ভয়াবহ আসক্তি

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

IMG_0378.jpeg

made by canva

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আজকাল আমাদের ঘরে ঘরে ফোন এবং হাতে হাতে ফোন। হয়তো এমন অনেক ঘর রয়েছে যেখানে মানুষের চেয়ে ফোনের সংখ্যা হয়তো দ্বিগুণ এবং এটা আসলে আজকাল স্বাভাবিক একটা ব্যাপার, একটা মানুষের দুই থেকে তিনটা ফোন। কিংবা আরো নানা রকম ডিভাইস তো রয়েছেই শুধু মোবাইল ফোন নয়।

আসলে যুগের সাথে সাথে যখন আমাদেরকে তাল মিলিয়ে চলতে হচ্ছে। তখন স্বাভাবিকভাবেই আমাদের দরকারের চেয়ে বেশি ডিভাইসের প্রয়োজন হচ্ছে। কারণ একটা ডিভাইস দিয়ে আসলে সবকিছু কন্ট্রোল করা দিনকে দিন অনেক বেশি সমস্যার এবং সময় সাপেক্ষ হয়ে যাচ্ছে। একটার জায়গায় যদি বেশ কয়েকটা ডিভাইস থাকে। সেক্ষেত্রে আমাদের কাজগুলো হ্যান্ডেল করা কিংবা কাজগুলো সময়ের মধ্যে করা এবং কম সময় এ করাটাও খুব সহজ হয়ে যাচ্ছে এবং এসব কারণেই কিন্তু ডিভাইসের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। অর্থাৎ আমি ডিভাইসের পজিটিভ দিকগুলো বললাম।

কিন্তু ডিভাইস গুলোর নেগেটিভ দিক রয়েছে এবং যেটা আমাদের সবার মধ্যেই বিরাজমান। কিন্তু এই নেগেটিভ দিকটা যাদের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে, তারা হলো আমাদের ঘরের ছোট ছোট বাচ্চাদের উপর। আজকাল একটু ভালোভাবে খেয়াল করলেই দেখবেন যে, আজকালকার ছোট ছোট বাচ্চাগুলোর একটু বয়স হতে না হতেই চশমা পরতে হয়। তার বড় একটি কারণ হলো তারা অসম্ভব রকম ভাবে এবং ভয়ঙ্কর ভাবে মোবাইল কিংবা টিভির আসক্তিতে ভুগছে।

এমনকি এমন অনেক বাচ্চা রয়েছে, আমি যদি আমার ঘরের বাচ্চাটার কথাই বলি। তাহলে তাকে যতক্ষণ ফোন দেওয়া হয় না। ততক্ষণ সে খেতে নারাজ এবং যখন তাকে খাওয়ানো হয়। তখন সে যে কি খাচ্ছে সেটাও সে মাঝেমধ্যে খেয়াল করে না। অর্থাৎ সাধারণ অর্থে তাকে যেটা খাওয়ানো যায় না। ফোন তার সামনে দিলে তাকে সেটা খুব সহজেই খাইয়ে দেওয়া যায়। তার মানে এটাই কিন্তু বুঝা যায় যে, তারা যখন ফোন হাতে পায়। তখন তাদের চারপাশটা তাদের কাছে অপ্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে।

আর এই ভয়াবহ নেশা কিংবা শক্তিটি আমাদের সমাজের জন্য খুবই ভয়ঙ্কর। কারণ একটা জাতি যদি শুধুমাত্র এভাবে আসক্তি নিয়ে বেড়ে ওঠে। তবে সেই জাতি ভবিষ্যতে কি করবে কিংবা সেই জাতি দেশকে কি দিতে পারবে, সেটা নিয়ে যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে। তাই সময় থাকতেই আসলে আমাদের পরিবারের মধ্যে ডিভাইসের ব্যবহারটা ততটুকু রাখা উচিত যতটুকু দরকার,তার বেশি নয়।
Sort:  
 2 months ago 

মোবাইল কিংবা ইলেকট্রিক ডিভাইসের প্রতি যখন বাচ্চারা বেশি আসক্ত হয়ে যায় তখন তারা কোন কিছুই খেয়াল করেনা। আসলে এটা খুবই ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। বর্তমান সময়ের বাচ্চারা তো আরো বেশি আসক্ত হয়ে পড়ছে।

 2 months ago 

আপনি ঠিকই বলেছেন এটি একটি ভয়াবহ আসক্তি এর ফলে আমাদের প্রজন্ম এবং সমাজ নষ্ট হচ্ছে। আর মানুষের বাসায় কত রকমের এখন ডিভাইস। ছোট ছোট বাচ্চারা এত পরিমান মোবাইলে আসক্ত হচ্ছে যে, আশেপাশে কি হচ্ছে কে, কি বলছে সেটা তারা শোনেই না। আর তাদের চোখ ও ব্রেনেও অনেক সমস্যা হচ্ছে আজকাল। মোবাইল এর অনেক ভালো দিকও আছে কিন্তু সেগুলা মানুষ করছে না খারাপ দিকটাই বেছে নিচ্ছে বেশি। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মন্তব্য গুলো আমার বেশ ভালো লাগছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 2 months ago 

গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আপনি আজকের লেখাটি শেয়ার করেছেন। আপনার লেখায় ডিভাইস আসক্তির কথা সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে ছোটদের বিষয়ে। প্রতি ঘরেই এখন মা-বাবারা, বাচ্চাদের ডিভাইস আসক্তি নিয়ে চিন্তিত আছে। এর থেকে পরিত্রানের উপায় খুজছে। আপনি একদম ঠিক বলেছেন ,এই আসক্তি নিয়ে বেড়ে উঠা প্রজন্ম জাতিকে কি উপহার দিবেন! পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 2 months ago 

প্রত্যেকটা জিনিসের ভালো এবং খারাপ দুটো দিকই রয়েছে। যদি আমরা জিনিসটিকে ভালো কাজে ব্যবহার করি তাহলে সেটা আমাদের নিজের দ্বারাই পরিচালিত হবে এবং খারাপ ভাবে করলেও সেটাই নিজের দ্বারাই পরিচালিত হবে। আমাদের উচিত হবে এটাই যে বাচ্চাদের থেকে সর্বদা ফোন দূরে রাখা বিশেষ করে বাড়িতে যেন টিভি বা মনিটর না থাকে। গল্পের বই এবং গল্প শুনিয়ে বাচ্চাদের ভাত খাওয়াতে হবে বা খাবার খাওয়াতে হবে। নতুবা ভবিষ্যতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিয়ে আমাদের কঠিন রকমের ভোগান্তি পোহাতে হবে। আপনার গতানুগতিক পোস্টটি আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

 2 months ago 

ডিভাইস গুলো আমাদের জন্য ভালো কাজে আসলেও ছোটদের জন্য বেশ প্রভাব ফেলতেছে নেগেটিভ।এই বয়সে আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন খেলাধুলা করতাম বিকাল বেলায় কিন্তু এখনকার জেনারেশনে প্রতিটা বাচ্চা ছেলে মেয়ে ফোনে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। সারাদিন টিকটক ফেসবুকে এবং গেমস খেলতেছে। তারা গেমস খেলা কিছুই বুঝতেছে না বাইরের পরিবেশের আবহাওয়া পাচ্ছেনা।তাদের জন্য বেশ সে ভয়াবহ একটা দিক এই স্মার্টফোন।

 2 months ago 

এখনকার বেশিরভাগ বাচ্চারা খাওয়ার সময় মোবাইল হাতে না পেলে খাবার ই খেতে চায় না। মোটকথা ছোটবেলা থেকেই মোবাইলের প্রতি তারা আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। বড় হওয়ার পর তো আরও ভয়াবহ অবস্থা হবে। অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করলে নানান ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই বাচ্চাদেরকে যতোটা সম্ভব মোবাইল থেকে দূরে রাখার অভ্যাস করতে হবে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 68220.71
ETH 3321.59
USDT 1.00
SBD 2.74