অনেক দিন পর চাচা শশুরেে বাসায় কাটানো সুন্দর মহূর্ত
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজকে অনেকদিন পর ঘুরতে গিয়েছিলাম এক আত্মীয়ের বাড়ি এবং আর সেখানকার কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করব। অনেকদিন যাবৎ অসুস্থ ছিলাম খুব একটা বাহিরে যাওয়া হয়নি। আজকে সকাল থেকে কেন জানি না কিছুই ভালো লাগছিল না। মনে হচ্ছিল কোথাও ঘুরতে যাই। এখানে ঘোরাঘুরির মত তেমন কোন জায়গা নাই। যেগুলো আছে সেগুলোতে সব সময় যাওয়া হয়। তাই ভাবলাম আশেপাশে কিছু আত্মীয় আছে তাদের কোনো এক জনের বাসায় যাওয়া যাক।
আমার বাসা থেকে কিছু দূরে আমার এক চাচা শ্বশুরের বাসা। বাজারেও না আর ঔষধের দোকান আছে। যখনই টুকটাক কেনাকাটা করতে বাজারের মধ্যে যাই ওনার সঙ্গে মাঝেমধ্যে দেখা হয় এবং উনি খুবই উনার বাসায় যেতে বলেন। তাই আজকে ভাবলাম আমার চাচা শ্বশুরের বাসায় বেড়াতে যাব। সাথে ছোট দেবরের বউকে নিলাম।আপনাদের ভাইয়া কেউ প্রথমে বললাম বললো যাবে না। পরে আমাদের রেডি হওয়া দেখে বলল ঠিক আছে আমিও ঘুরে আসি তোমাদের সঙ্গে। আমি বাসায় একা একা কি করব।
এরপর সবাই রেডি হয়ে বাসার সামনে বের হয়ে একটি রিক্সা নিলাম। আমরা একটা বড় রিক্সা নিয়েছিলাম যেখানে আমাদের তিনজনের অনায়াসে জায়গা হয়েছিল।একটা খাবারের দোকানে গিয়ে চাচার ছোট ছোট দুটো ছেলে আছে তাদের জন্য কিছু চিপস্ চকলেট বিস্কুট ইত্যাদি কিনে আমরা চাচার বাসায় চলে গেলাম।আমাদের বাসা থেকে ১০ টাকা ভাড়া তিনজনের ৩০ টাকা নিয়েছিল। চাচি আমাদেরকে দেখে খুবই খুশি হয়েছিলেন। আসলে উনিও বাচ্চাদের নিয়ে একা একাই থাকেন। তাই আমাদের মত বাসায় কেউ আসলে উনিও খুব খুশি হন।
প্রথমে আমরা বসে অনেকক্ষণ গল্প করলাম চাচীর সঙ্গে। চাচি ছোট ছেলে আমার ছেলের সমবয়সী। ওরা এত সুন্দর খেলছিল সবাই আমার খুবই ভালো লাগছিল আর বাবু ছোট ছোট খেলার সাথী পেলে তো কোন কথাই নেই। কিছুক্ষণ পর চাচি আমাদের জন্য সেমাই রান্না করলেন।নাস্তা করার পর আমরা চাচিকে বললাম আমরা চলে যাব আর দেরি করবো না কিন্তু চাচি কিছুতে আসতে দিলেন না।
কিছুক্ষণ পর দেখি চাচি ফ্রিজ থেকে মাংস মাছ ইত্যাদি ভিজিয়ে দিয়েছেন এবং রান্নাবান্নার কাজে লেগে পরলেন। তো অনেক জোর করার পরও যখন আসতে দিচ্ছিলেন না তাই আমরাও তাকে কাজে সাহায্য করতে লাগলাম। রান্নাবান্না করতে করতে কত গল্প যে করলাম। আমার অনেকদিন পর খুবই ভালো লাগছিল এমন খোলামেলা ভাবে তার সঙ্গে গল্প করতে পারছিলাম তাই।যাইহোক এরপর ওনার রান্নাবান্না সম্পন্ন হলে আমরা খেয়ে বাসায় চলে আসি। আসার সময় ওনাকে আমার বাসায় আসার দাওয়াত দিয়ে এসেছি।
উনি আমাদের জন্য রান্না করেছিলেন ছোট মাছের চচ্চড়ি ডিম ভুনা মুরগির মাংস এবং সাদা ভাত। সবগুলো রান্নায় খুবই মজার হয়েছিল কিন্তু আমার সবথেকে ছোট মাছের চচ্চড়ি এটাই খেতে বেশি ভালো লেগেছিল। অনেকদিন পর এত ভালো সময় কাটিয়ে সত্যিই খুব ভালো লাগছিল এবং অসুস্থ হয়ে কয় দিন বাসায় থাকার যে একঘেয়েমি টা তৈরি হয়েছিল সেটা অনেকটাই কেটে গেল। তো বন্ধুরা আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।
ছোট মাছের চচ্চড়ি কি আলু দিয়ে করেছে নাকি আপু? আমারো মাংস বা ডিমের থেকে ছোট মাছই বেশি পছন্দের। আর আসলে অনেক সময় লাগে এমন যে কিছু ভালো লাগে না, কারো সাথে মন খুলে অকারণ গল্প করতে ইচ্ছে করে। আপনার তো তাও আশেপাশে এমন আত্নীয় আছে। আমাদের তাও নেই আপু। তাই মন চাইলেও কিছু করার নেই।
হ্যাঁ আপু আলু দিয়ে ছোট মাছের চচ্চড়ি রান্না করা হয়েছিল খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল।এটা ঠিক আপু আশেপাশে গল্প করার লোক থাকলে খুবই ভালো লাগে।
চাচির বাসায় গিয়েছেন খাবার না খাইয়ে কি আসতে দেয়। ভালো হয়েছে রান্নাবান্নার ফাঁকে আপনারা বেশ গল্প করতে পেরেছেন। ছোট বাচ্চারা অন্য কোন ছোট বাচ্চা দেখলেই খেলা শুরু করে দেয়। এ বিষয়টি দেখতে খুব ভালো লাগে। যাইহোক অনেকদিন পর সবাই মিলে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। আর খাবার গুলো বেশ লোভনীয় লাগছে দেখতে।
জ্বি আপু ছোট বাচ্চাদের এই আনন্দ গুলো দেখার মতো।আর অনেকদিন পর খুব ভালো সময় কাটিয়েছিলাম সেখানে গিয়ে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
আসলে অনেক দিন ঘরের মধ্যে বন্দি অবস্থায় থাকলে কোন আত্মীয়ের বাড়িতে যেয়ে সারাদিন কাটালে সত্যি বেশ ভালো লাগে ।আপনারা বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন বুঝতে পারছি। বেশ ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি পড়ে।ধন্যবাদ।
জ্বি আপু সেদিন আত্মীয়ের বাসায় ঘুরতে গিয়ে সারা দিন বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
অসুস্থতার পর কোন আত্মীয়-স্বজনের বাসায় গেলে একঘেয়েমিটা আসলেই কেটে যায়। আপনারা সবাই খুব সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়েছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। গল্প,খাওয়া-দাওয়ার পর বাসায় চলে এলেন।আশাকরি আপনি এখন অনেকটা ই ফ্রেশ।ধন্যবাদ আপু।
অনেকদিন অসুস্থ থাকায় ঘর বন্ধ ছিলাম বেশ একঘেয়েমি চলে এসেছিল। সেখানে গিয়ে গল্পগুজপ খাওয়া দাওয়া করে আসার পর আসলেই অনেকটাই ফ্রেশ লাগছে আপু। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
তাহলে আপু ছোট চাচা শ্বশুরের বাসায় বেড়াতে গেলেন। হঠাৎ করে কোন আত্মীয়র বাসায় গেলে অন্যরকম একটি অনুভূতি আসে। তবে আমার কাছে ও মাঝেমধ্যে কোথায় বেড়াতে গেলে ভালই লাগে। যদিও আপনি সাথে আপনার দেবরের ওয়াইফকে নিয়ে গেলেন। তবে ছোট মাছের চচ্চড়ি খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। যাই হোক সবাই মিলে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ছোট মাছ আমারও অনেক পছন্দের আপু। আর সেদিনের ছোট মাছের তরকারিটা অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
মাঝে মাঝে এভাবে আত্মীয় বাসায় ঘুরতে গেলে মনটা অনেক ভালো লাগে। আপনি আপনার চাচীর সাথে রান্না করতে করতে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন। আর ছোট বাচ্চারা একসাথে হয়েও খুব আনন্দ করেছে। খাবারগুলো খুব লোভনীয় লাগছে। এতো সুন্দর একটি মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আমরা বড়রা মিলে গল্প করছিলাম আর বাচ্চারা মিলে খেলছিল এই মুহূর্ত আসলেই অনেক ভালো লাগার ছিল আপু। আর চাচির রান্না করা খাবারগুলো খেতেও বেশ সুস্বাদু ছিলো।যাইহোক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
মাঝেমধ্যে আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় আসা যাওয়া করা ভালো। আসলেই আসা যাওয়া না করলে সম্পর্ক ভালো থাকে না। তবে ঘরে থাকতেও একঘেয়েমি লাগে সব সময়। সবাই মিলে ঘুরে আসলেন অনেক সুন্দর সময় কাটালেন। আমাদের সাথে বিস্তারিত শেয়ার করলেন। বিশেষ করে খাবারের কালার গুলো অনেক ভালো লেগেছে।
এটা ঠিক বলেছেন আপু মাঝেমধ্যে যাওয়া আসা না করলে আত্মীয় স্বজনের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকে না। তাই তো একঘেয়েমি কাটাতে চলে গিয়েছিলাম চাচা শ্বশুরের বাসায় এবং সেখানে খুব ভালো সময় কাটিয়েছি।খুব সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
তবে আপু মাঝেমধ্যে আপন মানুষ বা আত্মীয়-স্বজনের বাসায় বেড়াতে গেলে এমনিতে অনেক ভালো লাগে। যদিও আপনারা আপনার চাচার শ্বশুরের বাসায় গেলেন। এবং তাদের বাসা আপনাদের বাসা তেমন দূরে না। তিনজনের ৩০ টাকা গাড়ি ভাড়া। তবে মনে হয় খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন। দেখতেছি তারা খুব মজার মজার খাবার তৈরি করেছে আপনাদের জন্য। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বি ভাইয়া চাচা শ্বশুরের বাসায় চলে গিয়েছিলাম বেড়াতে এবং সেখানে খুব ভালো সময় কাটিয়েছি। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকেও সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।