Better life with Steem || The Diary game ||4 August 2024||
আজকে যখন এই পোস্ট লিখছি তখন অত্যন্ত ভারাক্রান্ত ও অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে আছি। এতক্ষণে আমাদের দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি হয়েছে।সরকারি ছুটি ঘোষণা হয়েছে।ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।এবং আরো না জানি কত কিছু।চেষ্টা করছি যাতে লেখাটি পোস্ট করা যায়।
ডেইলি ডায়েরি লিখতে গিয়ে সত্যিই এতটা অসহায় কখনো বোধ করিনি।প্রচন্ড মানসিক চাপ আমাদের সকলের মধ্যে বিরাজমান।এর মধ্যে দিয়েই প্রতিটি মুহূর্ত আমরা পার করছি আমরা।সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছি যাতে তিনি সত্যের জয় করেন।
ভোরে ঘুম থেকে উঠে গিয়েছিলাম।কারণ আমার জায়ের আজকে হসপিটালে ভর্তি হওয়ার কথা।পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য উনি সকালেই চলে যাবেন।ওনাকে খালি পেটে থাকতে হবে।সকাল সকাল নাস্তা বানিয়ে ফেললাম।এরপরে টেবিলে নাস্তা সাজিয়ে আবার যেয়ে শুয়ে পড়লাম।কারোরই ঘুম হচ্ছে না,কেউই স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে না।
দশটার দিকে আজকে নাস্তা খাওয়া হলো।নাস্তা করে চা বানিয়ে নিলাম।এরপর দুপুরের খাবারের আয়োজন করতে লাগলাম।আজকে খুব সাধারন আয়োজন করেছি।আলু ভর্তা,ডাল ভাত,টেংরা মাছ ভুনা।সব কাজকর্ম গুছিয়ে গোসল করে নিলাম।এরপর নামাজ আদায় করে নিলাম।আজকে আমার হাসবেন্ড খেতে আসতে বেশ দেরি করছিল।
পরে বুঝতে পারলাম আসলে অফিস বন্ধ করে দিয়েছে এবং সবাইকে ঘরে পাঠিয়ে দিয়েছে।সাড়ে তিনটার দিকে দুপুরের খাবার খেয়ে বোঝার চেষ্টা করলাম দেশের পরিস্থিতি কি? কিছুক্ষণ মোবাইল দেখলাম।এদিকে আমার জা আজকে ভর্তি হতে পারেনি।গন্ডগোলের কারণে হসপিটালে অনেক লোক ই আসতে পারেনি। তাই ওনারা আবার বাসায় ফেরত আসছে।যদিও ওনার ইমার্জেন্সি ভর্তি ও অপারেশনের খুবই দরকার।
প্রায় ৫০ জনের মতো মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলো।ভীষণ অস্বস্তি বোধ করছিলাম এবং কেন যেন ভেতর থেকে বিধ্বস্ত লাগছিল।আমার বোনের মেয়ে বারবার ফোন দিয়ে জানতে চাইছিল পরিস্থিতি কি কারণ ওদের ওদিকে ইন্টারনেট গতকাল ই বন্ধ হয়ে গেছে।ওকে তাড়াতাড়ি ওর চেম্বার থেকে বাসায় চলে যেতে বললাম।বললাম যে আর রোগী দেখার দরকার নেই আজ।
এদিকে প্রচন্ড আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে রিকশায় করে আমার জা ও তার ছেলে সাড়ে চারটার দিকে বাসায় আসলো। উনিও বললেন রাস্তার প্রচণ্ড গন্ডগোল পরিবেশের কথা। উনি বেশি ভয় পেয়েছেন।বারবার বলছিলেন না জানি কত মায়ের বুক আজকে খালি হচ্ছে।
প্রথমে কারফিউর কথা শুনে এতটা খেয়াল ছিল না তারপর হঠাৎ মনে হলো পাঁচ থেকে সাত দিনের অবরোধ।ঘরে কিছু জরুরি বাজার না করলেই নয়।যেহেতু ঘরে মেহমান আছে তাই বাড়তি জিনিসেরও দরকার।আটা, ডিম,আদা, রসুন,পেঁয়াজ,মসুর ডাল আনিয়ে নিলাম।
হঠাৎ করে মেয়ে বলল বারান্দা দিয়ে তাকিয়ে দেখো দূর থেকে দাউ দাউ করে কালো ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে।নিশ্চয়ই ওখানে আগুন লাগিয়েছে। বেশ কিছুক্ষণ ব্যথিত নয়নে চেয়ে রইলাম।তবে যাই করি না কেন জীবন যাত্রা তো আর থেমে থাকে না।রান্নার খালা এসে রান্না করে দিয়ে চলে গেলেন।
সত্যিকার অর্থে খাওয়া-দাওয়া বা কোন কিছু করারই মানসিক অবস্থা নেই।মনের ভেতরে রাগ, ক্ষোভ,কষ্ট যেন দলা পাকিয়ে আসছে। আপনারা বিশ্বের যে যেখান থেকে এই পোস্টটি পড়ছেন তাদের সকলকে অনুরোধ করব আমাদের জন্য দোয়া করবেন।আমাদের সাধারণ ছাত্র ও সাধারণ মানুষের জন্য দোয়া করবেন যাতে তারা ভালো থাকে,সুস্থ থাকে।আজকের মত বিদায় নিচ্ছি।
.
Device | Name |
---|---|
Android | vivo v19 |
Camera | triple camera 48mp+8mp |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Shot by | @hasnahena |