ডিজিটাল যুগে নতুন পদ্ধতি
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগের স্বাগতম। দিন বদলাচ্ছে তাই সবকিছুর ধরনও পাল্টে যাচ্ছে দিনকে দিন।কিছুদিন আগে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে একটি ঘটনা দেখে অনেকটা অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম কয়েকটা ফটোগ্রাফি করে রাখি আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাবে। বাবার বাড়িতে গেলে ঘুম থেকে অনেকটা দেরিতে ওঠা হয়। এটা শুধু আমি নয় মনে হয় প্রত্যেকটা মেয়েই এমনটা করে থাকে। ঘুম থেকে উঠে ফোনটা নিয়ে জানালার কাছে বসেছি। এমন সময় মাইকের শব্দ কানে ভেসে আসলো। ভাবলাম হয়তো কোন দোকানদার কিংবা হকার এসেছে।
বেশ কৌতুহল নিয়ে জানালার দিকে তাকিয়ে থাকলাম। একটু পর যেটা দেখলাম সেটার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। একজন বৃদ্ধ লোক ভিক্ষা করতে এসেছেন ভ্যানে করে। প্রত্যেকটা বাড়ির সামনে গিয়ে মাইক দিয়ে তাদেরকে ডাকছেন। এখন আমার কথা হল সারাদিন গ্রামের ঘুরে ঘুরে কত টাকায় বা পায় আর ভ্যান ভাড়া কত টাকা দিতে হয়। হয়তো এটাই তার কর্ম। এটা দিয়ে তার সংসার চলে।প্রথমে লোকটাকে দেখে বেশ খারাপ লেগেছিল আমার। কিন্তু একটু পর বৃদ্ধলোকের কিছু কথা শুনে খারাপ লাগছিল।
আমার জানালা দিয়ে যে বাড়িটা দেখতে পাচ্ছেন তো সেই বাড়ির মহিলাকে মা মা বলে ডাকছিল মাইক দিয়ে। হয়তো মহিলাটা কোন কাজে ব্যস্ত ছিল তাই একটু ভিক্ষা দিতে দেরি হচ্ছিলো।এতেই বৃদ্ধ লোকটি রেগে মেগে আগুন। ভিক্ষা এত দেরি হচ্ছে কেন মা করে ডেকে কোন লাভ নেই। আরো অনেক কথা। এদিকে মাইক দিয়ে যখন বারবার ডাকছিল তখন ওই মহিলা ও বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলেন। এখন আমার কথা হচ্ছে লোকটা কি আসলে অভাবে পড়ে ভিক্ষা করতে এসেছেন। যদি এসেই থাকেন তাহলে এমন আচরণ কেন। সত্যিই আমরা ডিজিটাল যুগে বসবাস করছি। এখন মাইক দিয়ে ডেকে ভিক্ষা করে ভাবা যায়। যাই হোক এরপর লোকটি যখন এ বাড়ি ও বাড়ি ভিক্ষা নিয়ে আমাদের বাড়ির সামনে আসলো তখন আমি লোকটাকে ভালোভাবে দেখলাম। লোকটা হাঁটাহাঁটি করার মতো যথেষ্ট বয়স আছে। কিন্তু গ্রামে গ্রামে হেঁটে ভিক্ষা করতে অনেক সময় লেগে যাবে তাই এই পদ্ধতি।
যাক কি আর করার ভিক্ষা দেওয়ার পর লোকটা খাবার খেতে চাইলো। তারপর আমার মা লোকটাকে খেতে দিলেন। লোকটা অর্ধেক খেয়ে ভ্যানওয়ালাকে দিল। এরপর উনারা অন্যান্য বাড়ির দিকে চলে গেলেন। বিষয়টা আমি দেখে অবাক হওয়াই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নতির পথেই হাঁটছি। এটা তার একটি প্রমাণ।
সত্যি আপু ডিজিটাল যুগে ডিজিটাল পদ্ধতি হওয়াটাই স্বাভাবিক। আসলে আপু অনেকে অভাবে ভিক্ষা করে আর কিছু মানুষ সভাবে ভিক্ষা করে। আসলে এসেছে ভিক্ষা করতে তার আবার এতো তেজ। বর্তমান ভিক্ষুকদের এমন তেজ থাকে আপু। তারপরেও এদেরকে আমাদের ভিক্ষা দিতেই হবে।ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
যেহেতু উনি ভিক্ষা করতে এসেছেন মানুষের কাছে সাহায্য চাইতে এসেছেন তাই তাকে নরম থাকতে হবে। কিন্তু তা না তার রাগ তেজ দেখে তো আমি অবাক। ঠিক বলেছেন আপু কেউ অভাবে ভিক্ষা করে আর কেউ স্বভাবে করে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
জ্বী আপু বাবার বাড়িতে গেলে ঘুম থেকে অনেকটাই দেরিতে ওঠা হয় মেয়েদের এবং সব ক্ষেত্রেই এটা ঠিক। কারণ নিজের সংসারে থাকতে হলে অনেক পরিশ্রম করতে হয়।অনেক সকাল সকালে উঠতে হয় কিন্তু বাবার বাড়িতে গেলে একটু আরাম আয়াস করা যায়। মেয়েদের ক্ষেত্রে এইটা স্বাভাবিক। এরকম লোক আমাদের এখানেও আছে আমি খেয়াল করে দেখেছি। এখনকার মানুষকে ভিক্ষা দিতে গেলে এমন আচরণ করে সত্যি তখন খারাপ লাগে। যে তারা জোর করে নিবে ভিক্ষা এমন একটা হয়ে গেছে কারণ আমরা ডিজিটাল যুগে বসবাস করছি তো।মানুষকে খাবার খাওয়ানো অনেকে ভালো একটি কাজ কিন্তু মানুষ বুঝে আমাদের কাজ করতে হবে কারণ অনেক মানুষই অনেক ভালো মানুষের রূপ নিয়ে ঘুরে বেড়ায় ।
ঠিক বলেছেন এখনকার ভিক্ষুকদের অনেক জোর যদি পাঁচটা টাকা দেন তাহলে তারা জোর করে দশ টাকা নেবে এমন একটা অবস্থা। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
😂 ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভিক্ষা, ভাবতেই অবাক লাগছে আপু। ভিক্ষা নিতে আসছে ভালো কথা, অপেক্ষা করে ভিক্ষা নিতে হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ভিক্ষা দিতে দেরি হওয়াতে লোকটা রেগেমেগে আগুন, তার মানে লোকটা সুবিধার না। বাড়তি উপার্জনের আশায় ডিজিটাল পদ্ধতি অবলম্বন করেছে। যাইহোক একেবারে ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু, সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া তার ভিক্ষার পদ্ধতি দেখে আমি নিজেও অনেকটাই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আরো অবাক হয়ে গিয়েছিলাম তার রাগ দেখে। হবে হয়তো বেশি উপার্জন এর আশায় ডিজিটাল পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।