গ্রামের মেঠোপথে ঘোরাঘুরি
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। কয়েকদিন ধরে গ্রামে আসছি বেশ ভালো সময় কাঁটছে। তো আজকে সকাল বেলা আমার বড় বাবার বাসায় দাওয়াত ছিল তো আমার বড় বাবার মেয়েরা নাতি নাতিরা সবাই এসেছেন। আর সবার সাথে আমার বেশ ভালো সম্পর্ক। তো সবাই মিলে দুপুরে একসাথে খাওয়া দাওয়া সেরে ফেলেছিলাম। অনেক আয়োজন ছিল এবং সবাই অনেক মজা করে খেয়েছি। এরপর গল্প করতে করতে বিকেল হয়ে যায়।সবাই মিলে ঠিক করি আমরা গ্রাম ঘুরতে বের হব। ওরাও পড়াশোনার ক্ষেত্রে বাহিরে থাকে আমিও শহরে থাকি তাই গ্রামটা আমরা বড্ড মিস করি।
তো আমরা সবাই মিলে আমাদের গ্রামের পাশে ছোট্ট একটা খাল ছিল সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলাম এবং সেখানে সুন্দর একটা সুইচ গেট আছে এর আগে অনেক একবার আমি শেয়ার করেছিলাম। তো সেটা আমরা দেখতে গিয়েছিলাম। আমরা হাঁটতে হাঁটতে সবাই গ্রামের বাহিরে সেই সুইচ গেটে এবং খালের পাড়ে গিয়েছিলাম। সন্ধ্যের আগে এত সুন্দর আবহাওয়া ছিল সেখানকার আমাদের তো বেশ ভালো সময় কেঁটেছে সেখানে।
আমার সেখানে গিয়ে সবাই মিলে অনেক হাসি মজা করলাম। এরপর সবাই মিলে অনেকগুলো ছবি তুললাম অবশ্য ছবিগুলো আমি তাদের কাছ থেকে নেইনি এখনো। তবে আমার কাছে কিছু ছবি আছে যেগুলো আমি এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। যেতেই দেখি একটা ছোট মেয়ে অনেকগুলো ফুল কাঁধে করে নিয়ে আসছে আসলে ও ফুলের জন্য আনছে নাকি জ্বালানির জন্য আনছে আমি বুঝতে পারছি না।ওকে দাঁড় করিয়ে এই দুটো ফটোগ্রাফি আমি করেছিলাম। আর ফুলগুলো আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল।
এরপর আমরা সবাই মিলে কিছুক্ষণ গল্প সল্প করে সেখান থেকে সন্ধ্যার আগেই চলে আসি কারণ এটা গ্রামের একদম সাইটে আর আসতে সন্ধ্যা লেগে গেলে খুব ভয় লাগবে যেহেতু রাস্তায় বড় একটা জঙ্গল আছে তাই আমরা অনেকটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। শুনেছি এই জঙ্গলে নাকি ভূত-পেত্নী আছে। তাই আমরা সন্ধ্যার আগে আগেই সেখান থেকে গ্রামের ভিতরে ঢুকে যাই। এদিক ওদিক হাঁটাহাঁটি করে বাসায় চলে আসি সবাই। আমি সেখানে আরো অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছি। যেগুলো আমি পরবর্তীতে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করব।
আজ এ পর্যন্তই। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
@hiramoni দিদিভাই আপনার ব্লগটা পরে খুব ভালো লাগলো। আমার গ্রামের কথা মনে পড়লো....😞😞
আপু গ্রামের মেঠো পথে সবাইকে নিয়ে দারুন সময় কাটিয়েছেন পড়ে খুব ভাল লাগলো। বেশকিছু ফটোগ্রাফি ও শেয়ার করেছেন। সত্যি ই অসাধারণ ছিল।আকাশের ফটোগ্রাফি,মেঠো পথের ফটোগ্রাফি খুব ভাল লাগলো। আপনার সুন্দর কিছু অনুভূতি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
প্রকৃতির মধ্য দিয়ে এই ধরনের মেঠো পথে চলাচল করার মধ্যে অন্য রকমের একটা ভালো লাগা কাজ করে। এই ভালোলাগাটা উপভোগ করার জন্যই তো প্রত্যেক ঈদের শহর থেকে গ্রামে মানুষ ছুটে চলে আসে।
আসলে একরামে প্রকৃতির দৃশ্য গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে আর এই মেঠো পথ দিয়ে হেঁটে যেতে যেন আরো বেশি ভালো লাগে। গ্রামের প্রকৃতির মধ্যে অনেক সুন্দর সময় পার করলেন দেখে ভালো লাগলো।
গ্রামে বেড়াতে গিয়ে বড় বাবার বাসায় দাওয়াত খেতে গেলেন। আপনি এবং আপনার বড় বাবার মেয়ে নাতি নাতিরা সবাই মিলে গ্রামে ঘুরতে গেলেন। তবে যারা শহরে থাকে তারা হঠাৎ করে গ্রামে গেলে ঘুরতে তাদের কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে সন্ধ্যার আগে সবাই বাড়ির দিকে ফিরে আসলেন শুনে খুব ভালো লাগলো। কারণ সন্ধ্যার পরে গ্রামে জায়গাগুলো একদম অন্ধকার হয়ে যায় এবং মানুষজন থাকে না। সত্যি আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আশা করি সবাইকে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে অনেক মজাই করেছেন।