কথা হজম না করে মাঝেমধ্যে কিছু কথার উওর দিতে হয়
"হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি নিজের কিছু ব্যক্তিগত মতামত আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আমি জানিনা আমার সাথে যেমনটা ঘটে আপনাদের সাথে এমনটাই হয় কিনা। ছোটবেলা থেকেই একক পরিবারে বড় হয়েছি। বাব মাকে কখনো প্রতিবেশীর সঙ্গে দুটো কটু কথা বলতে শুনিনি। ছোটবেলা থেকে সেভাবেই মানুষ হয়েছি। একেই বলে পারিবারিক শিক্ষা। কখনো কারো মুখের ওপর কথা কিংবা আঘাত দিয়ে কথা বলার চেষ্টা করিনি। এজন্য আজও আমার প্রতিবেশীরা আমাকে খুবই পছন্দ করেন। অনেকেই হয়তো মনে করবেন নিজের প্রশংসা নিজেই করছি।আসলে বিষয়টা তা না। এখন মনে হয় কিছু লোকের কথার উত্তর দেওয়া দরকার ছিল।তাহলে আজ তারা আমাকে পেয়ে বসতো না।
আপনি যত নরম হয়ে চলাফেরা করার চেষ্টা করবেন মানুষ আপনাকে তত ব্যথা, আঘাত দেওয়ার চেষ্টা করবে। একটা সময় গিয়ে আমার মনে হলো সেই ছোটবেলা থেকে কেন চুপ করে ছিলাম। কিছু মানুষের প্রশ্নের উত্তর কিংবা কটু কথার উত্তর দেওয়া দরকার ছিল। তাহলে আজ তারা আমাকে নিয়ে কথা বলার সাহস পেত না। যাইহোক বেশ কিছুদিন থেকেই আমার আড়ালে আমারই কিছু আত্মীয়-স্বজন সেটা বাবার বাড়ি কিংবা শ্বশুরবাড়ি দুই পক্ষেরই নানান কথা বলে। মাঝেমধ্যে সবকিছু কানে নেই। আবার কখনো এক কানে শুনে অন্য কান দিয়ে বের করি ব্যাপারটা এমন হয়ে দাঁড়ায়।
একদিন আমি আপনাদের ভাইয়ার সঙ্গে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করলাম। সে আমাকে মুখের ওপর বলে দিল। যেটা তোমার কাছে খারাপ লাগবে অবশ্যই তুমি সেই কথার উত্তর দিয়ে আসবে। তখন আমি অনেক ভেবে দেখলাম সত্যি তো কেন আমি তাদের কথা সহ্য করি আমি তো কোন অন্যায় করি না। সেই তখন থেকেই টুকটাক মানুষের কথার জবাব দিতাম। তখন থেকে আমি খারাপ মেয়ে এবং খারাপ বৌমা হয়ে গেলাম। আমার তাতে কোন যায় আসে না। লোকে আমাকে খারাপ ভাবতেই পারে।আমি নিজে কতটুকু ভালো সেটা আমি শুধু জানি। অন্যের ভালো-মন্দ বলায় আমার কি যায় আসে।
যাইহোক অনেক ব্যক্তিগত কথায় থাকে যেগুলো শেয়ার করতে ইচ্ছে করলেও শেয়ার করতে পারিনা বা শেয়ার করা যায় না। শুধু একটা কথাই বলবো মুখ বুঝে সবকিছু সহ্য করবেন না। যতটুকু পারবেন উত্তর দেবেন দেখবেন পরবর্তীতে বাজে লোক গুলো কিছু বলার সাহস পাবে না। তাতে যদি আপনি আমি খারাপ হয় তাহলে তাই। তো যাই হোক বন্ধুরা অনেক কথাই বললাম। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে।
সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
আসলে আপু অন্যায় করা আর অন্যায় সহ্য করা দুজনেই সমান অপরাধী। আপনার লেখা গুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি বলতে সব কথা সব সময় মেনে নেওয়া উচিত নয়। মাঝে মাঝে কিছু কথার উত্তর দিতে হয়। আর উত্তর দিতে গিয়ে যদি খারাপ হয় তাহলে কিছু করার নেই। ধন্যবাদ আপু সুন্দর লিখেছেন।
এখন এটা আমারও মনে হয় আপু যদি যোগ্য জবাব দেওয়ার পর আমি খারাপ হই তাহলে আমি খারাপ। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপু মানুষ হচ্ছে শক্তের ভক্ত নরমের যম। আপনি যতই নরম হবেন মানুষের কাছে সবকিছু সহ্য করে নিবেন মুখ বুজে ততই মানুষ আপনাকে নেচে ফেলানোর চেষ্টা করবে ক্ষতি করার চেষ্টা করবে। আর যদি আপনি শুরু থেকেই প্রতিবাদ করেন মুখের উপর জবাব দিয়ে দেন তাহলে এই প্রভাবটি আপনার উপর নাও আসতে পারে। ভাইয়া ঠিকই বলেছে যেটা অনুচিত সহ্য হবে না সেটার উত্তর দেওয়াটাই ঠিক। আসলেই আমাদের সকলের উচিত সবকিছু জেনে বুঝে মুখ বুজে সহ্য করে নেওয়া উচিত নয়। কিছু কিছু কথা উত্তর দিতে শিখতে হবে।
গুছিয়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে ভদ্রতার খাতিরে চুপ থাকলে দূর্বলতা ভাবে।সেজন্য অন্যয়ের প্রতিবাদ করা সত্যি ভীষণ দরকারী। তাতে কে খারাপ মেয়ে,খারাপ বৌ মা ভাবলো তাতে যায় আসবে না।ঠিক বলেছেন মন চাইলেও ব্যাক্তিগত অনেক কথা আছে যা শেয়ার করা যায় না।ধন্যবাদ পোস্ট টি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন আপু অনেকেই দুর্বলতা কে কাজে লাগিয়ে সব সময় কথা শোনাতে থাকে। আর আমাদের উচিত সে কথাগুলোর যোগ্য জবাব দেওয়া। আপনার সুন্দর মন্তব্যটি অনেক ভালো লাগলো।
অনেক সুন্দর একটা বিষয় আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। আমি কিন্তু মাঝে মাঝে হজম করি আর পরবর্তীতে হুগলিয়ে দিয়ে থাকি। কারণ সব সময় তো বেশি কথা শোনা যায় না। কারণ যত শুনবেন তত মানুষের সুযোগ নিবে। সমাজের মেয়ে মানুষ সহজ সরল নরম সবাই তাকে পাগল বোকা বলদ রূপে ধারণা করে, আর যে যত কঠিন শক্ত তাকে বেয়াদব হারামজাদা এসব গুলা বলে। তবে সব কিছুর মাঝে নিজেকে ব্যালেন্স করে চলতে হবে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া মানুষকে কথা বলার সুযোগ দিলে তারা তত সুযোগ বুঝে কথা শোনাই। তাইতো মুখ বুঝে সহ্য করার দিন শেষ। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আপনার এই কথাটা আমার অনেক ভালো লেগেছে যে মানুষ যত নরম হয় অন্যান্য মানুষ এর জন্য তাকে আরও বেশি কষ্ট দেয় । আসলে মানুষের মুখের উপরে কথা বলাটা যদিও ঠিক না তবে মাঝেমধ্যে অনেক সময় আমাদের সেলফ রেসপেক্ট এর জন্য কিছু করা উচিত, যাইহোক আপনার পোস্টটা একটু সাংসারিক হলেও শুনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে
মানুষের মুখের উপর কথা বলাটা ঠিক না এটা ভেবেই এতদিন চুপ করে ছিলাম ভাইয়া। তবে দেখলাম ফলাফল শূন্য। মুখ বুঝে কথা সহ্য করতে একদমই ভালো লাগে না। যাইহোক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
কথায় আছে মানুষ হচ্ছে শক্তের ভক্ত নরমের জম। আপনি মানুষের সামনে যতই নরম হয়ে থাকবেন, ততই তারা কথা শোনানোর সুযোগ পাবে। ছোটবেলায় আমিও অনেকটা নরম স্বভাবের ছিলাম। কিন্তু পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখতে দেখতে, কখন যে পরিবর্তন হয়ে গিয়েছি,সেটা বুঝতে পারিনি। আমি উচিত কথা এখন কাউকেই ছাড়ি না। এজন্য অনেকে অনেক কিছু ভাবে। যাইহোক শুভ ভাই ঠিকই বলেছে,যে কথা আপনার কাছে খারাপ লাগবে, সেটার উত্তর অবশ্যই দিয়ে আসবেন। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ছোটবেলা কি ভাইয়া আমি তো এখনো বেশ নরম স্বভাবের। তবে কথা শুনতে শুনতে এবং আশেপাশের সবকিছু দেখে শুনে এখন বেশ পরিপক্ক হয়ে গেছি এবং কথার উত্তর দিতে শিখে গেছি। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপু, আত্মীয়-স্বজন কিংবা পাড়া-প্রতিবেশী সবাই
পেছনেই কথা বলে। এগুলো গায়ে না লাগানোই ভালো। তবে অতিরিক্ত করলে মুখের উপর উত্তর দিতেই হবে। সেটা না করলে তারা আবার পেয়ে বসবে। আর আপনি যত চুপ থাকবেন, তারা তত বেশি আপনার পেছনে কথা বলবে। তাই তাদের উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য হলেও মুখের উপর কথা বলা উচিত বলে আমি মনে করি।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া মাঝে মধ্যে তাদের উচিত শিক্ষা দেওয়া দরকার। তাহলে পরবর্তীতে কথা বলার সময় ভেবে দেখবে। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।