এবং খুবই দারুণ ভাবে রেসিপিটি তৈরি করেছেন। আপনার এই ছোট মাছ গুলো মনে হচ্ছে ছোট ছোট পুটি। এগুলো খেতে খুবই স্বাদ লাগে। দারুণ হয়েছে। আপু আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
পুঁটি মাছ ছিল তবে সাথে আরো ছোট ছোট কিছু মাছ ছিল যার নাম আমি জানিনা।এগুলো নদীর মাছ ছিল তাই রেসিপিটা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জানাই।আপনি প্রতিযোগিতার জন্য খুবই মজাদার ও ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি ছোট মাছের এমন মজাদার রেসিপি দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে।গরম ভাতের সাথে খেতে দারুণ হবে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য। হ্যাঁ আপু ছোট মাছের এই রেসিপিটা খেতে খুবই মজাদার ছিল।
হাতে মাখা ছোট মাছের ঝাল চচ্চড়ি রেসিপি টা অনেক সুস্বাদু হয়েছে বুঝতে পারছি দেখে। অনেক মজাদার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন আজকে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে ভালো লেগেছে আমার কাছে অনেক বেশি। ছোট মাছ ঝাল ঝাল ভাবে যেকোনো পদ্ধতিতে রান্না করলে অনেক সুস্বাদু হয়।
ছোট মাছ আমাদের সবারই খুব পছন্দের এজন্য ছোট মাছ যেভাবেই রান্না করা হোক না কেনো খেতে ভালো লাগে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে জানাই অনেক অনেক অভিনন্দন। আপনি খুব সুন্দর একটি ছোট মাছের রেসিপি শেয়ার করলেন। আসলে এ ধরনের ছোট মাছ হাতে মাখানো ঝাল ঝাল চচ্চড়ি খেতে ভীষণ ভালো হয়।আপনি চমৎকার ভাবে রেসিপিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আরে আরে এমন ঝাল চচ্চড়ি হলে তো খুব নিমিষেই দু তিন প্লেট খাবার অনায়াসে খাওয়া যায়।এমন সুন্দর একটি রেসিপি নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করায় আপনার প্রতি রইল অনেক অভিনন্দন। মনে হয় বেশ ঝাল ঝাল হয়েছিল রেসিপিটি তাই না?
ঠিক বলেছেন আপু এমন ঝাল ঝাল মজাদার রেসিপি থাকলে অনায়াসে দু তিন প্লেট ভাত খাওয়া যায়। আমরাও খুব মজা করে খেয়েছিলাম। জ্বি আপু একটু বেশি ঝাল ছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু এই প্রতিযোগিতায় আপনার অংশগ্রহণ দেখে অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে। অসুস্থ থাকার কারণে এই কয়েকদিন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে না পারলেও, এবারের প্রতিযোগিতায় অনেক মজাদার একটা রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন। হাতে মাখানো ছোট মাছের ঝাল চচ্চড়ি রেসিপি শেয়ার করেছেন যেটা দেখে লোভ লেগে গিয়েছে। এরকম মজাদার রেসিপিতে যদি সরিষা বাটা দেওয়া হয় তাহলে আরও বেশি ভালো লাগে এবং রেসিপিটার মধ্যে অন্যরকম স্বাদ পাওয়া যায়। রেসিপিটার কালার দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। খুব মজা করে সবাই একসাথে খেয়েছিলেন নিশ্চয়ই।
প্রচন্ড লেভেলের অসুস্থ ছিলাম তাই বেশ কিছু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারিনি। তবে এবার রেসিপি প্রতিযোগিতা দেখে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না। হ্যাঁ আপু হাতে মাখানো ছোট মাছের এই রেসিপি খুবই ভালো লাগে খেতে এবং সরিষা বাটা দেওয়াতে এটা আরো বেশি সুস্বাদু হয়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। ছোট মাছ আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এভাবে হাতের মাখানো ছোট মাছ রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে। আমাদের বাসায় মাঝেমধ্যে এবারে রান্না করা হয় খেতে বেশ ভালোই লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ছোট মাছটা আমরা সবসময় এভাবে হাতে মাখিয়ে রান্না করি। তাই আমি এভাবে রেসিপিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আমি মনে করে ছোট মাছের অন্যান্য রেসিপির থেকে এভাবে হাতে মাখিয়ে রান্না করলে খেতে বেশি সুস্বাদু হয়। যাই হোক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু এই ছোট মাছ গুলো এভাবে হাত দিয়ে মাখিয়ে রান্না করলে অনেক মজা লাগে। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আসলে এই রেসিপি মজার করে খাওয়ার রেসিপি। প্রতিটি ধাপ আপনি অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু ছোট মাছের এই রেসিপিটা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
প্রথমে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য। তবে আজকে আপনি খুব সুন্দর করে হাতে মাখা ছোট মাছের রেসিপি করেছেন। ছোট মাছ একটু ঝাল ঝাল করে চচ্চড়ি করলে খেতে এমনিতে অনেক ভালো লাগে। আর প্রতিযোগিতা আসলে দুই ধরনের লাভ হয়। ভালো পোস্ট করা যায় এবং খাওয়াগুলো খুব মজা করে খাওয়া যায়। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজাই হয়েছে। রেসিপিটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ঠিক বলেছেন আপু প্রতিযোগিতা আসলে অনেক লাভ হয়। আমরা সুন্দর সুন্দর রেসিপি পোস্ট করতে পারি আবার সবার কাছ থেকে সুন্দর সুন্দর রেসিপি গুলো জেনে নিতে পারি। সাথে নিজে যেটা রান্না করি সেটা তো মজা করে খাওয়ার আনন্দই অন্যরকম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।