অনিরাপদ হাতিরঝিল
রাজধানী ঢাকার মানুষের কাছে হাতিরঝিল এক পশলা শান্তির নাম। বিশেষ করে ওই অঞ্চলের মানুষজনের কাছে যেখানে হাতিরঝিল অবস্থিত। তাছাড়া হাতিরঝিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও মানুষ সেখানে যায়। গত বেশ কিছু বছরের ভেতরে ঢাকা শহরে যে কয়েকটি প্রকল্প হয়েছে সাধারণ মানুষের স্বস্তির কথা বিবেচনা করে। হাতিরঝিল তাদের ভিতরে অন্যতম। তবে গত কয়েকদিন ধরে হাতিরঝিল সংবাদে আসছে একটি নেতিবাচক কারণে। গত কয়েক দিনের ভেতর পরাপর দুটো লাশ পাওয়া গিয়েছে হাতিরঝিলের পানিতে। উৎসুক জনতা লাশ গুলো দেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ গুলো উদ্ধার করে।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
তবে এই লাশগুলো কিভাবে সেখানে এলো বা তারা কিভাবে মারা গিয়েছে সেটা এখন পর্যন্ত পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়নি। শুনতে পেয়েছি হাতিরঝিলের পুরো এলাকাটা সিসি ক্যামেরার আওতাধীন। যার ফলে এখানে যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা নজরের বাইরে থাকার সুযোগ নেই। তারপরেও কিভাবে এই এলাকায় পরাপর দুটো লাশ পাওয়া গেলো সেটা একটা চিন্তার বিষয়। কারণ এই হাতির ঝিলে ডিউটি করার জন্য বেশ কিছু পুলিশ সদস্য রয়েছে। তারপরও যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে তাহলে সেটা মানুষজনের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেক মানুষ তো এখন এমন বলা শুরু করেছে যে রাতের বেলায় হাতিরঝিল নিরাপদ নয়। কারণ রাতের বেলায় নাকি হাতিরঝিলে বিভিন্ন জায়গায় ছিনতাইকারীদের উপদ্রব দেখা দেয়। একটু রাত বাড়লেই নাকি ছিনতাইকারীরা নিরীহ পথচারীদের কাছ থেকে সমস্ত কিছু কেড়ে নেয়। প্রয়োজনে তাদেরকে চুরিকাঘাত করে। রাজধানী ঢাকার বুকে হাতিরঝিলের মতো এমন নিরাপদ একটি জায়গাও যদি এরকম অবস্থা হয় তাহলে মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাসটা ফেলবে কোথায়? অনেক মানুষ আছে সারাদিন কর্মব্যস্ত সময়ের পরে পরিবার-পরিজন বা বন্ধুবান্ধব নিয়ে হাতিরঝিলে যায় সময় কাটাতে। কারণ হাতির ঝিলের মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ সবাইকে আকর্ষণ করে। সেই হাতিরঝিল এখন রীতিমতো অপরাধীদের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে। আর এর পেছনে দায়ী হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদাসীনতা।
কারণ হাতিরঝিল জায়গাটা খুব বেশি এরিয়া নিয়ে তৈরি করা হয়নি। সামান্য এইটুকু জায়গার নিরাপত্তা ও যদি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিশ্চিত না করতে পারে তাহলে সেটা আসলে খুবই দুঃখজনক। এই যে দু দুটো লাশ হাতিরঝিলে পাওয়া গেলো। এই লাশ দুটো কি অন্য কোথাও খুন করে তারপর হাতিরঝিলে এনে ফেলা হয়েছে নাকি হাতিরঝিলেই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে সেটা এখনো কেউ বুঝতে পারছে না। এগুলো কি হত্যা না আত্মহত্যা সেটাও এখন পর্যন্ত বোঝা যায়নি। হাতিরঝিল বা তার আশেপাশের এলাকার মানুষজনের এখন একটাই দাবি। যে কোনো ভাবে হোক এই লাশ দুটোর রহস্য উন্মোচন করার। আর হাতিরঝিলের পরিপূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার। তাহলে আবার হাতিরঝিল সাধারণ মানুষের আস্থার জায়গাটা ফিরে পাবে।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আপনার পোস্ট টি পড়ে তো গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো ভাইয়া।হাতিরঝিল একটি বিনোদন কেন্দ্র আর সেই জায়গা যদি এতো অনিরাপদ হয় নিরাপত্তা নিশ্চিত যদি করতে না পারেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাহলে অনেক দুঃখজনক। লাশ পাওয়া গেছে কি ভয়ংকর। ধন্যবাদ আপনাকে হাতিরঝিলে সম্পর্কে অনেক কিছু আমাদের সাথে গুছিয়ে শেয়ার করার জন্য।
পুরো ঢাকা শহর ঘিরে রয়েছে নাশকতা আর নাশকতা। বর্তমান হাতিরঝিল খুবই ভয়ানক এক জায়গা পরিণত হয়েছে। চুরি-চিন্তাই তো আছেই তার সাথে সাথে সেখানে পরপর দুটি লাশ পাওয়া গেল। এ পরিস্থিতিতে হাতিরঝিল অনেক ডেঞ্জারেস জোনে পরিণত হলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।