রেসিপিঃ চালের গুঁড়া দিয়ে মজাদার পিঠা
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি ব্লগে স্বাগতম। অনেকদিন হলো আপনাদের সাথে কোনো রেসিপি শেয়ার করা হয় না। তাই ভাবলাম চটজলদি কিছু একটা বানিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করি। বিকেলে আমাদের চায়ের সাথে কিছু মুখরোচক নাস্তা বেশ ভালো জমে বিকেলটা। সেই কথা মাথায় রেখে আজ আমি বানিয়েছিলাম চালের গুঁড়া দিয়ে মজাদার একটি পিঠার রেসিপি। আশা করছি রেসিপিটা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। তো আমি রেসিপিটা কিভাবে বানিয়েছি সব ধাপগুলো গুছিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। এতে করে রেসিপিটা ভালো লাগলে খুব সহজেই বানিয়ে ফেলতে পারবেন বাসায়।
তো চলুন বন্ধুরা কথা না বাড়িয়ে মূল পর্বে চলে যাই।
উপকরণ |
---|
চালের গুঁড়া |
ডিম |
চিনি |
আদা-রসুন বাটা |
জিরার গুঁড়া |
শুকনা মরিচের গুঁড়া |
হলুদ গুঁড়া |
লবণ |
তেল |
ধাপ-১
প্রথমে একটি বাটিতে পরিমাণ মতো চালের গুঁড়া নিয়ে একটি ডিম ভেঙে দিয়েছি।
ধাপ-২
এরপর দিয়ে দিয়েছি পরিমাণ মত চিনি।
ধাপ-৩
এবার দিয়ে দিয়েছি একে একে সব গুঁড়া মশলা বাটা মসলা।
ধাপ-৪
এবার পরিমাণ মতো পানি দিয়ে চালের গুঁড়ার সঙ্গে সবগুলো মসলা এবং ডিম ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৫
এরপর পিঠাগুলো ভাজার জন্য চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়েছি এবং দিয়ে দিয়েছি তেল। তেল গরম হয়ে গেলে আমি দুই চামচ পরিমাণ বেটার দিয়ে দিয়েছি কড়াইয়ে।
ধাপ-৬
একপাশে ভাজা হয়ে গেলে অপর পাশ উল্টে দিয়ে ভালোভাবে ভেজে নিয়ে তুলে নিতে হবে। একে একে আমি সবগুলো পিঠা একই ভাবে ভেজে নিয়েছি।
❤️পরিবেশন❤️
পিঠাগুলো পরিবেশন করার জন্য আমি মাঝ বরাবর পিঠাগুলো কেটে নিয়ে একটি প্লেটে দিয়ে সাথে টমেটো সস দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করেছি।
চালের গুঁড়ার এই পিঠাগুলো খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। মাঝেমধ্যে বাসায় বানিয়ে খাওয়া হয়। আর আমার বাবুও ভীষণ পছন্দ করে। যার জন্য মাঝেমধ্যে ওকে বানিয়ে দেই। যখন কোনো কিছু খেতে চায় না তখন এটা বানিয়ে দিলে ও ভীষণ মজা করে খায়।যাই হোক আপনাদের কাছে রিসিবটা ভালো লাগলে অবশ্যই সুন্দর মতামতের মাধ্যমে আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
আপনার বানানো চালের গুড়ি দিয়ে পিঠা গুলো বেশ পাতলা হয়েছে তো আপু। এই পিঠা যত পাতলা হয়, ততই মজা হয়। বিশেষ করে মাংসের ঝোল দিয়ে খেতে। হাসের মাংস আর এই পিঠা দারুণ কম্বিনেশন। বার্গার-পিৎজা-স্যান্ডুইচ এর যুগে আমাদের দেশিয় এই নাস্তা গুলো দিনকে দিন হারিয়ে যাচ্ছে।
ঠিক বলেছেন দিদি নতুন খাবারের মাঝে এই দেশীয় খাবার গুলো হারিয়ে ফেলছি দিন দিন। তবে এটি আমার খুবই পছন্দের খাবার। মাঝেমধ্যে বাসায় বানিয়ে খাওয়া হয়। ধন্যবাদ দিদি সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
চালের গুড়া দিয়ে মজাদার পিঠা রেসিপি তৈরি করেছেন। এই রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। ধাপে ধাপে পরিবেশন দেখে শিখতে পারলাম।
ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন চালের গুঁড়া দিয়ে মজাদার পিঠা তৈরির রেসিপি। আসলে এই পিঠা আমি আগে অনেকবার খেয়েছি আমার আম্মু বেশ ভালো পারে এই পিঠা তৈরি করতে। আসলে ডিম দিয়ে তৈরি করার কারণে খেতে সব থেকে বেশি ভালো লাগে আপু। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
জ্বী ভাইয়া এই পিঠা খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে।আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
খুবই ভালোভাবে আপনি আপনার এই রেসিপি তৈরির ধাপগুলো প্রকাশ করেছেন৷ একই সাথে রেসিপিটির মধ্যে যেই উপাদানগুলো আপনি ব্যবহার করেছেন প্রত্যেকটি উপাদান আমাদের ঘরে রয়েছে। আমিও এই রেসিপিটি তৈরি করে দেখব আপনারাই পোস্ট থেকে কিভাবে আপনি তৈরি করেছেন সেই ধাপগুলো অনুসরণ করে৷ আপনি প্রথমে যে ডেকোরেশনটি প্রকাশ করেছেন সেটি দেখে আমার এটিকে এখনই খেতে ইচ্ছে করছে৷
জ্বি ভাইয়া ঘরে থাকা উপকরণ দিয়ে এই পিঠাগুলো বানানো যায় এবং খুবই সুস্বাদু হয় খেতে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি বেশ মজার একটি রেসিপি তৈরি করলেন আপু। চালের গুঁড়া দিয়ে ঝাল পিঠা বানালেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে। এভাবে আসলে কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি। দেখেই মনে হচ্ছে অনেক মজার হয়েছে। আপনার রেসিপি টি দেখে একদিন তৈরি করতে হবে।
চালের গুঁড়া দিয়ে এভাবে পিঠা বানিয়ে খেয়ে দেখবেন আপু খুবই সুস্বাদু এবং মজার হয়।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু ছোটকাল থেকে আমি পিঠা খেতে অনেক ভালোবাসি। আমার অত্যাচারে মা পিঠা লুকিয়ে রাখতো। আপনি খুব সুন্দর একটা পিঠা তৈরি করেছেন। এই পিঠাটি আমার খুবই প্রিয় পিঠা তৈরির ধাপ গুলো খুব চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আমারও ছোটবেলা থেকেই এই পিঠা খুবই পছন্দের ছিল। যখন কোন কিছু খেতে ভালো লাগতো না আমার মা সুন্দর করে এই পিঠা বানিয়ে দিতেন এবং খুব মজা করে খেতাম। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
চালের গুঁড়ো দিয়ে পিঠার রেসিপিটি আমার খুব ভালো লাগলো। বর্তমানে মানুষ আগের মত পিঠা তেমন একটা খেতে চায় না। কারণ কষ্ট আছে এ পিঠা বানাতে। তাই রেডিমেট নাস্তা এনে খাওয়া দাওয়া করে। তবে নিজেরা বানালে এটার স্বাদ এবং পুষ্টিগুণ যথাযথ থাকে। ধন্যবাদ আপু আমাদের মধ্যে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই পিঠাগুলো তৈরি করতে অনেক কষ্ট হয় যার কারণে খুব একটা খাওয়া হয় না। আমরা রেডিমেড যে নাস্তা গুলো পাই সেগুলো খেতেই সবসময় বেশি সুবিধাবোধ করি।যাই হোক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।