প্রেমের বিয়ে সবসময় সুখের নাও হতে পারে💔 || প্রথম পর্ব
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। প্রেম প্রীতি আত্মার বন্ধন। কখন যে কে কার সাথে কিভাবে এই বন্ধনে জড়িয়ে যায় নিজের অজান্তেই। কেউ কাউকে চেনে না জানে না অথচ যুগের পর যুগ বছরের পর বছর কাটিয়ে দেয় একে অপরের হাত ধরে। এটা সম্ভব হয় আত্মার বন্ধন আছে বলেই।আবার অনেক সময় এই বন্ধন কাটিয়ে একে অপরের থেকে আলাদা হয়। আমার গল্পের টাইটেল দেখে হয়তো বুঝতে পেরেছেন আমি কি নিয়ে কথা বলব। আমরা ভালোবেসে কাউকে বিয়ে করলে অনেক সুখের জীবন হবে এটা ভেবে থাকি। কিন্তু অনেক সময় ধারণাটা ভুলও হতে পারে। আর সেরকমই একটি ঘটনা আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
শামীম ধনী পরিবারের ছেলে।তার বাবা মায়ের সাথে শহরে বসবাস করে। সে ছোটবেলা থেকে খুব একটা পড়াশোনা করতে চাইতো না। বেশ বখাটে টাইপের ছিল। সবসময় মোটরসাইকেল নিয়ে ঘোরাঘুরি, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত থাকতো। তার বাবা মা দুজনের সরকারি চাকরিজীবী তাই তারা চাইলেও ছেলেকে সেই ভাবে সময় দিতে পারত না। হয়তো এজন্য তার এমন অবস্থা। যাইহোক শামীম একদিন সিএনজি স্ট্যান্ডে মোটরসাইকেল নিয়ে বসে আছে বন্ধুদের সাথে। এমন সময় একটি মেয়ে তার চোখে পড়ে। মেয়েটির লাল জামা পড়ে কপালে লাল টিপ পড়ে অপেক্ষা করছে গাড়ির জন্য।
এক দেখাতেই শামীম যেন তার প্রেমে পড়ে যায়। এরই মধ্যে গাড়ি আসলে মেয়েটি গাড়িতে চড়ে চলে যায়। শামীম দেরি না করে সেই গাড়ির পিছনে যেতে থাকে মোটরসাইকেল নিয়ে। মেয়েটি গাড়ি থেকে নেমে তার গ্রামের ভিতরে চলে যায়। শামীম তাকে লক্ষ্য করতে করতে তার বাড়ির সামনে যায়। এরপর সেখান থেকে চলে আসার সময় একজন লোককে জিজ্ঞেস করে তার বাড়ির ফোন নাম্বার নিয়ে আসে।গ্রামের মানুষ সহজ সরল হয় তাই কোন ভূমিকা না করেই সে চাওয়া মাত্রই তাকে ফোন নাম্বার দিয়ে দেয়।
শামীম বাড়িতে এসে সন্ধ্যা বেলায় ওই নাম্বারে ফোন করে। ফোন রিসিভ করে ফোনের ওপার থেকে একটি মেয়ের কন্ঠে ভেসে আসে। শামীম তার নাম জানতে চাই। মেয়েটি বলে তার নাম মিষ্টি রং নাম্বার বলে ফোনটা কেটে দেয়। আসলে মিষ্টি দের বাড়িতে একটাই ফোন সবাই ব্যবহার করে। এজন্য ঘটনাচক্রে মিষ্টি ফোনটা রিসিভ করেছে। শামিমের আর বুঝতে বাকি নেই যে এই সেই মেয়ে যাকে সে এক নজর দেখেই ভালোবেসে ফেলেছে। এরপর থেকে প্রতিনিয়ত ফোন করে তার সাথে কথা বলতো। এভাবে কথা বলতে বলতে তারা সম্পর্কে জড়িয়ে যায়।
মিষ্টির বাড়ি থেকে মিষ্টি বিয়ের কথা চলছে। শামীমকে সবকিছু জানায় এবং বলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মিষ্টি কে যেন তার ঘরের বউ বানিয়ে নেয়।শামীম খুবই জেদি। তার বাবা মাকে সাথে নিয়ে সে মিষ্টির বাড়িতে যায়।ছেলের বাবা মা দুজনেই সরকারি চাকরিজীবী ছিল মোটামুটি দেখতে শুনতে ভাল তাই মিষ্টির পরিবার থেকে আর কোন আপত্তি না করায় ঘরোয়া ভাবে তাদের বিয়ে হয়।এরপর থেকে দু এক বছর খুব হাসিখুশিতে তাদের জীবন কাটে।
তাদের বিয়ে দু'বছর কেটে গেলে শামীমের বাবা-মার শামীমকে বলে সে এবার যেন কিছু একটা করে। এভাবে বাবা মায়ের উপর দিয়ে আর কতদিন চলবে। শামীম ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেয় সে ঢাকায় গিয়ে কোন একটা চাকরি করবে। আসলে তার পড়াশোনাও খুব একটা বেশি নেই। তবে ঢাকায় যাওয়ার পর সে খুব ভালো একটা চাকরি পায়। এরপর সে মিষ্টি কে নিয়ে ঢাকায় চলে যায় এবং সেখানে তাদের বেশ সুখের একটি সংসার গড়ে ওঠে। তবে ঐ যে কথা আছে সুখ বেশিদিন কারো কপালে সহ্য হয় না। হয়তো তাদের ক্ষেত্রেও এটাই হল।
পরবর্তীতে কি হলো এটা জানার জন্য পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।আশা করছি প্রথম পর্ব টা ভালো লাগবে এবং দ্বিতীয় পর্বটি জানার পর অনেকেই অবাক হয়ে যাবেন। তো আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে পরবর্তীতে।
এখন বর্তমানে ঘটতেই চলেছে প্রেমের বিয়ে কয়েক মাস সুখময় হলেও কিছুদিন পর এটাই বিচ্ছেদ ঘটে যায়। একটা কথা ঠিক বলেছেন কেউ কাউকে না জেনে কত আপন ভেবে জীবনের পর জীবন কাটিয়ে দেয় একসঙ্গে। বাবা-মার চাকরি করলেও ছেলের দিকে নজর রাখা এমন অনেক পরিবারের ছেলে বকাটে হয়ে যায় বাবা-মার কারণে। আমিও জিনিসটা ফেস করতেছি। আসলে বাবা মার ওপর কতদিন চালানো যাবে। এখন তো নিজেই নিজেই কিছু করতে হবে। এইজন্য আগে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ে করা উত্তম কিন্তু বিয়ে করা ভালো এজন্য বিয়ে করে ফেলছি। সৃষ্টিকর্তা একটা না একটা ব্যবস্থা ঠিক করে দেবে। পরবর্তী পর্বের জন্য খুবই আকর্ষণ টানছে আমাকে। মনে হচ্ছে আরো দুঃখের ছায়া নেমে আসবে তাদের জীবনে।
প্রথম পর্বটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। খুব শিগ্রই দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করার চেষ্টা করব।
এটি একদম ঠিকই বলেছেন। প্রেমের বিয়ে সব সময় সুখের নাও হতে পারে। শামিম আর মিষ্টির
ভালবেসে বিয়ে করার গল্পটি পড়ে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে । দুজনে বেশ সুখের সংসার করছে এবং শামীম ভালো একটা চাকরি ও পেয়েছে পরবর্তীতে তাদের সংসারে কি হলো তা জানার অপেক্ষায় রইলাম ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
প্রথম পর্বটি পড়ে ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম আপু। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বর্তমান সময়ে এরকম প্রেমের সম্পর্ক করে অনেক বিয়ে হয়। শামীমের মা-বাবা দুইজন চাকরি করে হয়তোবা এই কারণে শামীমকে ঠিকমতো সময় দেয় নাই বিদায় সে ভালোমতো মানুষ হয় নাই। এবং বৃষ্টিকে সে গাড়ি স্ট্যান্ড দেখে পছন্দ করেছে। একজন মানুষ অন্যজনকে পছন্দ করতে পারে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু পারিবারিকভাবে সে বৃষ্টিকে প্রেম করে বিয়ে করে ফেলেছে। আসলে অনেক প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করার পর সুখ পাখি বেশিদিন থাকে না। যাইহোক এখন পর্যন্ত শামীম এবং বৃষ্টির সংসারে অশান্তি দেখতেছি না। দেখা যাক পরের পর্বে কি ঘটে সেই অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি পরের পর্ব খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
এমন অনেক সম্পর্ক আছে প্রথম প্রথম অনেক সুখের হলেও পরে সেগুলো অনেকটা বিষময় হয়ে ওঠে। যা কিছুতেই টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। পরের পর্বে বিস্তারিত আলোচনা করব। প্রথম পর্বটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমাদের বাংলাদেশে অনেক প্রেমের বিয়ে লাস্ট পর্যন্ত সুখের হয় না। যদিও শামীম বড় ফ্যামিলির ছেলে। তার বাবার অনেক টাকা পয়সা কিন্তু তার মাঝে শিক্ষা নেই। আর বৃষ্টি সাধারণ ফ্যামিলির মেয়ে এইখানেও পার্থক্য আছে। তবে ভালোবাসা জাত বংশ এগুলো চিনে না। হয়তো শামীম আবেগের কারণে তার ফ্যামিলিকে দিয়ে বৃষ্টিকে বিয়ে করিয়েছে। যদিও ঢাকা যাওয়ার পর থেকে মনে হয় শামীম এবং বৃষ্টির সংসার সুখ থেকে দূরে চলে যাবে। যাইহোক পরের পর্বে কি ঘটে সেই অপেক্ষায় রইলাম।
অনেক সময় অনেকে নিজের সংসার নিজে হাতেই নষ্ট করে। আবার সংসারে তৃতীয় ব্যক্তি ঢুকে গেলেও সংসারে অশান্তির সৃষ্টি হয়। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করলেই সবকিছুই জানতে পারবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার কথার সাথে আমি একমত আপু। আসলেই প্রেম করে বিয়ে করলে সব সময় সুখী হয় না। পারিবারিকভাবে বিয়ে হলে যতটা সুখী হওয়া যায়। কিন্তু সম্পর্কের বিয়ের মধ্যে ততটা সুখ পাওয়া যায় না। তবে গল্পটি খুব ভালো লাগলো হঠাৎ করে তাদের মধ্যে বিয়ে হয়ে গেল। আশা করি পরবর্তী পর্ব খুব তাড়াতাড়ি পড়তে পারব। অনেক সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করলেন।
খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্বটি শেয়ার করব আপু। আশা করছি প্রথম পর্বের মতো পরবর্তী পর্বটাও ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ।