পুরনো মুহূর্ত
"হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
প্রথমেই বলে রাখছি এই মুহূর্তটা বেশ পুরনো। নতুন বাসাতে আসার পর থেকে এখনো ঠিকঠাক মত সবকিছু গুছিয়ে নিতে পারিনি, তার কারণে আমার কাজের ধারাবাহিকতায় কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে।আশাকরি এই সমস্যাগুলো খুব দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারব এবং কাজে ভালো ভাবে মনোনিবেশ করতে পারবো।
খুব যে বেশি পুরনো দিনের মুহূর্ত তা না, বৈশাখ মাসের ঘটনা। এদিন সম্ভবত আমরা মূলত বিকাল বেলার দিকে বৈশাখী মেলায় ঘুরতে গিয়েছিলাম, তারপরে ওখান থেকে গিয়েছিলাম চাটনি রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করতে। যেহেতু মেলায় ঘুরতে গিয়ে সেদিন রাত হয়ে গিয়েছিল, তাই রাতের খাবারটা বাইরে থেকেই খেয়ে এসেছিলাম।
এই রেস্টুরেন্টাতে এর আগে বহুবার এসেছি, তবে সেদিন আলাদা একটা ভালো লাগা কাজ করছিল। কারণ তারা রেস্টুরেন্টের ভিতরের পরিবেশটাকে একটু ভিন্নভাবে সাজিয়ে তুলেছিল। মূলত কিছু আর্টিফিসিয়াল ঘাস ফুলের গাছ দিয়ে ভিতরটাকে সাজিয়েছিল। এমনভাবে ডেকোরেশন করেছিল যা দেখে যে কোন কারোই মন এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে।
আমি তো প্রথমে ভেবেছিলাম এগুলো সত্যিকারের ফুল। তবে খুব কাছে থেকে যখন দেখার চেষ্টা করেছি, তখন আসলে আমার ভিতরের সন্দেহটা কেটে গিয়েছিল। বসার জায়গা গুলোর পাশে এমনভাবে ঘাসফুলগুলো লাগিয়ে রেখেছিল, তাতে রেস্টুরেন্টের সৌন্দর্যটা আরো অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল।
যাইহোক আপনাদের ভাই যথারীতি আমাদের রাতের খাবার অর্ডার করেছিল এবং আমরা মোটামুটি সেখানে অনেকটা সময় সেদিন ছিলাম। কারণ বাহিরে প্রচুর গরম ছিল। তার ভিতরে যেহেতু অনেকটা ঘোরাঘুরি করেছি, তাই আমরা বেশ ক্লান্ত ছিলাম।
যদিও এখানে সবকিছুই কৃত্রিম, তবে তার মাঝেও যেন প্রশান্তি পাচ্ছিলাম, কারণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ এখানে ।
সেদিন আমাদের রাতের খাবারের তালিকায় খুব যে ভারী খাবার ছিল তেমনটা না,বাবু যেহেতু ফ্রাইড রাইস আর চিকেন ফ্রাই খেতে পছন্দ করে, তাই সেই দিকটাকেই কেন্দ্র করে খাবার অর্ডার করা হয়েছিল। মোটামুটি রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে, অনেকটা সময় সেখানে কাটিয়ে বাসায় ফিরেছিলাম।
যাইহোক পুরনো দিনের মুহূর্ত দিয়েই আজকের লেখাটা শেষ করে ফেললাম। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শীঘ্রই নতুনভাবে কাজে মনোনিবেশ করবো। তখন হয়তো নতুন রেসিপি, নতুন অনুভূতি, নতুন অভিজ্ঞতা শেয়ার করব৷ আজ আপাতত এভাবেই শেষ করছি।
ধন্যবাদ সবাইকে।
হারিয়ে খুঁজি নতুন করে উল্টিয়ে স্মৃতির পাতা আজ বারে বারে শুধু মনে পড়ে পুরোনো দিনের কথা।মাঝে মাঝে পুরোনো দিনের স্মৃতি গুলো ঘুরে দেখতে বেশ ভালোই লাগে।মা ছেলেকে দেখতে খুবই মিষ্টি লাগছে,সেই সাথে খাবার গুলো অনেক লোভনীয় লাগছে।অনেক দিনের মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাবি।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনারা নতুন বাসায় উঠেছেন শুভ কামনা রইল। আসলে বাসা চেঞ্জ করাটা খুব কষ্ট। পুরনো মুহূর্তের পোস্ট টি চমৎকার ভাবে সাজিয়েছেন। রেস্টুরেন্ট টা দেখতে অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আর বলেন না ভাইয়া বাসা চেঞ্জ করার কতটা কষ্টকর হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। যাই হোক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার নতুন বাসায় উঠেছেন জেনে অনেক ভালো লাগল। আসলে আপু নতুন জায়গায় নতুুন পরিবেশ মানানো তো একটু সময় লাগবে। আর পুরাতন কিছু ভুলে থাকা সম্ভব নয়। আপনি ভাইয়া ও শায়ান বাবুকে নিয়ে পুরানোদিন হলেও রাতে বেশ ভালো খাবার খেয়েছেন জেনে ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
নতুন বাসা,ছোট বাচ্চা সবকিছু মিলিয়ে একটু সমস্যা ই বটে।দোয়া করি খুব দ্রুত সবকিছু গুছিয়ে আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসবেন আপু।
আপনি আজ বেশ পুরোনো কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। খুব সুন্দর লাগছে মা আর ছেলেকে।খাবারগুলো ও বেশ মজার।সত্যি ই ফুলগুলো খুব ই প্রানবন্ত লাগছিলো।বোঝার উপায় নেই।সুন্দর বর্ননা তুলে ধরেছেন এজন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন আপু আমিও প্রথম দেখাতে ফুলগুলোকে ভেবেছিলাম গাছের তাজা ফুল কিন্তু পরে দেখলাম এগুলো আর্টিফিসিয়াল ফুল ছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
নিশ্চয়ই মোবাইলের গ্যালারি ঘাটতে ঘাটতে পুরনো এই ছবিগুলো পেয়ে গিয়েছেন। এমন আমারও অনেক হয় । তাছাড়া বেশিরভাগ সময় রাতে বাইরে থেকে আসতে দেরি হলে রাতের খাবার খেয়ে আসি আপনাদের মত । এখনকার রেস্টুরেন্ট গুলো আর্টিফিশিয়াল জিনিস দিয়েই বেশি সাজানো হয় । দেখতে ভালই লাগে। তাছাড়া বাবুর পছন্দের খাবারগুলো কিন্তু আমারও খুবই পছন্দের খাবার । মজাই ছিল মনে হয় খাবারগুলো।
আমার ছেলে ফ্রাইড রাইস এবং চিকেন ফ্রাই অনেক পছন্দ করে। আমি বাসাতেও ওকে মাঝেমধ্যেই ফ্রাইড রাইস বানিয়ে দেই। ও খুব মজা করে খায়।যাইহোক আমার ছেলের এবং আপনার পছন্দ একই জেনে খুব ভালো লাগলো আপু।
পুরনো কাটানো মুহূর্তটা আমাদের মাঝে খুবই সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন। যেহেতু নতুন বাসায় এসেছেন তাই, সবকিছু গোছগাছ করতে একটু সময় লাগবে। আশা করছি ব্যস্ততা কাটিয়ে আবারো কাজ করতে পারবেন। আর্টিফিশিয়াল ফুল দিয়ে রেস্টুরেন্টটা খুবই সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে, যা দেখতে খুব ভালো লাগছে। আর রেস্টুরেন্টের পরিবেশটাও খুবই সুন্দর। খাওয়া দাওয়া ও বেশ ভালো করেছিলেন সব মিলিয়ে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।
জ্বি ভাইয়া বাসাটা গোছগাছ করতে একটু না বেশ ভালই সময় লাগছে। যাইহোক আশা করছি খুব দ্রুত এই ব্যস্ততা কাটিয়ে উঠতে পারব।
নতুন বাসায় যাওয়ার জন্য কিন্তু দাওয়াত দিলেন না? আমরা কিন্তু নিজ দায়িত্বে চলে আসব।
আপনি আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে পুরনো কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন, পড়ে বেশ ভালোই উপভোগ করলাম। রেস্টুরেন্টের সৌন্দর্য এবং পরিবেশ দেখে আমার অনেক বেশি পছন্দ হয়েছে। আর্টিফিশিয়াল ফুলের সাহায্যে এভাবে রেস্টুরেন্ট সাজালে অনেক বেশি সুন্দর হয়। যেহেতু ভেতরে অনেকটা ঘুরাঘুরি করেছিলেন তাই ক্লান্ত ছিলেন। যেহেতু বাবু ফ্রাইড রাইস এবং চিকেন ফ্রাই খেতে পছন্দ করে তাই এই খাবারটাই অর্ডার করেছিলেন। ভালো লাগলো সম্পূর্ণটা।
হ্যাঁ আপু বাহিরে রোদের মধ্যে ঘোরাঘুরি করেছিলাম তাই রেস্টুরেন্ট এর ভিতরে ভালো লাগছিল কারণ সেখানে এসি চলছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য।
বাসা পরিবর্তন করা অনেক কষ্টের আরো অনেক দিন ঝামেলা চলে যাবে আপনার তবে আশা করি কয়েক দিনের মধ্যেই আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। রেস্টুরেন্টের পরিবেশটা বেশ সুন্দর। মেলায় ঘোরাঘুরি করছেন সাথে এমন সুন্দর পরিবেশে খাওয়া দাওয়া করলেন অনেক ভালো একটি মুহূর্ত ছিল আপনার।
আপু বাসা চেঞ্জ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। এই প্রথমবার বাসা চেঞ্জ করলাম আগে কখনো এর মুখোমুখি হয়নি তাই কোন আগামী অভিজ্ঞতাও ছিল না। যাইহোক খুব দ্রুত ব্যস্ততা কাটিয়ে ওঠার চেস্টা করছি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য।
সত্যিই আপু, রেস্টুরেন্টের পরিবেশটি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। আর ভাইয়ার অর্ডার করা রাতের খাবারগুলো খুব একটা ভারী মানের না হলেও খাবারগুলো বেশ সুস্বাদু মানের ছিল। পুরনো দিনের চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।