Better life with Steem || The Diary game ||1 August 2024||
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভাল আছেন।আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি।আগের পোস্টে বলেছিলাম আমার বড় জায়ের বেশ কঠিন একটি অসুখ ধরা পড়েছে। মূলত ক্যান্সার ধরা পড়েছে।আজ কয়েকদিন ধরে উনি আমার বাসায় আছেন।এখান থেকে ডাক্তারের কাছে যাওয়া আসা করছেন।
আজকে তার টেস্টের কথা ছিল।সে অনুযায়ী আগের দিন রাত থেকে ওষুধও নিচ্ছিলেন।কিন্তু গতকাল রাতে উনার অবস্থা বেশ খারাপ হয়ে গিয়েছিল।সকালেও প্রচন্ড ব্যথায় চিৎকার করছিলেন।উনার অবস্থা দেখে আমি নিজেও ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।
খুব সকালে ঘুম থেকে উঠলাম।উঠে নাস্তার কাজে লেগে পড়লাম।আমার জা কে দেখতে সাভার থেকে তার বড় ছেলে ও মেয়ে আসার কথা।কারণ আজকে টেস্টের জন্য উনাকে নিয়ে যেতে হবে।এজন্য উঠে আগে রুটি বানিয়ে নিলাম।তিনটা চালের রুটিও বানিয়ে নিলাম হাজবেন্ডের জন্য।
নাস্তা খাওয়ার আগেই ওরা চলে আসলো। ইতিমধ্যেই দেখলাম যে আমার জা ব্যথায় চিৎকার করে কাঁদছেন।নাস্তা বাদ দিয়ে সবাই ওনাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম।অতঃপর সবাই তাড়া করছিল রেডি হয়ে হসপিটালে যাবে এজন্য।কিন্তু এতো ব্যথা যে আজকে হয়তো টেস্ট করানো যাবে না।এদিকে আগামীকাল শুক্রবার ও টেস্ট হবে না। সবমিলিয়ে আজকে হসপিটালে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল হলো।
কিছুক্ষণ পরে উনার বড় ভাই,ছোট ভাই সহ আরো অপরিচিত লোকজন বাসায় আসলেন। ওনার বড় ভাই ডাক্তার তাই অতি দ্রুত স্যালাইনের ব্যবস্থা করলেন এবং ব্যথার ইনজেকশন দিলেন। মোটামুটি এসব ব্যস্ততাতেই দিনের প্রায় ১২ টা বেজে গেল।হঠাৎ মনে হলো যেহেতু ওনারা আছেন তাই দ্রুত রান্নার ব্যবস্থা করি।
আগেই দুটি মুরগি ভিজিয়ে নিয়েছিলাম।করলা ভাজি করে নিলাম।মুরগির ঝোল ভুনা করে নিলাম।যেহেতু ঘর মোছার বুয়া একটু দেরিতেই আসে তাই ঘরদোর গুছিয়ে রাখলাম।এরপর একে একে সবাই দুপুরে গোসল সেরে নামাজ আদায় করে নিলাম। কাজের বুয়ার আসতে দেরি দেখে নিচে ইন্টারকমে ফোন করলাম এবং শুনলাম আজকে বুয়া কাজে আসেনি।
এমন ঝামেলার মধ্যে কাজের বুয়ারা যখন এরকম করে সত্যি ভীষণ রাগ লাগে।কি করব আর! সবার আগে খাওয়ার ব্যবস্থা করলাম। দুপুরে সবাই দুই দফায় খেয়ে উঠতে সাড়ে তিনটার মধ্যে বেজে গেল।এ ফাঁকে আমার ছেলে একটি গ্লাস ভেঙে ফেললো।কিছুই না বরং আমার কাজ আরো বাড়লো।
কিছুক্ষণ পরে আমার জায়ের ব্যথা আরো বেড়ে গেল। অতঃপর তার বড় ভাই বললেন যে হাতে ক্যানোলা লাগাতে হবে কারণ অনেকগুলো ইনজেকশন দিতে হবে। আমি বললাম হসপিটালে গিয়ে ক্যানোলা লাগালে ভালো হয়।এরপরে উনার সবাই হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন।এই ফাঁকে আমি ঘর পরিষ্কার করে নিলাম।
ফ্রেশ হয়ে নিতে নিতে ওনারা আবার চলে আসলেন। ন্ধ্যার আগে আগে সবাই বিদায় নিয়ে চলে গেলেন।রান্নার খালা এলে তাকে কাজ বুঝিয়ে দিলাম।খুব ক্লান্ত লাগছিল।এ ফাঁকে মেয়ের টিচারও এসেছে।টিচারকে নাস্তা দিয়ে একটু বসলাম।সন্ধ্যার জন্য ছোলা গরম করে রাখলাম।
মেয়ের পড়া শেষ হলে ছোলা মাখিয়ে দেবে।বেশ অবসন্ন বোধ করছিলাম তাই কিছুক্ষণ শুয়ে রইলাম।এ সময় খবর পেলাম আগামীকাল জায়ের মেজ ছেলে ও ছেলের বউ আসবে।তাই আগামীকালের প্রস্তুতি হিসেবে গরুর মাংস মশলা মাখিয়ে ফ্রিজে রেখে দিলাম।তাহলে কালকে সকালে আর অতটা ঝামেলা হবে না। এভাবেই প্রচন্ড ব্যস্ততার মাঝে আমি পুরো একটি দিন আজকে পার করলাম।
.
Device | Name |
---|---|
Android | vivo v19 |
Camera | triple camera 48mp+8mp |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Shot by | @hasnahena |
Every cuisine Looks yummy..