রেসিপিঃ জালি কুমড়ার চাক ভাজা
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি ব্লগে স্বাগতম। আমি আপনাদের সাথে জালি কুমড়ার নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করব। আমরা সব সময় জালি কুমড়া ঝুড়ি করে ভাজা বা সবজিতে খেয়ে থাকি। আজকে আমি জালি কুমড়ার চাক ভাজা করেছি।মাঝেমধ্যে রান্নায় ভিন্নতা আনলে খেতেও ভালো লাগে। আমি যে কোনো সবজি বিভিন্নভাবে রান্না করতে ভীষণ পছন্দ করি। কিছুদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখছিলাম এই রেসিপিটি। ভাবলাম যে রান্না করে দেখি খেতে কেমন লাগে। বেশ ভালই লেগেছে খেতে সরিষা বাটা দিয়ে রান্না করেছিলাম।
তো চলুন বন্ধুরা বেশি কথা না বাড়িয়ে মূল রেসিপিতে চলে যাই।
উপকরনসমূহঃ |
---|
জালি কুমড়া |
আদা-রসুন |
গোটা সরিষা |
কাঁচামরিচ |
জিরা-ধনিয়ার গুঁড়া |
শুকনা মরিচের গুঁড়া |
হলুদ গুঁড়া |
লবণ |
তেল |
ধাপ-১
প্রথমে জানে কুমড়ার খোসা ছাড়িয়ে আমি গোল গোল করে কেঁটে নিয়েছি বেশ পাতলাও না আবার মোটাও না সেইভাবে।
ধাপ-২
একটা পাতিলে সামান্য হলুদ গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে ৮০% সেদ্ধ করে নিয়েছি। বাকিটা ভাজতে ভাজতেই সেদ্ধ হয়ে যাবে।
ধাপ-৩
আমি কিছু গোটা সরিষা আগে থেকে ভিজিয়ে রেখেছিলাম। আর সেই ভিজিয়ে রাখা সরিষা, কয়েকটি কাঁচামরিচ, আদা কুচি এবং রসুন কুচি গুলো ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিয়েছি।
ধাপ-৪
এবার সেই ব্লেন্ড করা মসলার সাথে সব গুঁড়া মসলা দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৫
এবার একে একে আগে থেকে ভাপানো জালি কুমড়া একটি একটি করে নিয়ে মসলা দিয়ে এপিট ওপিটে ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছি।
*ধাপ-৬
এরপর কুমড়ার চাকগুলো ভাজার জন্য আমি চুলায় একটি ফ্রাইপ্যানন বসিয়েছি এবং দিয়েছি পরিমাণ মতো তেল। তেল গরম হয়ে গেলে আমি একে একে কুমড়ার চাক গুলো দিয়ে সময় নিয়ে এপিট ওপিট করে ভালোভাবে ভেজে নিয়েছি।
এরপর গরম গরম পরিবেশন করেছি। সত্যি কথা বলতে আসলে রেসিপিটা খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু হয়েছিল। আপনারা অবশ্যই এভাবে বাসায় বানিয়ে খেতে পারেন। আমার বিশ্বাস আপনারা এটা পছন্দ করবেন। হ্যাঁ কে কে এভাবে আগে থেকে রান্না করে খেয়েছেন আমাকে সেটাও মন্তব্য মাধ্যমে জানাবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন রেসিপি নিয়ে।
এটা কিন্তু সত্যি বলেছেন আপু, মাঝে মাঝে রান্নায় ভিন্নতা আনলে তা খেতেও ভীষণ ভালো লাগে। আজ জালি কুমড়ার চাক ভাজা রেসিপি আগে কখনো খাওয়া হয়নি আমার। খুবই ইউনিক এবং লোভনীয় একটা রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। দেখেই বুঝতে পারছি খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে রেসিপিটা। খুবই মজাদার একটা রেসিপি দেখতে পারলাম আপনার এই রেসিপি পোষ্টের মাধ্যমে। উপস্থাপনা ও খুবই সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন, যা দেখে যে কেউ এটি তৈরি করে নিতে পারবে।
হ্যাঁ ভাইয়া রান্নায় ভিন্নতা আনার জন্য প্রথমবারের মতো আমি এই রেসিপিটা বানিয়েছিলাম এবং খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপু আজ জালি কুমড়া চাক ভাজার রেসিপি নিয়ে এলেন।আসলে জালি কুমড়া এভাবে মসলা দিয়ে ভাজা হয়নি কখনও।খেতে বেশ মজারই হবে দেখে মনে হচ্ছে। আমি সব সময় রান্না করেই খেয়েছি।একদিন দেখবো এভাবে ভাজা খেয়ে। ধন্যবাদ আপু রেসিপিটি ধাপে ধাপে তুলে ধরার জন্য। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু এভাবে জালি কুমড়া ভাজা করলে অনেক মজা লাগে খেতে। অবশ্যই একদিন বাসায় বানিয়ে খেয়ে দেখবেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
জালি কুমড়ার, চাক ভাজি যেটা দারুন খাবার। আমার খুবই ফেভারিট অনেক সুন্দর করে জালি কুমড়ার শাক ভাজি করেছেন দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে। সুন্দর একটা রেসিপি ছিল আজকে।
রেসিপি দেখে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
জালি কুমড়া আনলে সবসময় বাসায় ভাজি করেই খাওয়া হয়। অন্য কিভাবে খাবো খুজে পাইনা। এভাবে চাক করে কখনো ভাজি করে খাওয়া হয়নি। আপনার আজকে চাক করে ভাজি খাওয়ার আইডিয়াটি ভালো লেগেছে আমার কাছে। দেখে মনে হচ্ছে যে খেতে বেশ মজাদার হয়েছিল। একদিন বাসায় রান্না করে খেতে হবে। ধন্যবাদ আপু লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমি নিজেও এটা প্রথমবার রান্না করেছি। সত্যি বলতে খেতে বেশ ভালই হয়েছিল। যেহেতু সরিষা বাটা দিয়েছিলাম তাই স্বাদটা একটু অন্যরকম ছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
জালি কুমড়া চাক ভাজা আমারও অনেক প্রিয়। গরম ভাতের সাথে খেতে অনেক মজা লাগে। আপনার রেসিপি পরিবেশন দেখে ভালো লাগলো।
জ্বি ভাইয়া এই জালি কুমড়ার চাক ভাজা গরম ভাতের সাথে খেতে অনেক মজা লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু জালি কুমড়ার চাক ভাজি খেয়েছি কিন্তু আপনার মতো সরিষা দিয়ে কখনো খায়নি। যাইহোক এভাবে একদিন তৈরি করব।আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু এভাবে জালি কুমড়া সরিষা বাটা দিয়ে ভাজি করে খেয়ে দেখবেন খেতে অনেক মজা লাগে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন জালি কুমড়ার চাক ভাজা রেসিপি। আসলে এই রেসিপি খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। যদি সকাল সকাল কুমড়ার চাক ভাজি আর গরম ভাত হয় তাহলে খেতে বেশ মজা লাগে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে তৈরি করে ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ডাল অথবা চিংড়ি মাছ দিয়ে জালি কুমড়া রান্না করে খাওয়া হয়েছে। তবে আপনার মত এভাবে জালি কুমড়ার চাক ভাজি কখনো খাওয়া হয়নি। নতুন একটি রেসিপি আপনার কাছ থেকে শিখে নিলাম। আপনার এই রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখব। সুস্বাদু ও মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জ্বী আপু অবশ্যই একদিন বাসায় এভাবে বানাবেন এবং শেয়ার করবেন রেসিপিটা। আশা করছি আপনার খুব ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
জালি কুমড়া ভাজি এবং রান্না করে খেয়েছি তবে কখনো এভাবে চাক ভাজা রেসিপি করে খাইনি। তবে আপনার রেসিপি দেখে খেতে আমার খুব ইচ্ছে করতেছে । তবে আমিও বাড়িতে এভাবে বানিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করব রেসিপিটি। সত্যি বলতে মনে হয় আপনার রেসিপিটি খেতে অনেক মজাই হয়েছে। ঠিক বলেছেন মাঝেমধ্যে ভিন্নরকম রেসিপি করে খেতে মজাই আলাদা। অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।