নিয়তি মানুন
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমরা অনেক সময় অনেক পরিশ্রম করি। কিন্তু আমরা যেটা একটু মানতে নারাজ হই। সেটা হচ্ছে, আমাদের নিয়তি। নিয়তি মানে হলো ভাগ্য। আসলে নিয়তিতে অনেক কিছু আগে থেকে লেখা থাকে। অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তা আমাদের ভাগ্যে এমন অনেক কিছুই লিখে রাখেন। যেগুলো কখনোই বদলানোর নয় কিংবা হয়তো আমরা কখনো বদলানোর চেষ্টা করি না। অর্থাৎ আমরা কখনোই সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি না।
আসলে আমাদের জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে আমাদের যেটা একেবারে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে হবে। সেটা হচ্ছে নিয়তি। অর্থাৎ আমাদের নিয়তি এমন আমাদের অনেক কিছুর জন্যেই দায়ী।হয়তো এমন অনেক কিছু অনেক সময় হয়ে যায়, যেটা হয়তো আমরা ডিজার্ভ করি না। যেটা হয়তো আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। কিন্তু নিয়তিকে মেনে নেওয়াই হলো বুদ্ধিমানের কাজ এবং মেনে নিয়ে কি করে সে খারাপ পরিস্থিতি থেকে নিজেকে মুক্ত করা যাবে। আমরা যদি সেই দিকটাতে ভাবি। তাহলে হয়তো আমরা আমাদের নিয়তিটাকে কিছুটা হলেও বদলাতে পারতাম।
কিন্তু আমরা সেটা করি না। আমরা সব সময় নিয়তিকে দোষ দিতে থাকি। কিন্তু নিয়তিকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। কেনো না সৃষ্টিকর্তা কিন্তু বলেই দিয়েছেন যে, এই পৃথিবীটি মোটেও আমাদের জন্য সুখের নয়। এই পৃথিবীতে আমাদের জন্য একটি পরীক্ষার ক্ষেত্র। তাই আমাদের অনেক সময় অনেক কিছুর ই মুখোমুখি হতে হবে।
নিয়তি হলো আমাদের ভাগ্য। আর ভাগ্যকে কোনোভাবেই অস্বীকার করা আমাদের কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। কারণ ভাগ্য হলো একটি লিখিত দলিল। যেটা সৃষ্টিকর্তা আমাদের জন্মের আগে থেকেই আমাদের জন্য লিখে রেখেছেন। কারণ এটা একটি অকাট্য প্রমাণ হলো, অনেক সময় দেখবেন যে আমি আপনি যতোই ভালো কাজ করেন না কেনো।অথবা আমি, আপনি যতোই কোনো মানুষকে ভালোবাসি না কেনো। অনেক সময় সেই পরিমাণ সুখ বা ভালোবাসাটা আমাদের জীবনে আসে না। ঠিক তেমনটাই ওই মানুষগুলোও আমাদের জীবনে আসে না। এমনটা নয় যে আমাদের কোনো প্রচেষ্টা থাকে না। আমাদের হাজার প্রচেষ্টা থাকে। কিন্তু তাও সেটা বিফলে যায়, শুধুমাত্র ওই মানুষগুলো কিংবা কাজগুলো আমাদের নিয়তিতে থাকে না বলে।
তাই আমার কাছে মনে হয়, নিয়তি মেনে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। এবং সেই নিয়তি টাকে দোয়ার মাধ্যমে বদলানোর চেষ্টা করাটা আরো বেশি বুদ্ধিমানের কাজ। সে সাথে কঠোর পরিশ্রম।