শেকড়ে ফিরে যাওয়া-গল্প (দ্বিতীয় পর্ব)
তখন সে শাকিবকে বলে ঠিক আছে বসো। সাকিব বসে তার টাইপ করা চিঠিটা বসের হাতে দিয়ে বলে বস আমি আর চাকরি করবো না। এই যে আমার পদত্যাগ পত্র। সাকিবের বস চিঠিটা হাতে নিয়ে খুলে দেখে সত্যিই সাকিব রিজাইন দিয়েছে। তখন শাকিবের বস সাকিবকে বুঝিয়ে বলতে থাকে এটা সেলসের চাকরি। এখানে এতো অল্পতে মন খারাপ করলে চলবে? আমি তোমাকে ব্যক্তিগতভাবে খুব পছন্দ করি। তবে কাজের ক্ষেত্রে টুকটাক রাগারাগি হতেই পারে। এটাকে এত সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই। তুমি মনোযোগ দিয়ে কাজ করো। তখন সাকিব তার বসকে জানায়। বস আমি গতকালকের জন্য রিজাইন করিনি।
অনেকদিন থেকেই চিন্তা করছিলাম জীবনটা অনেকটা রোবোটিক হয়ে গিয়েছে। এই জীবনটা আর ভালো লাগছে না। ব্যস্ত এই জীবনে নিজের জন্য বা পরিবারের জন্য একেবারেই সময় দিতে পারি না। তাই অনেকদিন থেকেই চিন্তা করছিলাম গ্রামে ফিরে যাবো। ওখানে গিয়ে নিজের মতো করে বাঁচার চেষ্টা করবো। সাকিবের বস বুঝতে পারে সাকিব তার সিদ্ধান্ত বদলাবে না। তখন সে সাকিবকে বলে তোমার পুরো প্ল্যানটা আমার সাথে শেয়ার করো। তখন শাকিব তার বসকে বলে গ্রামে আমাদের কিছু জমি জমা আছে। আর ব্যাংকে আমার জমানো কিছু টাকা রয়েছে। সেই টাকা দিয়ে গ্রামে গিয়ে আরো কিছু জমি কিনবো। তারপর গ্রামে আমার বাড়িটা একটু ঠিকঠাক করে নেবো। বাড়ির পাশেই রয়েছে পুকুর। সেই পুকুরে নিজেদের খাওয়ার জন্য মাছ ছাড়বো। সেই সাথে বাড়িতে হাঁস মুরগি গরু ছাগল সবকিছুই থাকবে। এগুলো থেকে জীবনটা মোটামুটি ভাবে চলে যাবে।
আইডিয়াটা সাকিবের বসেরও বেশ পছন্দ হলো। তিনি সাকিবকে বললেন তুমি আমার সাথে যোগাযোগ রেখো। আর কখনো কোন সমস্যা হলে আমাকে জানিও। এই অফিসের দরজা তোমার জন্য সব সময় খোলা থাকব। তোমার পারফরম্যান্স সব সময়ই ভালো ছিলো। তোমার জন্য আমার শুভকামনা থাকবে ।এই কথা বলে বস সাকিবকে বিদায় দিলো। অফিস থেকে বের হওয়ার সময় সাকিব চিন্তা করতে থাকে তার বসকে সে এতোদিন ভুল বুঝে এসেছে। বস তো আসলেই তাকে ভালো জানে। যার ফলে সাকিবের মন থেকে বসের প্রতি থাকা সমস্ত ক্ষোভ চলে গেলো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।