দাদি শাশুড়ির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ইফতারের আয়োজন
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজকে আমি আমার শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলাম এবং সেখানে আমার দাদি শাশুড়ির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ইফতারের আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেখানে আমি কিভাবে সময় কাটালাম সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। বাহিরে যে পরিমাণ গরম পড়েছে তাতে করে বাহিরে বের হওয়া খুব মুশকিল হয়ে পড়েছে কিন্তু দায়িত্ববোধ রক্ষা করতে গিয়ে আমাকে বাহিরে বের হতে হয়েছিল আজকে। কোন ইচ্ছে ছিল না যাওয়ার ছোট বাবুকে নিয়ে সেই গ্রামে।যেখানে প্রচুর লোডশেডিং হয়।
আপনাদের ভাইয়া তো আমাকে কিছুতেই যেতে দেবে না কিন্তু আমার বাবা (শশুর) খুব মন খারাপ করছিল এজন্য আমাকে যেতে হয়েছিলো।আর তাছাড়া প্রতিবছরই এই দিনটি আমার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা অনেক বড় করে আয়োজন করে থাকে। এবার যেহেতু রমজান মাসে পড়েছে তাই ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে গিয়ে এক ঘন্টা দুয়েক প্রায় ভালই সময় কেটেছে শুয়ে বসে কিন্তু বিকেলে যেহেতু অনেক মানুষের আয়োজন তার জন্য একটু তোরজোড় শুরু হয়ে গিয়েছিল। যদিও আমাকে বেশি কিছু করতে হয়নি কারণ বাবুর জন্য অনেকটাই কাজে বেঁচে গিয়েছিলাম। সবাই বলছিল যে ছোট বাচ্চা নিয়ে কাজ করার দরকার নেই। মনে মনে বেশ খুশি হয়েছিলাম কিন্তু চাইলেই তো আর বসে থাকা যায় না ছোট ছোট কাজগুলো করছিলাম।
যেহেতু অনেক মানুষের আয়োজন ছিল তাই বেশি খাবার গুলো রান্নার জন্য বাইরে থেকে বাবুর্চি আনা হয়েছিল। আর ঘরে যে রান্না গুলো হয়েছিল সেগুলো আমার ফুফু শাশুড়ি এবং আমি মিলে করেছিলাম। আসলে আমার ফুফু শাশুড়ির খুব শখ হয়েছিল আমার হাতে রান্না খাওয়ার। এজন্য আমি কিছু রান্না তার এবং বাড়ির সবার জন্য করেছিলাম। আর আমার ছেলের কথা কি বলব সে তো খোলামেলা জায়গা পেলে বরাবরই অনেক খুশি হয়। আর এখানে ওর অনেক ছোট ছোট ফুফু এবং চাচ্চুরা যারা ওকে ভীষণ আদর করছিল এবং ওদের সাথে খুব এনজয় করছিল।
সবার জোড়াজোড়িতে পড়ে অবশ্য আপনাদের ভাইয়াকেও যেতে হতে হয়েছিল। ও ইফতারের কিছু আগে গিয়ে ইফতার পর খাওয়া-দাওয়া শেষে আমাদের নিয়ে চলে এসেছে বাসায়। আসলে ওখানে এত পরিমাণ গরম থাকার কোন পরিবেশই ছিল না। আর আমিও চাইছিলাম না যে ছোট বাচ্চাকে নিয়ে এত গরমের মধ্যে এত লোকজনের মধ্যে থেকে যাই।যার কারনে চলে এসেছিলাম। সেখানে রাত না থাকলেও সারাদিনটা কিন্তু আমার বেশ ভালই কেটেছে সবার সঙ্গে অনেক হাসি গল্প আনন্দ এবং বিশেষ করে আমার ছেলে খুবই আনন্দ করেছে ছোট ছোট বাচ্চাদের সাথে। আর ওরাও বাবুকে পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছিল।
তো এই ছিল আমার শ্বশুরবাড়িতে কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্ত। যা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। আর ভালো লাগলে অবশ্যই আপনাদের সুন্দর মতামতের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।









নিজেদের এরকম একটা পারিবারিক অনুষ্ঠানে না যেয়ে পাড়াও যায় না। আবার ছোট বাচ্চাকে নিয়ে গেলেও সমস্যা। এখন যে গরম পড়েছে বাচ্চাদেরকে একটু সাবধানে রাখতে হয় ।তারপরও তো আপনি অনেক সুন্দর ভাবে বাচ্চাকে নিয়ে অনুষ্ঠানটা শেষ করে ফিরে আসতে পেরেছেন আর বাচ্চাও খুব খুশি হয়েছে।
ঠিক বলেছেন আপু নিজেদের অনুষ্ঠানে না গেলেও হয় না আবার ছোট বাবুকে নিয়ে গেলে অনেক সমস্যা। তারপরও অনেক কষ্ট করে সবকিছু সামলে আসতে পেরেছি যার কারণে অনেকটা ভালো লাগছে।
ভাইয়ার নিষেধ থাকা সত্ত্বেও আপনি আপনার বাবার কথা চিন্তা করে সেখানে গিয়েছিলেন এ ব্যাপারটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অবিবাহিত করেছেন এবং ইফতার পার্টি দিয়েছেন দেখে খুবই খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সবক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা সবসময় শুনা যায় না।শ্বশুরবাড়ির অনুষ্ঠান ছিল তাই যেতে হয়েছিল আমাকে। সে না গেলেও কোন সমস্যা ছিল না কিন্তু আমি যে বাড়ির বউ আমাকে তো যেতেই হতো।
নিজেদের এরকম পারিবারিক অনুষ্ঠানগুলোতে যেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার বাবার শ্বশুরের কথাই সেখানে গিয়েছিলেন যেন ভালো লাগলো। আসলে গরমের জন্য ছোট বাচ্চা নিয়ে যে কোথাও গেলে খুব অসুবিধা হয়। যে প্রচুর গরম পরছে বড়দের সমস্যা হচ্ছে আর ও তো ছোট। যাই হোক পরিবারের সবাইকে নিয়ে মৃত্যুবার্ষিকীর ইফতারের আয়োজন বেশ ভালোভাবে উদযাপন করার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি আপু এরকম নিজেদের পারিবারিক অনুষ্ঠানগুলোতে যোগদান করে অনেক ভালো লাগে। আমারও ভালো লাগছিল কিন্তু বাবুর কথা চিন্তা করে আসলে মন চাইছিল না যেতে। তারপরও বাধ্য হয়ে যেতে হয়েছিল। বাহিরে যে পরিমাণ গরম বের হওয়া খুব মুশকিল হয়ে পড়েছে।
আপু আপনার দাদি শাশুড়ির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ইফতারের আয়োজনে আপনরা উপস্থিত হয়েছেন জেনে খুব ভাল লাগলো। বছরে একটি দিন যতই গরম বা সমস্যা হোক গিয়ে খুব ভাল করেছেন। ধন্যবাদ আপু।
জ্বী ভাইয়া যেহেতু একটা পবিত্র অনুষ্ঠান হচ্ছিল তাই শত গরম উপেক্ষা করে আমি সেখানে উপস্থিত হয়েছিলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
এই গরমের মধ্যেও আপনার দাদী শাশুড়ির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত ইফতারের অনুষ্ঠানে যাওয়া লেগেছে।আসলেই পারিবারিক অনুষ্ঠান গুলোতে না যেয়েও পারা যায় না।তবে আবার যে গরম পড়েছে বাচ্চা নিয়ে তো একটু অস্বস্তিতে পড়তেই হয়।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপু।
যেহেতু শ্বশুরবাড়ির অনুষ্ঠান ছিল হাজার গরম উপেক্ষা করেও আমাকে সেখানে উপস্থিত হতে হয়েছিল। কারণ বাড়ির বউ হিসেবে আমারও কিছু দায়িত্ব-কর্তব্য থাকে যেগুলো পালন করা উচিত। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।