অবশেষে বাধ্য হয়ে বাবার বাড়িতে আসতেই হলো😒
"হ্যালো",
কদিন ধরে যে পরিমাণে অসুস্থ ভেবেছিলাম হয়তো আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু জটিলতা যেন বেড়েই চলছিল।সারারাত বাবুর কান্না এবং আমার অসুস্থতা পরদিন থেকে আবার বাবুর বাবা অসুস্থ আমি কাকে রেখে কাকে দেখব বা নিজেকে সামলাবো কিভাবে কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। আপনারা সবাই জানেন এর মধ্যে মা একদিন এসেছিলেন কিন্তু ওনার পক্ষেও বাড়িঘর রেখে সম্ভব নয় আমার কাছে এসে থাকার। তাই আজকে সবকিছু ফেলে মায়ের কাছে চলে আসতেই হলো।
মায়ের কাছে এসে অনেকটা হালকা লাগছে কারণ এখানে এসে বাবু দেখি বেশ অনেকটা সুস্থ বোধ করছে।একটু হলেও খাওয়া দাওয়া করছে। এতে আমার কষ্টটা একটু কম হচ্ছে। আসলে আমার এই কয়েকদিনে জ্বরে এত শরীর দুর্বল হয়েছে যে বাবুকে কোলে নিতে পারছি না।তবে বাবার বাড়িতে আসার পর ওকে কোলে নেওয়ার লোকের অভাব নেই।
এই কয়দিনে জ্বরে একদম খাওয়ার রুচি হারিয়ে গিয়েছে। কিন্তু মায়ের কাছে আসার পর রুচি যেন একটু একটু করে ফিরে পাচ্ছি। সকাল থেকে মা বিভিন্ন প্রকার খাবার আমাকে বানিয়ে দিচ্ছেন। আর সেগুলো আমি একটু একটু করে খাওয়ার চেষ্টা করছি।বিশেষ করে বিভিন্ন ভর্তার আইটেম গুলা। চেষ্টা করব একেবারে সুস্থ হয়ে তারপর বাসায় ফেরার।
অসুস্থ হলে সবার আগে মায়ের কথায় মাথায় আসে। সন্তান যত বড়ই হোক না কেন মায়ের কাছে সারা জীবন একই থাকে। সেটা নিজেই দেখছি। সত্যি কথা বলতে মায়ের কাছে আসার পর নিজেও যেন অনেকটা সুস্থতা বোধ করছি। আপনারা অনেকেই বিরক্ত হতে পারেন যে বেশ কয়েকদিন ধরে শুধুমাত্র অসুস্থতার পোস্ট লিখে যাচ্ছি। আসলে রেসিপির ফটোগ্রাফি করা আছে কিন্তু গুছিয়ে লিখব এই অবস্থায় আমি নেই।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দোয়া করবেন যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠি।আসলে যাদের ছোট বাচ্চা আছে তারা খুব ভালোভাবে আমার অবস্থাটা বুঝতে পারবেন।ছোট বাচ্চা থাকলে মা অসুস্থ হলে বাচ্চার কতটা কষ্ট হয়। যাই হোক সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
প্রথমে আপনার সুস্থতা কামনা করছি। দোয়া করি যাতে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন। ঠিকই বলেছেন আপনি সন্তান যতই বড় হোক না কেন মায়ের কাছে সব সময় সমান থাকে। আসলে অসুস্থ থাকলে মায়ের কাছে গেলে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়। আর বাবু আপনার বাবার বাড়িতে গিয়ে কিছুটা সুস্থ আছে জেনে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। জ্বি আপু বাবু একটু সুস্থ।
আসলে শরীর অসুস্থ থাকলে তখন পোস্ট লেখা অনেকটা কষ্ট হয়ে যায়। আপনার মায়ের বাড়ি গিয়ে বেশ ভালই করেছেন, সত্যি বলেছেন আপু সন্তান যত বড়ই হোক না কেন তার মায়ের কাছে একরকমই হয়। এখন আপনি আর আপনার শিশু দুজনেই একটু ভালো আছেন জেনে খুশি হলাম। আপনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন আপু।
জ্বি ভাইয়া দোয়া রাখবেন যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আপনাদের মাঝে আগের মতো স্বাভাবিক থাকতে পারি।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ভালো ই করেছেন আপু।আগে নিজের সুস্থতা দরকার।একজন গৃহিনীর সুস্থ থাকা মানে পরিবারের সবাইকে সুস্থ রাখা।আর মায়ের যেহেতু গৃহপালিত পশু আছে এসব রেখে কদিন ই বা থাকতে পারবেন।তার চাইতে এই ভালো আপনি চলে গেলেন।এবার সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন এটাই আশা করছি।ধন্যবাদ আপু।
জ্বি আপু আমার মা চাইলেও আমার বাড়িতে গিয়ে থাকতে পারছিল না। তাই আমি নিজেই চলে এসেছি কারণ আর কিছুতেই একা বাসায় সবকিছু সহ্য করতে পারছিলাম না। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বর্তমানে এমন একটা সময় যাচ্ছে সারাদেশে অনেক মানুষের জ্বর কাশি লেগে রয়েছে। কিছুটা দিন আগে আমি অনেক অসুস্থ ছিলাম। পাশাপাশি এখনো আপনার ভাবি অসুস্থ হয়েছে। তবে যাই হোক এমন একটা মুহূর্তে বাবুকে নিয়ে মায়ের বাসায় এসেছেন এবং আন্টির কোলে বাবু আসার পর থেকেই যথেষ্ট সুস্থ বোধ করছে আর এতে আপনি স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন। দোয়া করি যেন বাবু দ্রুত সুস্থ হয় এবং আপনারা বাবুর হাসিমুখ দেখে নিজেরাও হাসি আনন্দে থাকতে পারেন।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এখন প্রায় সবাই অসুস্থ পড়ছে।বাড়িতে আসার পর বাবু অনেকটা সুস্থ হয়েছে। আমিও মোটামুটি সুস্থ হয়েছি। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
অবশেষে তাহলে আবারও বাড়িতে গেলেন বাবুকে নিয়ে মায়ের কাছে অনেক ভালো লাগলো শুনে। এবার তাহলে কিছুটা স্বস্তি পাবেন। সেখানে যেহেতু বাবুকে নেওয়ার মানুষের অভাব নাই। তাছাড়া মায়ের হাতের রান্না খেলে ভাল লাগে খেতে। আপনার সুস্থতা কামনা করছি পরিবারের সবাই যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায় দোয়া রইল।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। অবশেষে বাবার বাড়িতে আসতেই হলো আপু।
আপনার বাবার বাড়িতে যাবার পরে শায়ন বাবু কিছুটা সুস্থ হয়েছে এটা জেনে ভালো লাগলো। সন্তান যতই বড় হোক না কেন অসুস্থ হলে তার মায়ের কথাই মনে পড়ে। ভালো করেছেন মায়ের বাড়িতে চলে এসে কারো না এখানে আপনারা একটা বাড়তি সাপোর্ট পাবেন। দোয়া করি যেন মহান সৃষ্টিকর্তা আপনার পরিবারের সকলকে সুস্থতা দান করেন।
জ্বি ভাইয়া বাবার বাড়িতে আসার পর অনেকটা সুস্থ বোধ করছি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু প্রথমে দোয়া করি যেন বাবু আপনি এবং ভাইয়া সবাই যেন সুস্থ হয়ে যান। অসুস্থ যে হয় সেই বুঝে সুস্থতা কত বড় নেয়ামত। কিছুদিন আমি আর আমার মেয়ে অসুস্থ ছিলাম তবে আমার হাজব্যান্ড অনেক খেয়াল রেখেছে আমাদের। তবে আপনি এটি ঠিক বলেছেন সন্তান যতই বড় হোক না মায়ের কাছে সব সময় আদরের সন্তানই থাকে। যেমন আপনি অসুস্থ শরীরে মায়ের কাছে গেলেন আপনার মা আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ভর্তা বানিয়ে এবং কি খাবেন তা খাওয়ানোর চেষ্টা করতেছে। মায়ের মত আপন আর কেউ নেই। তবে কিছু পোস্ট দেখতেছি আপনি অসুস্থ নিয়ে দেখতেছেন। দোয়া রইল আপু সবাই যেন ভালো হয়ে যান এবং নিজের উপর এবং ফ্যামিলির উপর খেয়াল রাখবেন।
জ্বী আপু জ্বর আসায় মুখে একদম রুচি নেই।তাই মা বিভিন্ন ধরনের খাবার বানিয়ে দিচ্ছেন যাতে করে একটু হলেও খেতে পারি। মা তো মা। মায়ের সাথে তো কারো তুলনাই করা যাবে না। আসলে ছোট বাবু আছে আপনার আপনি তো খুব ভালোভাবে বুঝতে পারছেন ছোট বাবু হলে মায়ের খাবারের কতটা দরকার।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
বাবার বাড়িতে গিয়ে আপনি ভালো কাজ করেছে কারণ ওখানে আপনার ও আপনার বাবুর যত্নের কোন কমতি থাকবে না এবং তারাতাড়ি সুস্থ হতে পারবেন।আসলে অসুস্থ হলে একে তো কোনকিছু খেতে মন চায় না তার উপরে যদি নিজে তৈরী করে খেতে হয় তবে তো আরো বেশি অরুচি চলে আসে।আপনার সুস্থতা কামনা করছি।
ঠিক বলেছেন আপু অসুস্থ হলে কোন কিছু খেতে মন চায় না আর নিজের রান্না তো একদমই ভালো লাগেনা। তাইতো মায়ের কাছে চলে এসেছি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষ অসুস্থ হচ্ছে। যে ফ্যামিলিতে হচ্ছে একসাথে অনেকগুলো লোক অসুস্থ হচ্ছে। তবে আপনি আপু ভালো করেছেন আপনার মায়ের কাছে গিয়ে। বিশেষ করে আপনি নিজে অসুস্থ এবং বাবু অসুস্থ এবং আমাদের ভাই ও অসুস্থ। এ সময় আপনাদের দেখাশোনা করার লোকের প্রয়োজন। তবে আপু সন্তান যে এতই বড় হোক না কেন মায়ের কাছে সন্তান সন্তানের মতই থাকে। আপনি অসুস্থ আপনার মা চেষ্টা করতেছে আপনার পছন্দের খাবার গুলো বানিয়ে খাওয়ার জন্য। দোয়া করি আপু যেন আপনারা সবাই খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যান।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। জ্বি ভাইয়া যেহেতু আমাদের সবাই অসুস্থ দেখাশোনা করার মত কেউ নাই। তাই আমরা গ্রামের বাড়িতে চলে এসেছি মায়ের কাছে।